আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ১৪১৭৮. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আল্লাহ তায়ালা বলেছেন যে " আমি আমার বান্দার যে কোন গুনাহ মাফ করে দিব শুধু শিরক ছাড়া যদি তা জমিন থেকে আসমান সমতুল্য হয় তাও ।" আবার, আল্লাহ তায়ালা হাশরের দিন আদম (আঃ) কে বলবেন যে তোমার সন্তান্দের মধ্যে থেকে হাজারে ৯৯৯ জন কে জাহান্নামে দাও । তাহলে আল্লাহ তায়ালা বললে্ন যে যেকোন গুনাহ মাফ করে দিবেন তাহলে এতজনকে জাহান্নামে দিবেন কেন ? উত্তরটা জানাবেন । জাজাকাল্লাহ খাইরন ।

২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
ঢাকা

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم




যারা জাহান্নামি হবে তারা সঙ্গত কারণেই জাহান্নামি হবে।
তাছাড়া এ প্রশ্নটি সাহাবায়ে কেরাম দেরও ছিল। যার সমাধান পাই আমরা একটি হাদিসে,
বুখারি ও মুসলিম শরিফে আবু সাইদ খুদরি (রা.)-এর বাচনিক বর্ণনায় রয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা আদম (আ.)-কে বলবেন, আপনি আপনার সন্তানদের মধ্য থেকে জাহান্নামিদের তুলে আনুন। তিনি জিজ্ঞেস করবেন, হে আল্লাহ, তারা কারা? আল্লাহ তাআলা বলবেন, এরা প্রতি হাজারে ৯৯৯ জন জাহান্নামি এবং মাত্র একজন জান্নাতি। এ কথা শুনে সাহাবায়ে কেরাম শিউরে ওঠেন। তাঁরা জিজ্ঞেস করেন, হে আল্লাহর রাসুল! আমাদের মধ্যে সে কে, যে ব্যক্তি জান্নাতের অধিবাসী হবে? তিনি জবাবে বলেন, চিন্তা কোরো না। এই ৯৯৯ জন জাহান্নামি ইয়াজুজ-মাজুজের মধ্য থেকে হবে। আর হাজারে তোমাদের মধ্য থেকে একজন হবে।
হাদিসের মূল আরবি ইবারত নিম্নরূপ :
صحيح البخاري (4/ 138)
عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الخُدْرِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: " يَقُولُ اللَّهُ تَعَالَى: " يَا آدَمُ، فَيَقُولُ: لَبَّيْكَ وَسَعْدَيْكَ، وَالخَيْرُ فِي يَدَيْكَ، فَيَقُولُ: أَخْرِجْ بَعْثَ النَّارِ، قَالَ: وَمَا بَعْثُ النَّارِ؟، قَالَ: مِنْ كُلِّ أَلْفٍ تِسْعَ مِائَةٍ وَتِسْعَةً وَتِسْعِينَ، فَعِنْدَهُ يَشِيبُ الصَّغِيرُ، وَتَضَعُ كُلُّ ذَاتِ حَمْلٍ حَمْلَهَا، وَتَرَى النَّاسَ سُكَارَى وَمَا هُمْ بِسُكَارَى، وَلَكِنَّ عَذَابَ اللَّهِ شَدِيدٌ " قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، وَأَيُّنَا ذَلِكَ الوَاحِدُ؟ قَالَ [ص:139]: " أَبْشِرُوا، فَإِنَّ مِنْكُمْ رَجُلًا وَمِنْ يَأْجُوجَ وَمَأْجُوجَ أَلْفًا. ثُمَّ قَالَ: وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ، إِنِّي أَرْجُو أَنْ تَكُونُوا رُبُعَ أَهْلِ الجَنَّةِ " فَكَبَّرْنَا، فَقَالَ: «أَرْجُو أَنْ تَكُونُوا ثُلُثَ أَهْلِ الجَنَّةِ» فَكَبَّرْنَا، فَقَالَ: «أَرْجُو أَنْ تَكُونُوا نِصْفَ أَهْلِ الجَنَّةِ» فَكَبَّرْنَا، فَقَالَ: «مَا أَنْتُمْ فِي النَّاسِ إِلَّا كَالشَّعَرَةِ السَّوْدَاءِ فِي جِلْدِ ثَوْرٍ أَبْيَضَ، أَوْ كَشَعَرَةٍ بَيْضَاءَ فِي جِلْدِ ثَوْرٍ أَسْوَدَ»

والله اعلم بالصواب

মুফতী মুহাম্মাদ রাশেদুল ইসলাম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, মদিনা মুনাওয়ারা ৷
প্রসঙ্গসমূহ:

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর