আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

জান্নাতে যাওয়ার আমল

প্রশ্নঃ ২৪০৩৩. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, কি কি কাজ করলে জান্নাতে যাওয়া যাবে যদি একটু বিস্তারিত বলতেন ভালো হতো. আর কি কি আমল করলে জান্নাতে যাওয়া যাবে যদি বিস্তারিত বলতেন ভাল হত হুজুর,

৩০ অক্টোবর, ২০২২

ঢাকা

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم





সম্মানিত প্রশ্নকারী ভাই,
আপনার প্রশ্নটি সংক্ষেপ হলেও এর উত্তর সুবিশাল-সুবিস্তৃত।
এখানে সুনির্দিষ্ট কোন বিষয়ের ব্যাপারে প্রশ্ন করলে তার উত্তর দেয়া হয়। বিস্তারিত প্রবন্ধ লেখার ফুরসত কোথায়?

আপনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবন অনুকরণ করে জীবন যাপন করুন। সকল ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নত মেনে চলুন। যাবতীয় গুনাহ বর্জন করুন। আল্লাহ তাআলা আপনাকে জান্নাত নসিব করবেন ইনশাআল্লাহ।

জনৈক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জান্নাতে যাওয়ার আমল সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে যে উত্তরটি দিয়েছিলেন নিন্মে তা উল্লেখ করা হলো।

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ الصَّنْعَانِيُّ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ أَبِي النَّجُودِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ، قَالَ كُنْتُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي سَفَرٍ فَأَصْبَحْتُ يَوْمًا قَرِيبًا مِنْهُ وَنَحْنُ نَسِيرُ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَخْبِرْنِي بِعَمَلٍ يُدْخِلُنِي الْجَنَّةَ وَيُبَاعِدُنِي مِنَ النَّارِ . قَالَ " لَقَدْ سَأَلْتَنِي عَنْ عَظِيمٍ وَإِنَّهُ لَيَسِيرٌ عَلَى مَنْ يَسَّرَهُ اللَّهُ عَلَيْهِ تَعْبُدُ اللَّهَ وَلاَ تُشْرِكُ بِهِ شَيْئًا وَتُقِيمُ الصَّلاَةَ وَتُؤْتِي الزَّكَاةَ وَتَصُومُ رَمَضَانَ وَتَحُجُّ الْبَيْتَ " . ثُمَّ قَالَ " أَلاَ أَدُلُّكَ عَلَى أَبْوَابِ الْخَيْرِ الصَّوْمُ جُنَّةٌ وَالصَّدَقَةُ تُطْفِئُ الْخَطِيئَةَ كَمَا يُطْفِئُ الْمَاءُ النَّارَ وَصَلاَةُ الرَّجُلِ مِنْ جَوْفِ اللَّيْلِ " . قَالَ ثُمَّ تَلاََ: ( تَتَجَافَى جُنُوبُهُمْ عَنِ الْمَضَاجِعِ ) حَتَّى بَلَغَ: (يَعْمَلُونَ) ثُمَّ قَالَ " أَلاَ أُخْبِرُكَ بِرَأْسِ الأَمْرِ كُلِّهِ وَعَمُودِهِ وَذِرْوَةِ سَنَامِهِ " . قُلْتُ بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ " رَأْسُ الأَمْرِ الإِسْلاَمُ وَعَمُودُهُ الصَّلاَةُ وَذِرْوَةُ سَنَامِهِ الْجِهَادُ " . ثُمَّ قَالَ " أَلاَ أُخْبِرُكَ بِمَلاَكِ ذَلِكَ كُلِّهِ " . قُلْتُ بَلَى يَا نَبِيَّ اللَّهِ قَالَ فَأَخَذَ بِلِسَانِهِ قَالَ " كُفَّ عَلَيْكَ هَذَا " . فَقُلْتُ يَا نَبِيَّ اللَّهِ وَإِنَّا لَمُؤَاخَذُونَ بِمَا نَتَكَلَّمُ بِهِ فَقَالَ " ثَكِلَتْكَ أُمُّكَ يَا مُعَاذُ وَهَلْ يَكُبُّ النَّاسَ فِي النَّارِ عَلَى وُجُوهِهِمْ أَوْ عَلَى مَنَاخِرِهِمْ إِلاَّ حَصَائِدُ أَلْسِنَتِهِمْ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .

২৬১৭. ইবনে আবু উমর (রাহঃ) ...... মুআয ইবনে জাবাল (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি একবার রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর সঙ্গে এক সফরে ছিলাম। একদিন চলার সময় আমি তাঁর নিকটবর্তী হয়ে গেলাম। আমি বললামঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে এমন একটি আমল সম্পর্কে অবহিত করুন যা আমাকে জান্নাতে দাখিল করবে এবং জাহান্নাম থেকে দূরে সরিয়ে দিবে।

তিনি বললেনঃ তুমি তো বিরাট একটা বিষয়ে আমাকে জিজ্ঞাসা করলে। তবে আল্লাহ্ তা’আলা যার জন্য তা সহজ করে দেন তার জন্য বিষয়টি অবশ্য সহজ। আল্লাহর ইবাদত করবে, তার সঙ্গে কোন কিছু শরীক করবে না। নামায কায়েম করবে, যাকাত প্রদান করবে, রমযানের রোযা পালন করবে, বায়তুল্লাহর হজ্জ করবে।

এরপর তিনি বললেনঃ সব কল্যাণের দ্বার সম্পর্কে কি আমি তোমাকে দিক-নির্দেশনা দিব? রোযা হল ঢালস্বরূপ, পানি যেমন আগুন নিভিয়ে দেয় তেমনি সাদ্‌কা ও গুনাহসমূহকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়, আর হল মধ্য রাতের নামায।

এরপর তিনি তিলাওয়াত করলেনঃ তারা (মু’মিনরা গভীর রাতে) শয্যা ত্যাগ করে তাদের পরওয়ারদিগারকে ডাকে আশায় ও আশঙ্কায় এবং আমি তাদের যে রিযক দান করেছি তা থেকে তারা ব্যয় করে। কেউই জানে না তাদের জন্য নয়ন সুখকর কী লূকিয়ে রাখা হয়েছে তাদের কৃতকর্মের পুরস্কার স্বরূপ। (সাজদা ৩২ঃ ১৬-১৭)

তারপর বললেনঃ তোমাকে এই সব কিছুর মাথা ও বুনিয়াদ এবং সর্বোচ্চ শীর্ষদেশ স্বরূপ আমল সম্পর্কে অবহিত করব কি?

এরপর বললেনঃ অবশ্যই, ইয়া রাসূলাল্লাহ্!

তিনি বললেনঃ সব কিছুর মাথা হল ইসলাম, বুনিয়াদ হল নামায আর সর্বোচ্চ শীর্ষ হল জিহাদ।

এরপর বললেনঃ এ সব কিছুর মূল পুঁজি সম্পর্কে তোমাকে অবহিত করব কি?

আমি বললামঃ অবশ্যই, ইয়া রাসূলাল্লাহ্!

তিনি তাঁর জিহ্বা ধরে বললেনঃ এটিকে সংযত রাখ।

আমি বললামঃ হে আল্লাহর নবী, আমরা যে কথাবর্তা বলি সেই কারণেও কি আমাদের পাকড়াও করা হবে?

তিনি বললেনঃ তোমাদের মা তোমাকে হারিয়ে ফেলুক,* হে মু’আয! লোকদের অধঃমুখে জাহান্নামে নিক্ষেপ্ত হওয়ার জন্য এই যবানের কামাই ছাড়া আর কি কিছু আছে নাকি?

- ইবনে মাজাহ

(আবু ঈসা বলেন) হাদীসটি হাসান-সহীহ।
* একটি বাক রীতি। কোন কথার গুরুত্ব বুঝাতে এবং শ্রোতার মনোযোগ আকর্ষণার্থে এই বাক-ভঙ্গিমা ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
—জামে' তিরমিযী, ইফা নং ২৬১৭

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ ইসহাক মাহমুদ
মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

৩৪১৮৬

দুর্বল ঈমান শক্তিশালী করার আমল ও কৌশল


৩ জুন, ২০২৩

যশোর, Khulna, Bangladesh

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী

২৫১৯৮

যে ব্যক্তির একই গুনাহ বার বার হয়ে যায়; তার প্রতি পরামর্শ


১৫ নভেম্বর, ২০২২

X৭৬৫+GW৩

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী

২৯২৮২

স্মরণশক্তি বৃদ্ধির আমল ও দোয়া


১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

ঢাকা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী

২৫৯৭২

যাদু কাটানোর জন্য নাভি খোলা এবং মুক্তির সহিহ তরিকা


৩০ নভেম্বর, ২০২২

ইকুরিয়া

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy