প্রশ্নঃ ১৩৪৬৮. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, হায়েজের মুদ্দত কত দিন
২ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
টঙ্গী
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
হায়েযের সময়সীমাঃ
হায়েযের সময়সীমা কমপক্ষে ৩ দিন ৩ রাত এবং সর্বোচ্চ সময়সীমা ১০ দিন ১০ রাত। হায়েযের সময়ে অর্থাৎ হায়েযের দিনগুলোতে সর্বক্ষণ রক্ত আসা জরুরী নয় বরং নিয়মমত রক্ত আসার পর অভ্যাসের দিনগুলিতে বা ১০ দিন ১০ রাতের ভিতরে মাঝে মধ্যে দুই চার ঘন্টা বা এক দিন আধ দিন রক্ত বন্ধ থেকে আবার এলেও সেই মাঝখানের সময়কেও হায়েযের সময় ধরা হবে। সাদা রংয়ের পূর্বে সব ধরনের রংই হায়েযের রং।
হায়েযের মাসায়েলঃ
যেহেতু হায়েযের সর্বনিম্ন সময়সীমা কমপক্ষে ৩ দিন ৩ রাত আর সর্বোচ্চ সময়সীমা ১০ দিন ১০ রাত, অতএব কোন স্ত্রীলোকের ৩ দিন ৩ রাতের কম রক্তস্রাব হলে হায়েযের রক্ত বলে গণ্য হবে না, তাকে ইস্তেহাযার রক্ত ধরা হবে। এমনিভাবে ১০ দিন ১০ রাতের অধিক রক্তস্রাব হলে সর্বশেষ যে হায়েয এসেছিল তার চেয়ে যে কয়দিন বেশী হবে সে কয়দিনের রক্ত হায়েযের রক্ত বলে গণ্য হবে না, তাকে ইস্তেহাযার রক্ত ধরা হবে।
যদি কোন মেয়েলোকের জীবনের প্রথম রক্তস্রাব শুরু হয়েই ১০ দিনের চেয়ে বেশী হয়ে যায়, তাহলে তার ক্ষেত্রে মাসআলা হল সে ১০ দিন ১০ রাত হায়েয গণ্য করবে, অবশিষ্ট দিনগুলো এস্তেহাযা গণ্য করবে। আর যদি এরূপ মেয়েলোকের রক্ত বরাবর জারী থাকে মোটেই বন্ধ না হয়, তাহলে প্রতিমাসে ১০ দিন ১০ রাত হায়েয এবং মাসের অবশিষ্ট দিনগুলো এস্তেহাযা গণ্য করবে।
দুই হায়েযের মধ্যবর্তী স্রাব বা পবিত্রতার কিছু মাসায়েলঃ
১. দুই হায়েযের মধ্যবর্তী সময়ের মধ্যে কমপক্ষে ১৫ দিন পবিত্র থাকার সময়। অতিরিক্ত কোন সময়সীমা নির্দিষ্ট নেই। অতএব যদি কোন মেয়েলোকের ১ অথবা ২ দিন রক্তস্রাব দেখা দেয়ার পর ১৫ দিন পাক থাকে এবং আবার ১ অথবা ২ দিন রক্ত দেখে তাহলে মাঝখানের ১৫ দিন পবিত্রতার সময় আর এদিক ওদিক যে ১ বা ২ দিন রক্ত দেখেছে তা হায়েয নয় বরং তা ইস্তোহাযা। কারণ ৩ দিনের কম হায়েয হয় না।
২. যদি কোন মেয়েলোকের ৩ দিন ও রাত রক্ত দেখা দেয়, তারপর ১৫ দিন পাক থাকে; আবার ৩ দিন ৩ রাত রক্ত দেখা দেয়, তাহলে পুর্বের ৩ দিন ৩ রাত এবং পরের ৩ দিন ৩ রাত হায়েয ধরা হবে আর মধ্যকার দিনগুলি পাক থাকার সময় কোন স্ত্রীলোকের ৩ দিনের কম ১ অথবা ২ দিন রক্তস্রাব হয়ে পুনরায় ১ অথবা ২ দিন পাক থাকার পর আবারও যদি রক্তস্রাব দেখা দেয়, তবে সবগুলোকে হায়েয ধরে নিতে হবে।
>>>--
৩. কারও ১ অথবা ২ দিন রক্তস্রাব দেখা দেয়ার পর ১৫ দিনের কম অর্থাৎ, ১০/১২ দিন রক্তস্রাব বন্ধ রইল, তারপর আবার রক্তস্রাব দেখা দিল, এমতাবস্থায় যত দিন অভ্যাসের দিন ছিল, ততদিন হায়েয গণনা করা হবে, অবশিষ্ট দিনগুলো ইস্তেহাযা হিসেবে ধরে নিতে হবে।
والله اعلم بالصواب
মুসলিম বাংলা ফাতওয়া বিভাগ
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন
এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর
মাসায়েল-এর বিষয়াদি
আল কুরআনুল কারীম
৪
হাদীস ও সুন্নাহ
৬
তাসাউফ-আত্মশুদ্ধি । ইসলাহী পরামর্শ
৩
শরীআত সম্পর্কিত
১৪
ফিতনাসমুহ; বিবরণ - করণীয়
২
আখিরাত - মৃত্যুর পরে
৩
ঈমান বিধ্বংসী কথা ও কাজ
৬
ফিরাকে বাতিলা - ভ্রান্ত দল ও মত
২
পবিত্রতা অর্জন
৮
নামাযের অধ্যায়
১৯
যাকাত - সদাকাহ
৫
রোযার অধ্যায়
৬
হজ্ব - ওমরাহ
২
কাফন দাফন - জানাযা
৫
কসম - মান্নত
১
কুরবানী - যবেহ - আকীকা
৪
বিবাহ শাদী
৮
মীরাছ-উত্তরাধিকার
২
লেনদেন - ব্যবসা - চাকুরী
৯
আধুনিক মাসায়েল
৬
দন্ড বিধি
২
দাওয়াত ও জিহাদ
৩
ইতিহাস ও ঐতিহ্য
৬
সীরাতুন নবী সাঃ । নবীজীর জীবনচরিত
৩
সাহাবা ও তাবেঈন
৩
ফাযায়েল ও মানাকেব
৩
কিতাব - পত্রিকা ও লেখক
৩
পরিবার - সামাজিকতা
৭
মহিলা অঙ্গন
২
আখলাক-চরিত্র
২
আদব- শিষ্টাচার
১২
রোগ-ব্যধি। চিকিৎসা
২
দোয়া - জিকির
২
নাম। শব্দ জ্ঞান
৩
নির্বাচিত
২
সাম্প্রতিক
১
বিবিধ মাসআলা
১