প্রশ্নঃ ২১৮৮. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমাদের গ্রামে এই প্রথা চালু আছে যে, যদি কোনো ব্যক্তি চুরি করে বা ব্যাভিচারে লিপ্ত হয় তাহলে তাদের বিচার করা হয়। এবং বিচারে তাদের জরিমানা করা হয়। এবং সেই টাকা বিচারকেরা বণ্টন করে নেয়। আর ব্যাভিচারী উভয়ে যদি অবিবাহিত হয় তাদের বিয়ে করিয়ে দেওয়া হয়। আর বিবাহিত হলে শুধু ছেলের জরিমানা হয়। আমার মন চায়, এই টাকাগুলো জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করা হোক। এই সব কাজের কোনটা জায়েয আর কোনটা নাজায়েয শরীয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে জানিয়ে বাধিত করবেন।
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
চুরি, ব্যভিচার এ ধরনের কোনো অপরাধের বিচার হিসাবে টাকা বা কোনো কিছু জরিমানা করা বৈধ নয়। দ্বিতীয়তঃ অভিযুক্তদের থেকে জরিমানা আদায় করে বিচারকদের তা নিয়ে নেওয়া সম্পূর্ণ হারাম। জরিমানার এ টাকা জনকল্যাণমূলক কাজেও লাগানো যাবে না। বরং এ টাকা মালিককেই ফেরত দিতে হবে।
প্রকাশ থাকে যে, চুরি ও ব্যাভিচারের শাস্তি শরীয়ত কর্তৃক নির্ধারিত। সালিশ কর্তৃক জরিমানা আদায় করা বা তাদের পরস্পরে বিয়ে করিয়ে দেওয়া এগুলো উক্ত অপরাধের শাস্তি নয়। এছাড়া শরীয়ত কর্তৃক নির্ধারিত শাস্তি প্রয়োগের অধিকার একমাত্র আদালত বা সরকারেরই। কোনো সালিশ বা ব্যক্তি তা প্রয়োগের অধিকার রাখে না। তবে চুরির অপরাধ প্রমাণিত হলে চুরিকৃত সম্পদ ফিরিয়ে দেওয়া বা এর ক্ষতিপূরণ আদায়ের জন্য সালিশের মাধ্যমে বাধ্য করা জায়েয। এ বাবদ যা পাওয়া যাবে তা মালিককেই ফেরত দিতে হবে। আর চুরি বা ব্যাভিচারে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে তওবা ও পর্দা-পুশিদার সাথে থাকা ইত্যাদি ব্যাপারে সালিশগণ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও তাদের অভিভাবকদেরকে সতর্ক করতে পারবে। সমাজে এহেন কাজের পুনরাবৃত্তি না হয় সে ব্যাপারে গণসচেতনা গড়ে তুলবে।
والله اعلم بالصواب
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন