আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

অশ্লীল চিন্তার কারণে মজি বের হয়; করণীয় কী?

প্রশ্নঃ ২৪৮৬২. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমার মাঝে মধ্যে অকারণে লজ্জাস্থান দিয়ে মজি বের হয় , মাঝে মাঝে নিজের অনিচ্ছায় মাথায় অশ্লীল চিন্তা চলে আসে তখন মূলত এমন হয় ,, এক্ষেত্রে কি আমি শুধু যেখানে মজি লেগেছে সেখানে পানি ছিটিয়ে দিলে পবিত্রতা অর্জন হবে? প্রশ্ন এর উত্তরটা দিলে অনেক খুশি হতাম। ধন্যবাদ!

৯ নভেম্বর, ২০২২
ঢাকা ১২১১

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


যৌন উত্তেজনার কারণে মযী (পানির মত পাতলা বীর্য যা অল্প পরিমাণে বের হয়, কিন্তু উত্তেজনা হ্রাস হয় না) বের হলে ওযু ভেঙ্গে যাবে। আর মযী বা কামরস নাপাক। এটি শরীরে বা কাপড়ে লাগলে ধুয়ে ফেলা আবশ্যক।

عَنْ سَهْلِ بْنِ حُنَيْفٍ، قَالَ كُنْتُ أَلْقَى مِنَ الْمَذْىِ شِدَّةً وَكُنْتُ أُكْثِرُ مِنْهُ الاِغْتِسَالَ فَسَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ ﷺ عَنْ ذَلِكَ فَقَالَ :‏ إِنَّمَا يُجْزِيكَ مِنْ ذَلِكَ الْوُضُوءُ ‏‏.‏ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَكَيْفَ بِمَا يُصِيبُ ثَوْبِي مِنْهُ قَالَ ‏: يَكْفِيكَ بِأَنْ تَأْخُذَ كَفًّا مِنْ مَاءٍ فَتَنْضَحَ بِهَا مِنْ ثَوْبِكَ حَيْثُ تُرَى أَنَّهُ أَصَابَهُ ‏
সাহল ইবনু হুসাইফ রাযি. হতে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, আমার অত্যধিক মযী নির্গত হত তাই আমি অধিক গোসল করতাম। অতঃপর আমি এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে জিজ্ঞাসা করি তিনি বলেন, মযী বের হওয়ার পর অযু করাই যথেষ্ট। তখন আমি বলি, ইয়া রাসূলুল্লাহ্! আমার কাপড়ে মযী লাগলে কি করব? তিনি বলেন, কাপড়ের যে যে স্থানে মযীর নিদর্শন দেখবে, এক আজলা পানি নিয়ে উক্ত স্থান ধুয়ে নিবে, যাতে তা দূরীভূত হয়। (আবু দাউদ ২১০)

প্রিয় প্রশ্নকারী ভাই, আর আপনার প্রতি আমাদের উপদেশ হল, হারাম জিনিস থেকে দৃষ্টিকে সংযত রাখার ব্যাপারে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন। যেমন- অশ্লীল ছবি বা ভিডিও ইত্যাদি; যা অবৈধ যৌনাচার ও মহাপাপে জড়িয়ে পড়তে মানুষকে প্ররোচিত করে এবং মনের মধ্যে খারাপ প্রভাব গভীরভাবে জিইয়ে রাখে। এসব থেকে আমরা আল্লাহর আশ্রয় চাই। আল্লাহ তাআলা বলেন,
قُل لِّلْمُؤْمِنِينَ يَغُضُّوا مِنْ أَبْصَارِهِمْ وَيَحْفَظُوا فُرُوجَهُمْ ذَلِكَ أَزْكَى لَهُمْ إِنَّ اللَّهَ خَبِيرٌ بِمَا يَصْنَعُونَ
মুমিন পুরুষদের বলে দিন, তারা তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখবে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হিফাযত করবে। এটাই তাদের জন্য অধিক পবিত্র। নিশ্চয় তারা যা করে সে সম্পর্কে আল্লাহ সম্যক অবহিত। (সূরা আন-নূর ৩০)
নিশ্চয় আল্লাহ তাওফীকদাতা।

والله اعلم بالصواب

শাইখ উমায়ের কোব্বাদী সিনিয়র মুহাদ্দিস, মাদরাসা দারুর রাশাদ, মিরপুর খতীব, বাইতুল ফালাহ জামে মসজিদ, মিরপুর

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন