প্রশ্নঃ ১৭৬৯৮. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ আমার বয়স ৪০ বছর আমার প্রেসার এর সমস্যা রয়েছে কোন সময় অনেক বেড়ে যায় আবার কোন কোন সময় অনেক কমে যায়। ডায়াবেটিকস রয়েছে মাঝে মধ্যে সুগার এমন ভাবে কমে যায় নামাজে বসা থেকে উঠে দাঁড়ানোর পরে চোখে কিছুই দেখি না।আমি পর পর ২ টা রোজা রাখতে পারি নাই সফর এর জন্য আর ১ টা রোজা ক্লান্তি ও মানুষিক দুশ্চিন্তার কারনে ভেঙ্গে ফেলেছি কাফারা করার নিয়মে বলা হয়েছে একাধারে ৬০ রোজা রাখতে হবে অথবা ৬০ জন মিসকিন কে ২ বেলা খাবার দিতে হবে। আমি একা ধারে ৬০ টা রোজা রাখতে পারবো না। আমার এমন সামর্থ নেই ৬০ জন মিসকীনকে ২ বেলা খাবার খেতে দিবো। আমি কি করবো আল্লাহ্ কি আমাকে এর জন্য সাজা দিবেনআমি ঈদের পরে যে রোজা ভেঙ্গেছি তা কাজা করতে পারবো।আমার করণীয় কি ?? জাযাকাল্লাহ খায়রান।
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
সফরের কারণে (যদি সেটা শরঈ সফর হয়) যে দুটো রোজা ভেঙ্গেছেন তা শুধু কাজা করতে হবে । কাফফারা দিতে হবে না। আর ক্লান্তির কারণে যেটা ভেঙ্গেছেন সেটাও যদি অনন্যোপায় অবস্থার করণে ভেঙ্গে থাকেন তাহলে সেটারও শুধু কাজা করতে হবে। কাফফারা দিতে হবে না। তবে যদি ক্লান্তির পরিমাণ সেই মাত্রায় না হয়, এবং ইচ্ছে করলে রোজাটা রাখা যেত তাহলে সেটার কাফফারা দিতে হবে। কাফফারা যদি এখনই আদায় করতে না পারেন তাহেল আপাতত কাজা আদায় করে আল্লাহ তায়ালার কাছে সামর্থের জন্য দুয়া এবং চেষ্টা করতে থাকুন। আর ৬০ জন মিসকিনকে একসাথেও খাবার দেওয়া আবশ্যক নয়। ধাপে ধাপে, সাধ্যানুযায়ী যেকোনো সময় খাওয়ালেই কাফফারা আদায় হয়ে যাবে।
والله اعلم بالصواب
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন