প্রশ্নঃ ২৮৩৫. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, (ক) মুহাররম মাস সম্মানিত এবং এই মাসে যেহেতু হযরত হুসাইন রা. শহীদ হয়েছেন তাই এই মাসে বিবাহ-শাদি করাকে কুলক্ষুণে মনে করা হয়। এ কথা কি ঠিক? (খ) ১০ মুহাররম এক শ্রেণীর লোক হযরত হুসাইন রা.-এর শাহাদাতের শোক পালনার্থে তাজিয়া মিছিল বের করে। ধারণা করা হয়, এই টং-এ হযরত হুসাইন রা.-এর রূহ সমাসীন থাকেন। তার কবরের আকৃতি থাকে। শোক মিছিলের সামনে তাজিয়া টং থাকে। এর পাদদেশে নযর-নিয়ায পেশ করা হয় এবং এর সামনে হাত জোড় করে দাঁড়িয়ে থাকে ইত্যাদি। এসব কর্মকাণ্ড শরীয়তের দৃষ্টিতে কেমন?
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(ক) না, একথা ঠিক নয়। এই বিশ্বাস রাখা এক ধরনের শিরক। হাদীস শরীফে এসেছে, কুলক্ষুণে বিশ্বাসের কোনো বাস্তবতা নেই। অপর এক হাদীসে আছে, কুলক্ষুণে শিরক।-সুনানে আবু দাউদ, হা. ৩৯০৪;মুসনাদে আহমাদ ১/৩৮৯
সুতরাং মুহাররম মাসে বিয়েশাদি করতে কোনো অসুবিধা নেই। উপরন্তু বহু হাদীসের ভাষ্যমতে এই মাস বরকতপূর্ণ ও মহিমান্বিত।
সহীহ মুসলিম ১/৩৬৮; জামে তিরমিযী ১/১২৫৭
(খ) ‘তাজিয়া’ সম্পূর্ণ শিরকী কাজ। হযরত হুসাইন রা.-এর রূহকে হাযির মনে করা, সেখানে নযর-নিয়ায পেশ করা, হাত জোড় করে দাঁড়ানো প্রত্যেকটি কাজই শিরক। এছাড়া এই দিনে শোক মিছিল বের করা,হাইহুতাশ করা, বুক চাপড়ানো ইত্যাদিও সম্পূর্ণ মনগড়া এবং ভিত্তিহীন, যা বিদআত।
ইমদাদুল ফাতাওয়া ৫/৩৩২, ৩৩৬; আহসানুল ফাতাওয়া ১/৩৯৩
والله اعلم بالصواب
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন