আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

পিল খেয়ে পিরিয়ড বন্ধ রাখা

প্রশ্নঃ ১৬২৭৭. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমার নতুন বিয়ে হয়েসে। রোজায় কি পিল খেতে পারো।,

২৭ জানুয়ারী, ২০২৫

রাজশাহী

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


মেডিকেল সায়েন্স-এর সুবাদে আমরা অনেকেই জানি, এক ধরনের পিল বা ওষুধ আছে যা আগেভাগে সেবন করলে নারীদের পিরিয়ড বিলম্বিত করা যায়। এ বিষয়ে বিভিন্ন উলামা ও ফকিহদের মত হলো, পিল খেয়ে পিরিয়ড বিলম্বিত করলে, নারীর শরীরে কিছু সমস্যা দেখা দেয়, শরীরে দূষিত রক্ত আটকে থাকার কারণে তার লিভার, কিডনি, পিত্তথলি এবং অন্যান্য কিছু অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে কিছু সমস্যা তৈরি হয় বা কখনো কখনো দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক সমস্যাও তৈরি হয়। তাই পিল খেয়ে পিরিয়ড বিলম্বিত না করাই উত্তম। এক্ষেত্রে তাদের জন্য আল্লাহর ফায়সালা মেনে নিয়ে রোজা ছেড়ে দেয়া এবং পরে কাযা আদায় করা ভালো।

এক্ষেত্রে কোনো ঈমানদার ডাক্তার যদি কোনো নারীকে পরামর্শ দেয় যে, পিল খেয়ে পিরিয়ড বিলম্বিত করে রোজা রাখা হলে সমস্যা হবে না, তাহলে সে বিষয়টি আমলে নিয়ে দেখতে পারে। অর্থাৎ এত ভাবে বলার পরও কেউ পিল খেয়ে পিরিয়ড বিলম্বিত করে রোজা রাখলে তার রোজা আদায় হয়ে যাবে; তবে তা শরীয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে অপছন্দনীয়।


বেশিরভাগ আলিম ও ফকীহদের মতে, ঋতুবতী মহিলারা পিরিয়ড কালে রমজানের রোজা না রাখতে পারলেও এর সওয়াব থেকে কোনো অংশেই বঞ্চিত হবে না। কারণ এটা তার শরীয়তের একটি ওজর ছিল। এটি তার তাকদীরে লিখা ছিল। অতএব এ বিষয়টিতে হা-হুতাশ না করে, তাকদীরের বিরোধিতা করার জন্য চেষ্টা না করে, আল্লাহ যেভাবে তাকে যে অবস্থায় রেখেছেন, সেটা মেনে নিয়ে, পরে রোজা রাখার সিদ্ধান্ত নেয়াটা সমীচীন বলে মনে করছি।

কারণ প্রাকৃতিকভাবে স্রষ্টা তার উপর বিষয়টি অর্পণ করেছেন। আর এ অবস্থায় আল্লাহর সিদ্ধান্ত যা, তার উপর ছেড়ে দিয়ে, যে কোনো উপায়ে রোজা না রেখে, পরবর্তীতে কাযা করার জন্য এগিয়ে গেলে, আল্লাহ তাকে যে আদেশ করেছিলেন সে আদেশটি তিনি পরিপূর্ণভাবে পালন করছেন- এই সুবাদে আল্লাহ তাকে অনেক সওয়াব এবং বরকত দেবেন।

কাজেই পিল খেয়ে পিরিয়ড বিলম্বিত করে রোজা না রেখে, বরং আল্লাহর সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে পুণ্যবতী নারী বা স্ত্রীগণ যদি রোজা ছেড়ে দেয় এবং পরে সুস্থ ও পবিত্র অবস্থায় রোজাটি কাযা করে নেয়, তাহলে রোজা রাখার যে সওয়াব প্রথমে ছিল, সেটা তো পাবেই, অতিরিক্ত আল্লাহ তা‘আলা তাকে আরো সওয়াব দান করবেন। আল্লাহ আমাদের সঠিক বিষয়টি বুঝে, সেভাবে আমল করার তাওফীক দিন। আমীন।

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি মোঃ ইমদাদুল হক
'মুসলিম বাংলা' ফাতওয়া বিভাগ।

প্রসঙ্গসমূহ:

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

৯০২২৫

শাবান মাসে কত তারিখ পর্যন্ত রোজা রাখা উচিত?


২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

ঢাকা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ আল কাউসার

৯২৮৩৩

রোযা অবস্থায় ঢেকুরের সাথে পানি বা খাবার মুখে এসে ভিতরে চলে গেলে ?


৪ মার্চ, ২০২৫

শিবচর

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী শাহাদাত হুসাইন ফরায়েজী

৩২৪৩৪

এমনিতে বীর্যপাত হলে রোজা ও নামাযের বিধান


৬ এপ্রিল, ২০২৩

ঢাকা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী

৩২৩৬৬

সাহরি ও আযানের মধ্যবর্তী সময়ে কিছু খাওয়া যাবে কি?


১০ এপ্রিল, ২০২৩

মুন্সিগঞ্জ

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy