আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

বর্তমানে নতুন হুজুররা নতুন মাস‌আলা দেয়, এ ধরণের ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে আমাদের পরামর্শ

প্রশ্নঃ ২৬৬১৯. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামুয়ালাইকুম, মানুষ/ আত্নীয় স্বজন/আমাদের পাড়া পড়শী অনেক শিরকি কথা বলে আমরা বুঝাতে গেলে বলে এখন বলবি এটা শিরক হইছে এখন তো নতুন নতুন হুজুর আর নতুন নতুন হদীস আমরা সারাজীবন যা শিখছি তা কি ভুল আসলে কি আগের হুজুররা ভুল ছিল তাদেরকে কিভাবে এ শিরক বিদাত আর কুসংস্কার থেকে বের করে আনব আমাদের করনীয় কি,

২২ ডিসেম্বর, ২০২২

নরসিংদী

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


প্রিয় ভাই! প্রথমে কুরআনের একটি আয়াত আপনার সামনে পেশ করছি। খুব মন দিয়ে আয়াতটি পড়ুন

والذين إذا ذكروا بآيات ربهم لم يخروا عليها صما وعميانا
অর্থঃ
এবং যখন তাদের প্রতিপালকের আয়াত দ্বারা তাদেরকে উপদেশ দেওয়া হয়, তখন তারা বধির ও অন্ধরূপে তার উপর পতিত হয় না।

এই আয়াতের তাফসীরে উলামায়ে কেরাম লিখেছেন, যখন আল্লাহর বিধান সামনে আসবে, তখন যাচাই বাছাই করে ঐ বিধান পালন করতে হবে। কারো কাছ থেকে কোনো কিছু শুনেই অন্ধ ও বধিরের মতো তার উপর ঝাপিয়ে পড়া যাবে না।

তাই কুরআন ও হাদীসে যা কিছু আছে, তা শতভাগ সত্য। তা নিঃসন্দেহে মেনে নেয়ার মাঝেই পরিপূর্ণ ঈমান প্রকাশ পায়। যদি কেউ মানতে না পারে, তাহলে ঈমানের মধ্যে কমতি আছে।

কাফেরদের একটি অভ্যাস ছিল, তারা বাপ দাদা ও পূর্বসুরীদের রীতিনীতি ছাড়তে চাইত না। নবীদেরকে এই বলে বকাঝকা করত যে, তোমার নতুন কথাবার্তা নিয়ে তুমি থাকো। আমরা আগের ধর্ম পালন করবো। কুরআনের আয়াত লক্ষ্য করুন,

قالوا يا شعيب أصلاتك تأمرك أن نترك ما يعبد آباؤنا أو أن نفعل في أموالنا ما نشاء إنك لأنت الحليم الرشيد

অর্থঃ
তারা বলল, হে শুআইব! তোমার নামায কি তোমাকে এই আদেশ করছে যে, আমাদের বাপ-দাদাগণ যাদের ইবাদত করত, আমরা তাদেরকে পরিত্যাগ করব এবং নিজেদের অর্থ-সম্পদে যা ইচ্ছা হয় তা করব না? তুমি তো বড় বুদ্ধিমান ও সদাচারী লোক!

তাই খুব খেয়াল রাখতে হবে, হক্কানী ওলামায়ে কেরাম কুরআন হাদীস গবেষণা করে যখন কোনো বিষয় সিদ্ধান্ত জানাবেন, তখন তা অকপটে মেনে নেয়া আমাদের অবশ্য কর্তব্য। নতুবা কাফেরদের সাথে মিল হতে পারে।

সর্বশেষ একটি কথা মনে রাখবেন, যদি কারো কাছে সঠিক তথ্য না পৌঁছার কারণে সে ভুল মাস‌আলার উপর আমল করে কবরে চলে যায়, তাহলে আশা করতে পারি আল্লাহ তায়ালা তাকে নাজাত দান করবেন। কারণ, সে অজ্ঞতার কারণে ভুল কাজ করেছে। হয়ত আল্লাহ মাফ করে দিবেন। কিন্তু তাদের ভুল এখনো আঁকড়ে ধরা বুদ্ধিমানের পরিচয় নয়। তাদের ভুলের কারণে আমাদেরকে জিজ্ঞাসা করা হবে না। কিন্তু আমাদের কাছে সত্য বাণী পৌঁছা সত্ত্বেও যদি তাদের ভুল বিষয়গুলো আঁকড়ে ধরে রাখি, তাহলে আল্লাহর কাছে জবাব দিতে হবে।

تلك أمة قد خلت لها ما كسبت ولكم ما كسبتم ولا تسألون عما كانوا يعملون

অর্থঃ
তারা ছিল একটি উম্মত, যা গত হয়েছে। তারা যা-কিছু অর্জন করেছে তা তাদেরই এবং তোমরা যা-কিছু অর্জন করেছ তা তোমাদেরই। তোমাদেরকে জিজ্ঞেস করা হবে না যে, তারা কি কাজ করত।

এই বিষয়গুলো তাদেরকে বুঝিয়ে বুঝিয়ে সঠিক পথের দিকে আহবান করতে হবে। আশা করি আল্লাহ তাদেরকে হেদায়েত দান করবেন।

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী সিরাজুল ইসলাম
খতীব, বাইতুল মামুর জামে মসজিদ, মিরাশপাড়া গাজীপুর

প্রসঙ্গসমূহ:

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

২৬০০৯

ফরজ গোসল করার পদ্ধতি


২ ডিসেম্বর, ২০২২

কেরানীগঞ্জ

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী

২৯৭১৯

প্রচলিত একটি উক্তির তাহকীক


২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

ঢাকা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুসলিম বাংলা ইফতা বিভাগ

৫০৮৫৫

মিম্বার ছাড়া কি খুতবা দেওয়া জায়েজ হবে?


৫ জানুয়ারী, ২০২৪

Jharka

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

৩৪১৯৭

সূর্যাস্তের সময় ওই দিনের আসরের নামাজ


৭ জুন, ২০২৩

ঢাকা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি মোহাম্মদ আমীর হোসাইন

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy