আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

মৃত ব্যক্তির নামায ও রোযার ফিদয়া কি? ফিদিয়া এতিম মাদ্রাসায় দেয়া যাবে?

প্রশ্নঃ ১৯৬২৮. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামুয়ালাইকুম১/ একজন ব্যক্তি মারা গেলেন কিন্তু তিনি অনেক বছর যাবত নামাজ ঠিক মতন পরেন নি তার নামাজ টার কাফফারা কিভাবে আদায় করব। আর কিছু বোঝাও বাকি এগুলো কাফফারা কিভাবে আদায় করব?২/আর এই কাফফারাগুলো কি কোন এতিম মাদ্রাসায় দেয়া যাবে কি?

১২ জুন, ২০২২
ঢাকা

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


(১)--- যদি মৃত ব্যক্তি তার সম্পদ থেকে তার নামায বা রোযার কাফফারা আদায়ের জন্য অসিয়ত করে যায়, আর তার নিজের মালও ছিল। তাহলে তার এক তৃতীয়াংশ সম্পদ থেকে কাফফারা আদায় করতে হবে।

আর যদি তার কোন সম্পদ না থাকে, বা সে মাল রেখে গেছে কিন্তু কোন কাফফারা আদায়ের অসিয়ত করে যায়নি। তাহলে মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে কাফফারা আদায় করা আত্মীয়দের উপর জরুরী নয়। তবে স্বজনদের কাফফারা আদায় করে দেয়াই উত্তম। এর দ্বারা মৃত ব্যক্তি শান্তি পায়।

নামাযের ফিদিয়া!
যদি কোন ব্যক্তি নামাযের কাযা আদায় না করেই মুমূর্ষ অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। কিংবা মারা যায়, তাহলে তার ইতোপূর্বের কাযা নামাযের ফিদিয়া দেয়ার বিধান আপতিত হয়।

প্রতিদিনকার কাযা করা বিতরসহ ছয় ওয়াক্ত নামায হিসেব করে প্রত্যেক ওয়াক্তের জন্য পৌনে দুই সের গম বা আটা অথবা এর বাজার মূল্য গরীব মিসকিনকে মালিক বানিয়ে দান করে দিতে হবে। অথবা প্রতি ওয়াক্তের বদলে একজন গরীবকে দুই বেলা তৃপ্তি সহকারে খানা খাওয়াতে হবে। যা সদকায়ে ফিতির এর টাকা পরিমাণ হয়। {ফতাওয়া শামী-২/৭২}

সহজ কথায়, প্রতিটি নামাযের জন্য সদকায়ে ফিতির পরিমাণ টাকা গরীবকে দান করে দিতে হবে।

(وَلَوْ مَاتَ وَعَلَيْهِ صَلَوَاتٌ فَائِتَةٌ وَأَوْصَى بِالْكَفَّارَةِ يُعْطَى لِكُلِّ صَلَاةٍ نِصْفَ صَاعٍ مِنْ بُرٍّ) كَالْفِطْرَةِ (وَكَذَا حُكْمُ الْوِتْرِ) وَالصَّوْمِ، وَإِنَّمَا يُعْطِي (مِنْ ثُلُثِ مَالِهِ) (الدر المختار-2/72

রোযার ফিদিয়া!
যদি কাযা করা রোযা রাখা সুযোগ আর বাকি না থাকে এমন অসুস্থ্য হয়ে পড়ে, বা মারা যায়, তাহলে তার রোযার ফিদিয়া দেবার বিধান আপতিত হয়।

এক্ষেত্রে প্রতি রোযার জন্য গরীবকে দুই বেলা খানা খাওয়াতে হবে। বা এর সমমূল্য দান করতে হবে। যার পরিমাণও সদকায়ে ফিতির পরিমাণ।

أَيَّامًا مَّعْدُودَاتٍ ۚ فَمَن كَانَ مِنكُم مَّرِيضًا أَوْ عَلَىٰ سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِّنْ أَيَّامٍ أُخَرَ ۚ وَعَلَى الَّذِينَ يُطِيقُونَهُ فِدْيَةٌ طَعَامُ مِسْكِينٍ ۖ فَمَن تَطَوَّعَ خَيْرًا فَهُوَ خَيْرٌ لَّهُ ۚ وَأَن تَصُومُوا خَيْرٌ لَّكُمْ ۖ إِن كُنتُمْ تَعْلَمُونَ [[٢:١٨٤]

গণনার কয়েকটি দিনের জন্য অতঃপর তোমাদের মধ্যে যে, অসুখ থাকবে অথবা সফরে থাকবে, তার পক্ষে অন্য সময়ে সে রোজা পূরণ করে নিতে হবে। আর এটি যাদের জন্য অত্যন্ত কষ্ট দায়ক হয়, তারা এর পরিবর্তে একজন মিসকীনকে খাদ্যদান করবে। যে ব্যক্তি খুশীর সাথে সৎকর্ম করে, তা তার জন্য কল্যাণ কর হয়। আর যদি রোজা রাখ, তবে তোমাদের জন্যে বিশেষ কল্যাণকর, যদি তোমরা তা বুঝতে পার। [সূরা বাকারা-১৮৩-১৮৪]

(২)--- জী, যাবে।

والله اعلم بالصواب

আরিফুর রহমান মুফতী, ফাতাওয়া বিভাগ, মুসলিম বাংলা গবেষক, হাদীস বিভাগ, মুসলিম বাংলা

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর