আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

গোসল ও কাফন পরানোর নিয়ম

প্রশ্নঃ ২৩১২১. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমার প্রশ্ন হল যে পুরুষ ও মহিলা উভয় মারা গেলে গোসলের নিয়ম কানুন বলে দেবেন। পুরুষ ও মহিলা উভয় কাফনের কাপড়ের পারানোর নিয়ম কানুন দয়া করে বলে দিলে খুবই উপকৃত হবে। আমার এই কথাগুলি মধ্যে কোনো রকম আপনার মনে কোনো রকমের কষ্ট পেলে দয়াকরে খমা করে দেবেন,

২৪ নভেম্বর, ২০২৩

ঢাকা

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


কাফন ও দাফনের নিয়মাবলী |
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
মহিলাদের      জন্য     সুন্নাত     মোতাবেক     কাফন  পাঁচটি।   যথা-
(১)   লিফাফাহ,
(২)  ইযার,
(৩) কামীস,
(৪) সীনাবন্ধ ও
(৫) ওড়না।

পুরুষের জন্য সুন্নাত মোতাবেক  কাফন তিনটি। যথা-
(১)      লিফাফাহ    (চাদর)    ,
(২)     ইযার (তাহবন্দ) ও
(৩) কামীস (জামা) ।

বিঃ দ্রঃ – হিজড়া অর্থাৎ মেয়েলি স্বভাবের পুরুষদেরকেও মহিলাদের     অনুরূপ       পাঁচটি      কাফন     পরাতে  হবে।

কাফনের বিস্তারিত বিবরণ
কাফন-দাফনের নিয়মাবলী
(১) লিফাফাহ অর্থাৎ চাদর: মৃত ব্যক্তির দেহের দৈর্ঘ্য  হতে  এতটুকু   পরিমাণ  বড়      হতে  হবে, যাতে উভয় প্রান্তে বাঁধা যায়।

(২)   ইযার    অর্থাৎ   তাহ্বন্দ:   মাথার   চুল   থেকে  পায়ের তালু  পর্যন্ত হতে   হবে   অর্থাৎ লিফাফাহ  হতে    এতটুকু     পরিমাণ    ছোট      হতে    হবে    যা বন্ধনের জন্য অতিরিক্ত রাখা হয়েছিল।

(৩)   কামীস  বা  জামা:  গর্দান থেকে  হাঁটুর  নিচ পর্যন্ত     হতে     হবে      এবং      সামনে     ও     পিছনে উভয়দিকে   সমান   হতে    হবে।   এতে    কল্লি   ও আস্তিন   থাকতে  পারবে  না।   পুরুষদের   কামীস কাঁধের    উপরিভাগে    আর    মহিলাদের    কামীস  সীনার দিকে ছিড়তে হবে।

(৪)  সীনাবন্ধ:  এটা মহিলাদের স্তন থেকে নাভী পর্যন্ত হতে হবে। তবে রান পর্যন্ত হওয়াই উত্তম*। (বাহারে শরীয়াত, ১ম খন্ড, ৮১৮ পৃষ্ঠা)

সাধারণত প্রস্তুতকৃত কাফন ক্রয় করা হয়, এতে মৃতের দেহ অনুযায়ী সুন্নাত সম্মত সাইজ হওয়া জরুরী নয়। এটাও হতে পারে এত লম্বা হয় যে, অপচয়ের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত হযে যায়। তাই সতর্কতা এত রয়েছে; থান থেকে যেন প্রয়োজন অনুযায়ী কাপড় কাটা হয়।

মৃত ব্যক্তিকে গোসল দেয়ার নিয়মাবলী
আগরবাতি  বা লোবান বাতির ধোঁয়া দ্বারা   তিন বা পাঁচ বা সাতবার গোসলের খাটে ধোঁয়া দিতে হবে অর্থাৎ তিন  বা পাঁচ  বা  সাতবার আগর  বা লোবান বাতিকে খাটের চারপাশে ঘুরাতে হবে। অতঃপর   মৃত   ব্যক্তিকে   খাটের   উপর   এভাবে  শোয়াতে  হবে যেভাবে কবরে তাকে  শোয়ানো  হয়। কাপড় দ্বারা নাভী  থেকে  হাঁটু পর্যন্ত সতর ঢেকে  রাখতে  হবে।    (বর্তমানে  গোসল  দেয়ার সময়    সাদা   কাপড়    দ্বারা   মৃত   ব্যক্তির    সতর এমনভাবে  ঢেকে  রাখা    হয়,  যার     ফলে   পানি ঢালার সাথে সাথেই তার লজ্জাস্থান ভেসে উঠে। তাই খয়েরী বা গাঢ় রঙের কোন মোটা কাপড় দ্বারা তার সতর এমনিভাবে ঢেকে রাখতে হবে, যাতে  পানি ঢালার পর তার লজ্জাস্থান ভেসে না উঠে। কাপড়   ডাবল  করে  দিয়েই সতর ঢেকে রাখা  উত্তম।)  অতঃপর  গোসলদানকারী  ব্যক্তি  নিজ    হাতে    একটি      কাপড়    জড়িয়ে    প্রথমে তাকে    উভয়   দিকে   ইস্তিন্জা   করাবেন   (অর্থাৎ  পানি   দ্বারা তাকে    শৌচ কর্ম করাবেন) তারপর নামাযের  অযুর  মত তাকে অযু করাবেন  অর্থাৎ তিনবার    মুখমন্ডল,    কনুইসহ    তিনবার    উভয়  হাত,  অতঃপর  মাথা  মাসেহ  ও  তিনবার  উভয়  পা ধুইয়ে  দিবেন। মৃত  ব্যক্তিকে অযু করানোর  সময় প্রথমে উভয় হাত কবজি পর্যন্ত ধৌত করা, কুলি  করানো  ও     নাকে    পানি  দেয়া  আবশ্যক নয়।   তবে   কোন   কাপড়    বা    রুইয়ের   পুটলি  ভিজিয়ে  তা দ্বারা  দাঁত, মাড়ি    ঠোঁট  ও নাকের ছিদ্র    ইত্যাদি  মুছে  দেয়া      উত্তম।  তারপর  মৃত ব্যক্তির  চুল,   দাঁড়ি থাকলে  তা  ধুইয়ে দিবেন। অতঃপর মৃত ব্যক্তিকে বাম কাতে শোয়ায়ে কুল (বরই)  পাতা  দিয়ে  গরম  করা    পানি,  আর  তা পাওয়া    না  গেলে  বিশুদ্ধ  মৃদু  গরম  পানি   মাথা থেকে পা পর্যন্ত   তার  শরীরে   উপর  এমনিভাবে ঢেলে   দিবেন  যাতে   পানি    তক্তা  পর্যন্ত    পৌছে যায়।    অতঃপর    তাকে    ডান    কাতে    শোয়ায়ে  অনুরূপভাবে    পানি    ঢেলে    দিবেন।    তার    পর  হেলান     দিয়ে    তাকে    বসিয়ে       পেটের    নিচের অংশের   উপর    আস্তে  আস্তে  হাত  দ্বারা  মালিশ   করবেন।  পেট   হতে কিছু বের  হলে  তা   ধুইয়ে পরিস্কার     করে     দিবেন।     এমতাবস্থায়     তাকে  পুনরায়    অযু    ও    গোসল    করানোর    প্রয়োজন  নেই।    অতঃপর    মাথা    থেকে    পা    পর্যন্ত    তার  শরীরের  উপর  তিনবার     কাপুরের   পানি  ঢেলে দিবেন     এবং   কোন   পবিত্র  কাপড়  দ্বারা   তার শরীর  আস্তে   আস্তে  মুছে   নিবেন।    মৃত  ব্যক্তির সমস্ত শরীরে একবার পানি প্রবাহিত  করা ফরয আর    তিনবার   প্রবাহিত    করা   সুন্নাত।   (মৃতের গোসলদানে   অতিরিক্ত  পানি   প্রবাহিত  করবেন না। মনে রাখবেন! আখিরাতে এক  বিন্দু বিন্দুর হিসাব হবে)

পুরুষকে কাফন পরানোর পদ্ধতি
আগর বা  লোবান বাতির ধোঁয়া  দ্বারা কাফনকে এক বা তিন বা পাঁচ বা সাতবার ধোঁয়া দিবেন। অতঃপর কাফন এমনভাবে বিছাবেন যে, প্রথমে খাটে  লিফাফা

অর্থাৎ   বড়   চাদর,  এর   উপর ইযার    বা    তাহবন্দ    এবং    এর    উপর    কামীস  রাখবেন।     অতঃপর     মৃত    ব্যক্তিকে     কাফনের উপর   শোয়ায়ে তাকে   কামীস পরাবেন।  এখন দাঁড়িতে   (আর   দাঁড়ি  না   থাকলে  চিবুকে)  ও সমস্ত     শরীরে     সুগন্ধি     মালিশ     করে    দিবেন।  কপাল, নাক, হাত,  হাঁটু ও পা   ইত্যাদি অঙ্গ যা দ্বারা   সিজদা   করা   হয়   তাতে   কাপুর   লাগিয়ে  দিবেন।   অতঃপর   তাহবন্দ      প্রথমে    বাম   দিক থেকে    তারপর    ডান    দিক   থেকে    জড়াবেন। শেষে  লিফাফাহ   বা   চাদরও   প্রথমে  বাম   দিক থেকে তারপর ডান দিক থেকে জড়াবেন মাথা ও পায়ের দিকে বেঁধে দিবেন। যেন ডান দিকের অংশ উপরে থাকে।


মহিলাদেরকে কাফন পরানোর নিয়ম
মহিলাদেরকে  কামীস  পরিধান  করিয়ে  তাদের  চুলগুলোকে   দুইভাগে   বিভক্ত   করে   কামীসের  উপর দিয়ে বুকের উপরে রেখে দিবেন। তারপর অর্ধ   পিঠের   নিচে   ওড়না   বিছিয়ে   তা   মাথার  উপর দিয়ে এনে  মুখের   উপর নিকাবের   মতো করে  দেন,  যেন  বুকের  উপর থাকে। ওড়নার  দৈর্ঘ্য হতে হবে অর্ধ  পিঠ থেকে বুক পর্যন্ত এবং প্রস্থ  হতে  হবে  এক  কানের  লতি  থেকে  অপর  কানের লতি পর্যন্ত। কতিপয় লোকেরা মহিলারা জীবদ্দশায়    যেভাবে    মাথায়    ওড়না     পরিধান  করতো        সেভাবেই        মহিলাদেরকে        ওড়না  পরিধান করান।   কিন্তু এটা  সুন্নাতের  পরিপন্থী। অতঃপর   পুরুষদের    ন্যায়   ইযার   ও    লিফাফাহ জড়াবেন। অবশেষে  সবগুলোর   উপরে  স্তনের উপরিভাগ  থেকে  রান    পর্যন্ত সীনাবন্ধ জড়ায়ে সূতা বা রশি দ্বারা বেধে দিবেন*।)


*আজকাল মহিলাদের কাফনেও লিফাফাই সবশেষে দেয়া হয়। যদি কাফনের পর সীনাবন্দ রাখা হয় তবুও কোন সমস্যা নেই কিন্তু উত্তম হলো, সীনাবন্দ সবার শেষে দেয়া।

জানাযার নামাযের পর দাফন
(জানাযা উঠানোর পদ্ধতি এবং জানাযা নামাযের পদ্ধতি নামাযের আহকাম থেকে অধ্যয়ন করুন)

(১)জানাযার    লাশবাহী    খাট    কবরের    নিকট কিবলার      দিকে      রাখা      মুস্তাহাব      যাতে      মৃত ব্যক্তিকে  কিবলার  দিক  থেকে  কবরে  নামানো  যায়। কবরের পায়ের দিকে জানাযার খাট রেখে মাথার      দিক      থেকে      মৃত      ব্যক্তিকে      কবরে  নামাবেন না (বাহারে শরীয়াত, ১ম খন্ড, ৮৪৪ পৃষ্ঠা)।


(২) প্রয়োজনানুসারে দুইজন বা  তিনজন   সবল ও নেককার ব্যক্তি কবরে নেমে লাশ নামাবেন। মহিলার লাশ মুহরিম ব্যক্তিই নামাবেন। মুহরিম না    থাকলে    অন্যান্য    আত্মীয়রা,      তারাও     না থাকলে     কোন      পরহেজগার    ব্যক্তির    মাধ্যমে মহিলার লাশ কবরে নামাবেন (আলমগিরী, ১ম খন্ড, ১৬৬ পৃষ্ঠা)।
(৩) মহিলার লাশ কবরে নামানোর সময় থেকে তক্তা লাগানোর সময় পর্যন্ত কোন কাপড় দ্বারা কবর ঘিরে রাখবেন।

(৪)  মৃত   ব্যক্তিকে   কবরে  নামানোর  সময়  এ    দোয়াটি পাঠ করবেন:

بِسْمِ اللهِ وَ بِا للهِ وَعَلٰى مِلَّتِ رَسُوْلِ اللهِ
(তানবিরুল আবছার, ৩য় খন্ড, ১৬৬ পৃষ্ঠা)

(৫) মৃত ব্যক্তিকে কবরে ডান কাতে রেখে তার মুখ কিবলার দিকে করে দিবেন এবং কাফনের  বাঁধনগুলো  খুলে   দিবেন।  কেননা,  এখন   আর বাঁধনের   প্রয়োজন    নেই,     বাঁধন   না     খুললেও কোন অসুবিধা নেই। (আলমগিরী, ১ম খন্ড, ১৬৬ পৃষ্ঠা)

(৬)    কাঁচা    ইট*   দ্বারা   কবরের   মুখ    বন্ধ    করে  দিবেন। মাটি      নরম  হলে কবরের মুখে কাঠের তক্তা ব্যবহার করাও জায়েজ। (বাহারে শরীয়াত, ১ম খন্ড, ৮৪৪ পৃষ্ঠা)


(কাঁচা ইট কবরের অভ্যন্তরীণ অংশে আগুনে পোড়া ইট লাগানো নিষেধ। কিন্তু অধিকাংশ জায়গায় এখন সিমেন্টের দেওয়াল সমূহ এবং লেপের রেওয়াজ রয়েছে। এজন্য সিমেন্টের দেয়াল এবং সিমেন্টের তকতা সমূহের ঐ অংশ যা ভিতরের দিকে থাকবে তা কাঁচা মাটির কাদা দ্বারা লিপে দিবে। আল্লাহ্ তাআলা মুসলমানদের আগুনের প্রভাব থেকে হিফাযত রাখুক।
اٰمِين بِجا  هِ  النَّبِىِّ الْاَمين صَلَّی اللہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم

(৭)   তারপর   কবরে    মাটি   দিবেন    এ      ক্ষেত্রে  মুস্তাহাব   হলো,  উভয়     হাত  দ্বারা  মাথার   দিক  থেকে তিনবার   মাটি   ফেলা।    প্রথমবার **  مِنْهَا  خَلَقْنٰكُمْ বলবেন, দ্বিতীয়  বার **وَفِيْهَا  نُعِيْدُكُمْ ও  তৃতীয়বার  وَمِنهَا  ***نُخْرِجُكُمْ  تَارَةً اُخْرٰى বলবেন। অবশিষ্ট      মাটিগুলো      কোদাল      ইত্যাদি      দ্বারা  ফেলবেন। (জওহারা, ১৪১ পৃষ্ঠা)

(আমি মটি থেকেই তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি) (**আর তাতে তোমাদেরকে প্রতার্বতণ করানো হবে) (***আর এর থেকে তোমাদেরকে পূনরায় বের করা হবে)

(৮)     যতটুকু     মাটি     কবর     থেকে     বের     করা  হয়েছিল,  তার চেয়ে অধিক মাটি  কবরে   ফেলা মাকরূহ। (আলমগিরী, ১ম খন্ড, ১৬৬ পৃষ্ঠা)

(৯)  কবর   উটের   কুঁজের  ন্যায়  ঢালু   করবেন।  চার কোণা বিশিষ্ট করবেন না। (যেমন বর্তমানে দাফনের    কিছুদিন   পর  অনেকেই  ইট   ইত্যাদি দ্বারা  কবরকে চার  কোণা বিশিষ্ট  করে  থাকে। (রদ্দুল মুখতার, ৩য় খন্ড, ১৬৯ পৃষ্ঠা)


(১০) কবর মাটি   থেকে  এক বিঘত উচুঁ বা  এর চাইতেও সামান্য উচুঁ করবেন। (প্রাগুক্ত, ১৬৮ পৃষ্ঠা)


(১১) দাফনের পর কবরের  উপর  পানি ছিটিয়ে দেয়া সুন্নাত। (ফতোওয়ায়ে রযবীয়া, ৯ম খন্ড, ৩৭৩ পৃষ্ঠা)

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ শফিকুল ইসলাম হাটহাজারী
মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিয়া মুহাম্মাদিয়া আরবিয়া মোহাম্মদপুর

প্রসঙ্গসমূহ:

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

২৬০২৩

যাদেরকে কবর দেওয়া হয় না, তাদের শাস্তি কিভাবে দেওয়া হবে?


১০ ডিসেম্বর, ২০২২

নবীনগর

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী মুহাম্মাদ রাশেদুল ইসলাম

৩৪১৯৩

কবর বা মাজারে ফুল দেওয়া যাবে কি?


৩ জুন, ২০২৩

ওয়েস্ট বেঙ্গল

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী

৩৩০৭৩

স্বজনের কান্নাকাটির কারণে মৃত ব্যক্তির কবরে আজাব হবে?


৫ জানুয়ারী, ২০২৪

Khulna

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি জাওয়াদ তাহের

২৭৪৫৭

মৃত্যুর পর প্রাণীদের রূহ কোথায় থাকে?


১৯ জানুয়ারী, ২০২৩

ঢাকা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy