আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ১৩৯৮০. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, মেয়েদের স্বপ্নদোষ হয় আবার বীর্য বের হয় এগুলো আগে জানতাম না ।আমার আগে অনেক এরকম হয়েছে যে দুএকদিন পরপর সজাগ থাকা অবস্থাতেই অনেক উত্তেজনা হত তারপর আবার নিস্তেজ হয়ে যেত ।তারপর সাদা স্রাবের মত দেখলে মনে করতাম এগুলো সাদাস্রাব।নামাজ পরার সময় গোসল না করে অযূ করে নামাজ পরতাম। এইভাবেই প্রায় নয় বছরের নামাজ রোজা করেছি।তারপর এই সম্পর্কে জানতে পরি।তখন আমি মাসিক থেকে পবিত্র হবার পর ফরজ গোসল করেছি তাছাড়া আর ফরজ গোসল করি নাই।তারমানে পুরো মাসজুরে অপবিত্র অবস্থায় নামাজ পরতাম। তারমানে কি আমার আগের যত নামাজ রোজা করেছি সব বাতিল? এগুলো কিছুই কবুল হয় নাই।মনে হলে কান্না আছে।নামাজ রোজা সব কি এখন কাযা করতে হবে?নাকি না জানার কারনে আল্লাহ মাফ করবের নাকি করবেন না।?

২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
রুপগঞ্জ

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم





সম্মানিত প্রশ্নকারী!
মানবদেহে অনেক সময় জাগ্রত অবস্থায় যৌনউত্তেজনা সৃষ্টি হয়ে কিছুক্ষণ পর আবার নিস্তেজ হয়ে যায়। তারও কিছুক্ষণ পরে যৌনাঙ্গের মাথায় কিছুটা পিচ্ছিল পদার্থ দেখা যায়। ওই পদার্থের ব্যাপারে কথা হলো, যদি তা বের হওয়ার সময় সর্বাঙ্গে প্রবল যৌন উত্তেজনা ও যৌনসুখ অনুভূত হয়ে দ্রুত গতিতে শরীর থেকে বের হয় যায় তাহলে সেটা বীর্যপাত হিসেবে গণ্য হবে এবং এর কারণে গোসল ফরজ হবে। কিন্তু যদি ওই পদার্থ বের হওয়ার সময় দেহে বীর্যপাতকালীন গতি প্রাবল্য এবং কোনো ধরণের যৌনসুখ অনুভূত না হয় (বরং উত্তজনা প্রশমিত হওয়ার পর যৌনাঙ্গে পিচ্ছিল পদার্থ দেখা যায়) তাহলে ফিকহের পরিভাষায় তাকে ‘মজি’/কামরস বলা হয়। বীর্যের ন্যায় মজিও নাপাক। শরীরে বা কাপড়ে লাগলে শরীর বা কাপড় নাপাক হয়ে যাবে। তবে পার্থক্য হলো বীর্যস্থলন হলে গোসল ফরজ হয় কিন্তু মজি নির্গত হলে গোসল ফরজ হয় না তবে অজু ভেঙ্গে যায়।

আশা করছি এই দীর্ঘ বিবরণ থেকে আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেছেন। প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে যদি ওই পদার্থগুলো বীর্য হয়ে থাকে যার কারণে আপনার ওপর গোসল ফরজ ছিল কিন্তু গোসল না করায় আপনার ওই ইবাদতগুলো সঠিক হয়নি। কাজেই বর্তমান নামাজ-রোজা আদায়ের সাথে সাথে যথাসম্ভব আগেরগুলোও অদায় করে নিবেন। কিন্তু ওপরের বিবরণের আলোকে যদি সেগুলো মজি বলে সাব্যস্ত হয় তাহলে আপনার জন্য নামাজ-রোজা কাজা করতে হবে না।

والله اعلم بالصواب

মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি বাইতুল কুরআন মাদারাসা , মোহাম্মাদপুর
প্রসঙ্গসমূহ:

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন