আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ২১৭২৩. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, সকলের প্রিয় এবং সম্মানিত হওয়ার আমল সম্পর্কে বলুন,

২৬ আগস্ট, ২০২২

মীরসরাই

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم





রাসূল সা. এক হাদিসে বলেন,
حدثنا زهير بن حرب، حدثنا جرير، عن سهيل، عن أبيه، عن أبي هريرة، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم " إن الله إذا أحب عبدا دعا جبريل فقال إني أحب فلانا فأحبه - قال - فيحبه جبريل ثم ينادي في السماء فيقول إن الله يحب فلانا فأحبوه . فيحبه أهل السماء - قال - ثم يوضع له القبول في الأرض . وإذا أبغض عبدا دعا جبريل فيقول إني أبغض فلانا فأبغضه - قال - فيبغضه جبريل ثم ينادي في أهل السماء إن الله يبغض فلانا فأبغضوه - قال - فيبغضونه ثم توضع له البغضاء في الأرض " .
অর্থাৎ, আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ আল্লাহ যখন কোন বান্দাকে ভালবাসেন তখন জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) কে ডেকে পাঠান এবং বলেন, আমি অমুককে ভালবাসি, তুমিও তাকে ভালবাস। তিনি বলেন, তখন জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) তাকে ভালবাসেন। এরপর তিনি আসমানে ঘোষণা দিয়ে বলেন, নিশ্চয়ই আল্লহ অমুককে ভালবাসেন, সুতরাং আপনারাও তাকে ভালবাসুন। তখন আসমানের অধিবাসীরা তাকে ভালবাসে। তিনি বলেন, এরপর পৃথিবীবাসীর অন্তরে তার গ্রহণযোগ্যতা স্থাপিত হয়, (সে মকবুল বান্দা হিসেবে গণ্য হয়)।

আর আল্লাহ যখন কোন বান্দাকে অপছন্দ করেন তখন জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) কে ডেকে বলেন, আমি অমুক বান্দাকে অপছন্দ করি, তুমিও তাকে অপছন্দ কর। তিনি বলেন, তখন জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) তাকে অপছন্দ করেন। এরপর তিনি আসমানের অধিবাসীদের প্রতি ঘোষণা দিয়ে বলেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’আলা অমুককে অপছন্দ করেন। সুতরাং আপনারাও তাকে অপছন্দ করুন। তিনি বলেন, তখন তারা তার তাকে অপছন্দ করেন। এরপর পৃথিবীবাসীর অন্তরে তার প্রতি অপছন্দনীয়তা স্থাপিত হয়। [সহীহ মুসলিম, হাদিস নং- ৬৪৬৫]

আর আল্লাহ তাআলার ভালোবাসা কিভাবে লাভ করা যাবে সে ব্যাপারে কুরআনে বলা হয়েছে,
قل إن كنتم تحبون الله فاتبعوني يحببكم الله ويغفر لكم ذنوبكم والله غفور رحيم
অর্থাৎ, বলুন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস, তাহলে আমাকে অনুসরণ কর, যাতে আল্লাহ ও তোমাদিগকে ভালবাসেন এবং তোমাদিগকে তোমাদের পাপ মার্জনা করে দেন। আর আল্লাহ হলেন ক্ষমাকারী দয়ালু। [আলে ইমরান : 31]

সারকথা সর্বক্ষেত্রে সুন্নাহভিত্তিক জীবন গড়লে আল্লাহর প্রিয় হওয়া যাবে। আর আল্লাহর প্রিয় হয়ে গেলে পুরো সৃষ্টিকুলের প্রিয় হওয়া যাবে।
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে তাওফিক দান করুন। আমিন।

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী মুহাম্মাদ রাশেদুল ইসলাম
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, মদিনা মুনাওয়ারা ৷

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

৮৫২৯১

ক্বারীদের থেমে থেমে পড়া কি সুন্নাহ?


৪ মার্চ, ২০২৫

নরসিংদী

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী শাহাদাত হুসাইন ফরায়েজী

৫০৩০৫

শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে বাঁচার উপায়


৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩

চাঁদপুর

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি জাওয়াদ তাহের

৪৯০৬৭

ঘুমানোর দুআ


১৯ ডিসেম্বর, ২০২৩

২PWJ+৩৩G

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী মুহাম্মাদ রাশেদুল ইসলাম

৬৬৮১৩

নবীজির নাম কতটি?


৮ জুলাই, ২০২৪

চট্টগ্রাম

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী সিরাজুল ইসলাম

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy