আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

তারাবীহ এর দুয়া ও মুনাজাত

প্রশ্নঃ ৩১৩২৯. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, ১। ঘরে স্ত্রী, পুত্র-কন্যাগণদের নিয়ে জামায়াতে তারাবিহ পড়লে কি তা আদায় হবে? ২। সম্প্রতি জানতে পেরেছি, তারাবিহতে প্রতি ৪ রাকাত পর যে দোয়া (সুবহানা জিল মুলকি...) ও তারাবিহর শেষে যে মুনাজাত (আল্লাহুম্মা ইন্না নাসআলুকাল জান্নাতা...) পড়া হয়, এ ২টো কি সহীস হাদিস দ্বারা প্রমানিত? দয়া করে দ্রুত উত্তর দিবেন।,

১ এপ্রিল, ২০২৩

Dhaka, Bangladesh

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


১. জি আদায় হবে। তবে দাঁড়ানোর পদ্ধতি হবে প্রথমে ইমাম দাঁড়াবেন তারপর পুরুষ ও শিশুদের কাতার তারপর নারীদের কাতার। জায়গা কম থাকলে পুরুষরা ইমামের সাথেও দাঁড়াতে পারবে। তারপর নারীরা পেছনে দাঁড়াবে।
উল্লেখ্য, জামাতে কোনো ননমাহরাম নারী-পুরুষ যেন না থাকে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।

২. উক্ত দোয়া এবং মুনাজাত সরাসরি কুরআন সুন্নাহে বর্ণিত হয়নি। তবে এর অর্থ এই নয় যে, ব্যক্তিগতভাবে কেই চাইলে এই দোয়া - মুনাজাত করতে পারবে না। আমরা যেভাবে বাংলায় দোয়া করি তেমনি কেউ এটি আরবিতে করেছেন, অন্যদের পছন্দ হয়েছে তারাও করেছেন, ব্যাস! কিন্তু সমস্যা হলো কেউ যদি এটাকে পড়া আবশ্যক মনে করেন বা কেউ পড়তে না চাইলে তাকে তিরস্কার করেন। আবার কিছু মানুষ আছে যারা মনে করেন তারাবিহের দোয়া মুনাজাত না জানলে নামাজই হবে না! তারা এই অজুহাতে নামাজই ছেড়ে দেন!!
-(নাউজুবিল্লাহ)
এই সময়টাতে মূলত বিশ্রামের সময়। এখন বিশ্রামে থেকে যদি কেউ কিছু পড়তে চায় তাহলে সেটা তার এখতিয়ার!

এ ব্যাপারে আলোচনা করতে গিয়ে, আল্লামা শামী (রহ.) তার বিখ্যাত ফতোয়ার কিতাব, ‘ফতোয়ায়ে শামী’তে উল্লেখ করেছেন, তারাবির প্রতি চার রাকাতের পর তার সমপরিমান সময় বিরতি দেয়া মুস্তাহাব। অনুরূপভাবে মুস্তাহাব হলো তারাবির এবং বিতরের মাঝে বিরতি দেয়া। এই বিরতিতে তাসবিহ, কোরআন তেলাওয়াত, নিরব থাকা বা একাকি নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে প্রত্যেক ব্যক্তি সম্পুর্ণ স্বাধীন। (রদ্দুল মুহতার, খণ্ড-২, পৃষ্ঠা-৬০০)।

ইমদাদুল আহকামে এ প্রসঙ্গে এসেছে, ‘ফতোয়ায়ে শামীর অন্যান্য ইবারত থেকে বুঝা যায়, তারাবির প্রতি চার রাকাতের পর বিরতি দেয়া মুস্তাহাব। বিরতিতে কোনো ইবাদত করবে, নাকি সম্পুর্ণ চুপ থাকবে সে ক্ষেত্রে ইমাম ও মুসল্লি স্বাধীন। তারাবির মধ্যবর্তী বিরতিতে গুরুত্ব দিয়ে বিশেষ কোননো দোয়া পড়াকে সুন্নাত সাব্যস্ত করা হয়নি। তবে একথা স্পষ্ট যে, এ সময়ে একদম চুপ থাকার চেয়ে কোনো দোয়া, দরুদে লিপ্ত থাকা উত্তম। (খণ্ড-২, পৃষ্ঠা-২৩৮)।

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি
শিক্ষক, জামিয়া ইসলামিয়া ইবরাহিমিয়া দারুল উলুম মেরাজনগর, কদমতলী, ঢাকা।

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

৩২১৫৩

রোযা অবস্থায় নাকে বা গলায় ধোঁয়া গেলে কি রোযা ভেঙ্গে যাবে?


৮ এপ্রিল, ২০২৩

West Bengal ৭৪৩৪০১

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী আরিফুর রহমান

৩২৪৩৬

লাইলাতুল কদরের রাত সব দেশে কি একই রাতে হয়?


৬ এপ্রিল, ২০২৩

Saihat ৩২৪৭১

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী

৩২৪৩৯

রমজানে নফল কি ফরজের সমান?


৮ এপ্রিল, ২০২৩

অসম ৭৮৩১২১

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী

৯০৪৯৬

যেসকল কারণে রোযা না রাখা বা ভেঙ্গে ফেলা জায়েজ


২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

সুনামগঞ্জ, Chittagong, Bangladesh

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী শাহাদাত হুসাইন ফরায়েজী

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy