আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ১৭০১০. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহ।হুজুর রোজার সময় সর্দি রোগ বিরাট মুসিবত মনে হচ্ছে। সাথে কাশিও আছে। মানুষ তো, রোবট তো না। আর কতবার বেসিনে পরিষ্কারের জন্য যাবো। এগুলো কোনো না কোনোভাবে ভিতরে যাচ্ছে। সাধ্যমতো চেষ্টা করতেছি ভিতরে না যেতে দেওয়ার। কিন্তু লাভ হচ্ছে না। হুজুর, এই অবস্থায় রোজার হুকুম কি এবং করণীয় কি?

১৬ এপ্রিল, ২০২২
Dhaka

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم





শরীয়তের বিধান হলো কফ গিলে ফেললে রোযা নষ্ট হবে না। কেননা উহা মুখের সাধারণ থুথুর অন্তর্গত। মুখের মধ্যে সাধারণ পানি যাকে থুথু বলা হয় তা দ্বারা রোযা নষ্ট হয় না।
সুতরাং কফ গিলে ফেলার দ্বারাও রোযা ভেঙ্গে যাবেনা।
(ফাতাওয়ায়ে রিয়াযুল উলুম ৩/৩০৩.
আপকে মাসায়েল আওর উনকা হল
৩/৪০৩)

এমনকি যদি থুথু মুখের মধ্যে একত্রিত করে গিলে ফেলে তাতেও রোযার কোন ক্ষতি হবে না।
তবে অনেকেই বলেছেন যে অনেক থুথু,কফ জমিয়ে গিলে ফেললে রোযা মাকরুহ হয়ে যাবে।

আবু সাঈদ খুদরী রা. থেকে বর্ণিত, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মুখ ভরে বমি হল। তিনি তখন বললেন-
ثلاث لا يفطرن الصائم : القيء، والحجامة، والحلم.
তিন বস্ত্ত রোযাভঙ্গের কারণ নয় : বমি, শিঙ্গা লাগানো ও স্বপ্নদোষ।-সুনানে কুবরা, বাইহাকী ৪/২৬৪

وفي الحجۃ سئل ابرإہیم عمن ابتلع بلغما قال إن کان أقل من ملٔ فیہ لا ینقض إجماعاً وإن کان ملٔ فیہ ینقض صومہ عند أبي یوسف وعند أبي حنیفۃ لا ینقض ہو المعتمد۔(مراقي الفلاح مع الطحطاوي :۳۶۲
যদি কফ মুখ ভরিয়ে না হয়,তার চেয়ে কম হয়,তাহলে সর্বসম্মিক্রমে রোযা ভাঙ্গিবেনা।
আর যদি মুখ ভরিয়ে হয়,তাহলে ইমাম আবু ইউসুফ রহঃ এর নিকটে রোযা ভেঙ্গে যাবে।
ইমাম আবু হানিফা রহঃ এর নিকটে রোযা ভেঙ্গে যাবেনা।
এটাই গ্রহনযোগ্য মত।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)
#ইফাতাওয়া

والله اعلم بالصواب

মুফতী মুহাম্মাদ রাশেদুল ইসলাম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, মদিনা মুনাওয়ারা ৷
প্রসঙ্গসমূহ:

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন