و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

রমজানের শেষ দশকের জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো জিকির আছে বলে আমাদের জানা নাই। তবে এই দিনগুলোতে কয়েকটি আমল বিশেষভাবে করতে হয়।

১. লাইলাতুল কদরের অনুসন্ধান।
আম্মাজান আয়েশা রা. রাসুলুল্লাহ সা. কে জিজ্ঞেস করেছেন যদি আমি লাইলাতুল কদর পেয়ে যাই তাহলে কোন দোয়া করবো। উত্তরে রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, নিম্নোক্ত দোয়া পাঠ করতে- اللهمَّ إنك عفوٌ تحبُّ العفوَ فاعفُ عني অর্থ: হে আল্লাহ নিশ্চয়ই আপনি ক্ষমাকারী। ক্ষমা করা আপনি পছন্দ করেন। দয়া করে আমাকে ক্ষমা করুন।

২. রাত জেগে ইবাদত করা
হজরত আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রমজানের শেষ দশকে রাসূলুল্লাহ সা. ইবাদতের জন্য কোমর বেঁধে ফেলতেন। অর্থাৎ ইবাদতের পূর্ণ প্রস্তুতি গ্রহণ করতেন। সারা রাত জেগে ইবাদত করতেন এবং নিজ পরিবার-পরিজনকেও জাগিয়ে দিতেন। (সহিহ বুখারি ও মুসলিম)

হজরত আয়েশা রা. আরো বলেন, ‘ রাসূলুল্লাহ সা. রমজানের শেষ দশকে যে পরিমাণ পরিশ্রম করতেন, প্রথম দুই দশকে তা করতেন না। (মুসলিম শরীফ : ১১৭৫)

৩. ইতিকাফ করা

হাদিসে আছে, আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সা. প্রতি বছর রমজানের শেষ ১০ দিন ইতিকাফ করতেন। যে বছর তাকে তুলে নেয়া হয়, ওই বছর তিনি ২০ দিন ইতিকাফ করেছিলেন। (সহিহ বুখারি)

যেহেতু লাইলাতুল কদরের নির্ধারিত দিনক্ষণ হাদিসে বর্ণিত নেই। তাই ইতিকাফের মাধ্যমে লাইলাতুল কদর অনুসন্ধানে গুরুত্বারোপ করা উচিত।

৪. অধিক পরিমাণে সদকা করা।

والله اعلم بالصواب