আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

ফজরের সময় উঠতে না পারলে করণীয়

প্রশ্নঃ ২৬৬০৬. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, যদি ঘুম থেকে উঠে দেখি ফজরের ওয়াক্ত শেষ হয়ে খেছে তখন কে করনিয়/ফজরের সালাত কি পরার কো নিয়ম আছে?জানানে খুবি উপকৃত হবো।,

২৪ ডিসেম্বর, ২০২২

নবিনগর - চন্দ্রা সড়ক

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


মুমিন নামাযের পাবন্দী করবে। এটিই মুমিনের পরিচয়। কোনো সময় মুমিনের থেকে নামায ছুটতে পারে না। নামাযের জন্য নির্দিষ্ট সময় আছে। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সুনির্দিষ্ট সময় আদায় করতে হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন,
إن الصلاة كانت على المؤمنين كتابا موقوتا
অর্থ: নির্ধারিত সময়ে সালাত কায়েম করা মু’মিনদের জন্যে অবশ্যকর্তব্য।

যারা নামাযের হেফাজত করবে না, তারা ভয়াবহ আযাবে গ্রেফতার হবে। জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন,
فخلف من بعدهم خلف أضاعوا الصلاة واتبعوا الشهوات فسوف يلقون غيا
অর্থঃতারপর তাদের স্থলাভিষিক্ত হল এমন লোক, যারা নামায নষ্ট করল এবং ইন্দ্রিয়-চাহিদার অনুগামী হল। সুতরাং তারা অচিরেই তাদের পথভ্রষ্টতার সাক্ষাত পাবে।

তাই নামাযের জন্য সর্ব অবস্থায় সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করে নিজেদের কাজ করতে হবে। রাতে ঘুমানোর সময় এলার্ম দিয়ে ঘুমাতে হবে যাতে করে ফজরের সময় সহজে জাগ্রত হওয়া যায়। পাশের কাউকে ডেকে দেওয়ার দায়িত্ব দিয়ে ঘুমাতে হবে। নতুবা নামায কাযা হয়ে গেলে জাহান্নামের আগুন সহ্য করার ক্ষমতা আমাদের নাই।

সব কাজ সম্পন্ন করা সত্ত্বেও যদি জাগ্রত হতে না পারি, তাহলে যখন জাগ্রত হবো, সাথে সাথেই নামায আদায় করতে হবে‌। দেরী করা যাবে না। তবে সূর্য উঠার সময় নামায পড়া যাবে না। ঐ সময় নামায পড়া নিষেধ। হাদীস শরীফে এসেছে,

عن أنس، قال سئل رسول الله صلى الله عليه وسلم عن الرجل يرقد عن الصلاة أو يغفل عنها قال " كفارتها أن يصليها إذا ذكرها " .

৬১৫। আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট এমন ব্যক্তি সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করা হলো যে, সে নামায আদায় না করে ঘুমিয়ে পড়ে বা নামায ভুলে যায়। তিনি বললেনঃ এর কাফফারা হলো যখনই স্মরণ আসবে তখনই তা আদায় করে নেবে।[১]

[১] সময় অতিবাহিত হয়ে গেলে সালাত কাযা করে নেবে।

فتاوی دارالعلوم دیوبند
سونے یا غفلت کی وجہ سے نماز کا قضا ہو جانا جان بوجھ کر نماز چھوڑنے میں داخل نہیں، اگر کبھی اتفاقاً سونے یا غفلت کی وجہ سے نماز قضا ہوجائے تو جب یاد آئے فوراً نماز پڑھ لیں اور اگر اکثر ایسا ہوتا ہو تو سونے سے پہلے اٹھنے کا انتظام کرلینا چاہئے۔ (الارم وغیرہ لگاکر)

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী সিরাজুল ইসলাম
খতীব, বাইতুল মামুর জামে মসজিদ, মিরাশপাড়া গাজীপুর

প্রসঙ্গসমূহ:

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

১৩৩১৯

আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমার প্রশ্ন হলো মৃত লোকের নামাজের কাফফারা কিভাবে দিতে হয়?

৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

কিশোরগঞ্জ

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

১৩৮৬৯

শিশুর নামাজেরও এহতেমমা করা উচিত


২৬ আগস্ট, ২০২৪

শিবগঞ্জ

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুসলিম বাংলা ফাতওয়া বিভাগ

১২৫৭৫

কাজা না ওয়াক্তিয়া? কোন নামাজ আগে আদায় করতে হবে?


৭ নভেম্বর, ২০২৩

ঢাকা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy