ওমরাহ করা কি ফরজ বা ওয়াজিব?
প্রশ্নঃ ১৬৮২. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, ক) আমার হজ্ব করার সামর্থ্য নেই, কিন্তু ওমরাহ করার সামর্থ্য আছে। এখন আমার জন্য কি ওমরাহ করা আবশ্যক? খ) হজ্বের মতো ওমরার জন্য কি নির্দিষ্ট সময় আছে? গ) শুনেছি, কাবা শরীফ দেখলে নাকি হজ্ব ফরয হয়ে যায়- এ কথা কি ঠিক? তাহলে আমি ওমরাহ করলে কি আমার উপর হজ্ব ফরয হয়ে যাবে? উপরোক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে শরঈ সমাধান জানালে কৃতজ্ঞ হব।
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
ওমরারর সামর্থ্য থাকলে জীবনে একবার ওমরাহ করা সুন্নতে মুআক্কাদাহ। অতএব এ অবস্থায় আপনার জন্য ওমরাহ করা সুন্নত। আর ওমরার জন্য কোনো নির্দিষ্ট সময় নেই। শুধু যিলহজ্ব মাসের ৯-১৩ তারিখ পর্যন্ত পাঁচ দিন ওমরাহ করা মাকরূহ। এছাড়া বছরের যে কোনো সময় ওমরাহ করা জায়েয আছে। আর রমযান মাসে ওমরাহ করা সবচেয়ে উত্তম। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, রমযানে একটি ওমরাহ করা আমার সাথে একটি হজ্ব করার সমতুল্য। -সহীহ বুখারী, হাদীস ১৮৬৩
আর কাবা শরীফ দেখলেই হজ্ব ফরয হয়ে যায়- এ ধারণা ঠিক নয়। হজ্ব ফরয হওয়ার সাথে কাবা শরীফ দেখা-না দেখার কোনো সম্পর্ক নেই। বরং হজ্ব ফরয হওয়ার জন্য শারীরিক সক্ষমতার পাশাপাশি হজ্বের মৌসুমে হজ্বে আসা-যাওয়ার খরচসহ তার অনুপস্থিতির দিনগুলোতে পরিবারের চলার মতো স্বাভাবিক খরচের ব্যবস্থা থাকতে হবে। তাছাড়া বাইরে থেকে ওমরার ভিসায় গিয়ে হজ্ব করা নিষেধ। তাই ওমরাহ করতে গিয়ে হজ্ব পর্যন্ত থেকে যাওয়ারও সুযোগ নেই।
والله اعلم بالصواب
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন