আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

সর্বক্ষণ পেশাব ঝরে এমন ব্যক্তির অজু ও নামায

প্রশ্নঃ ২৫৩৮৪. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমার প্রস্রাবে একটু সমস্যা আছে। সমস্যাটি হলো আমি প্রস্রাব করার পরেও সামান্য সামান্য করে প্রস্রাব বের হতেই থাকে। এখন আমার প্রশ্ন হলো, যেহেতু আমার প্রস্রাব সবসময় বের হতে থাকে সেহেতু আমার কাপড় পাক রাখা কষ্টকর বা পাক রাখা যায় ই না। এখন আমার করণীয় কি? নামাজ পড়ার সময় কি আমাকে বার বার কাপড় পরিবর্তন করতে হবে? (বার বার কাপড় পরিবর্তন করাও একটা সমস্যা) নাকি ওই কাপড় পরে ওযু করলে হবে?দ্রুত জানালে উপকৃত হবো ইনশাআল্লাহ্,

১৭ নভেম্বর, ২০২২

মোল্লাহাট

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


এক. মানুষের পেশাব নাজাসাতে গলিযা (কঠোর নাপাক)। তাই যে অঙ্গে বা কাপড়ে পেশাব লাগবে, অবশ্যই ঐ অঙ্গ বা কাপড়ের ওই অংশ ধৌত করে নিতে হবে। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,
استنزهوا من البول فإن عامة عذاب القبر منه
তোমরা পেশাবের অপবিত্রতার ব্যাপারে সতর্ক থাক। কারণ অধিকাংশ কবরের আযাব এর কারণে হয়ে থাকে। (দারাকুতনী ৪৭৬)
সুতরাং আপনি আন্ডারওয়্যার বা টিস্যু ব্যবহার করে নাপাকি ছড়িয়ে পড়াকে নিয়ন্ত্রণ করবেন। তারপর যতটুকু তে নাপাকি লেগেছে, ততটুকু ধুয়ে নিয়ে ওযূ করে নামায আদায় করবেন।
দুই. আর আপনার রোগটা যদি এমন হয় যে, সারাক্ষণই অল্প অল্প পরিমাণ বের হতে থাকে, এতটুকু সময় পাওয়া যায় না যে, যার মাঝে ফরজ নামাযটুকু আদায় করা যায়, তাহলে শরয়ী পরিভাষায় আপনি মাজুরের অন্তর্ভুক্ত।
এমন ব্যক্তি প্রতি ওয়াক্তের নামাযের জন্য নতুন করে ওযূ করবেন এবং এ ওযূ দিয়ে ফরজ বা নফল যত রাকাত নামায পড়তে চান পড়তে পারবেন, কোরআন স্পর্শ করতে পারবেন। ওয়াক্তের ভেতরে নির্গত হতে থাকলেও কোন অসুবিধা নেই। কিন্তু পরের নামাযের সময় হয়ে গেলেই ওযূটি ভেঙ্গে যাবে। আবার নতুন করে ওযূ করে নামায পড়তে হবে। এভাবে মাজুর ব্যক্তি নামায আদায় করবে।
এক্ষেত্রে যদি সম্ভব হয়, তাহলে পবিত্র কাপড় দিয়ে নামায আদায় করবেন। যদি সম্ভব না হয়, তাহলে উক্ত কাপড়সহই নামায আদায় করবেন। (হাশিয়াতুত তাহতাবী আলা মারাকিল ফালাহ-১৪৮-১৫১)
এর দলিল হল, হাদিসে আছে, এক বার ফাতিমা বিনতে আবূ হুবায়শ রাযি. রাসূল ﷺ-এর নিকট এসে বললেন,
يَا رَسُولَ اللَّهِ ، إِنِّي لَا أَطْهُرُ أَفَأَدَعُ الصَّلاَةَ
হে আল্লাহ্‌র রসূল! আমার রক্তস্রাব হতেই থাকে এবং আমি কখনো পবিত্র হতে পারি না। আমি কি নামায ছেড়ে দিবো?
রাসূল ﷺ উত্তর দিলেন,
إِنَّمَا ذَلِكِ عِرْقٌ وَلَيْسَ بِالحَيْضَةِ ، فَإِذَا أَقْبَلَتِ الحَيْضَةُ فَاتْرُكِي الصَّلاَةَ ، فَإِذَا ذَهَبَ قَدْرُهَا ، فَاغْسِلِي عَنْكِ الدَّمَ وَصَلِّي
না, এটা এক প্রকার শিরাজনিত রোগ, এটা হায়েযের রক্ত নয়। তুমি তোমার হায়েযের মেয়াদকাল নামায থেকে বিরত থাকো, আর যখন তা বন্ধ হয়ে যাবে তখন রক্ত ধুয়ে ফেলবে, তারপর নামায আদায় করবে। (বুখারি ২২৮)

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী
সিনিয়র মুহাদ্দিস, মাদরাসা দারুর রাশাদ, মিরপুর
খতীব, বাইতুল ফালাহ জামে মসজিদ, মিরপুর

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

৩৩০২৬

পাকা বা টাইলস বিশিষ্ট ফ্লোরে বাচ্চা প্রস্রাব করলে তা পবিত্র করার পদ্ধতি


১২ মে, ২০২৩

হোমনা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি জাওয়াদ তাহের

৩৫৮৭২

নাপাক কাপড় বা অঙ্গ ধোয়ার সময় সেখান থেকে পানির ছিটা লাগলে...


৯ আগস্ট, ২০২৩

ঢাকা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ ইসহাক মাহমুদ

৪১৫৬১

পাক- নাপাকের মাসায়েল


২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

Dhaka, Bangladesh

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি মোহাম্মদ আমীর হোসাইন

৩২৫২১

নাপাক কাপড় পাক করার নিয়ম এবং শরীরে লাগলে তার হুকুম


৮ এপ্রিল, ২০২৩

Dhaka

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy