প্রশ্নঃ ১৩২২২. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামু আলাইকুম,আল্লাহ আপনাদের এই মেহনতকে কবুল করুন।আমার প্রশ্ন হলো: আমি রাতে যখন ঘুমাই তখন নাকি ঘুমের ভিতর কি যেনো আওয়াজ করে খেতে থাকি।মনে হয় যেনো মুড়ি খেতে আছি।আমাকে অনেক বলছে যারা আমার পাশে ঘুমিয়েছে এবং ঘুমের ভিতরে কথা ও বলি।রাস্তায় হাঁটার সময় ও একা একা কথা বলি।মাঝে মাঝে ঘুমের ভিতরে শরীরে একটা ঝাড়া দেয় যেটা আমি নিজেই টের পাই এটা অনেক টাই প্রস্রাব করতে বসলে যেরকম শরীরে ঝাড়া দেয় সেই রকম। এখন আমি কি করতে পারি।কোনো তদবির লাগলে কার থেকে নিতে পারি বললে উপকৃত হতাম। উল্লেখ্য যে আমি যখন নতুন তাবলীগ এ গেছি।যাওয়ার পরে আল্লাহর দয়ায় যখন পরিবর্তন হয়ে গেলাম তখন এলাকার মানুষ আমার বাপকে বলছে ওর সাথে জিন আসছে।এই বলে এক হুজুর এনে তদবির করাইছে। হুজুর বলতো তার সাথে জিন আছে। কি একটা পড়ত আর সাথে সাথে শরীরে অনেক জোরে ঝাকি দিত। আর বলতো এখন কেউ কথা বলবেন না কারণ এখন জিন আসছে।আসলে ছিলো পুরাই ভন্ডামি।এই বলে পানি ডাব পড়া দিত।আর মাটি পরে দিত সেটা শরীরে মাখতাম এর দ্বারা কি আমার কোনো ক্ষতি হইছে যার জন্য এখন এগুলা হচ্ছে।
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
জিনের বিষয়টা যেহেতু আপনার কাছেই ভন্ডামী মনে হয়েছে তাহলে সেটা হতেও পারে। আর যেহেতু তার পর থেকে আপনি সমস্যা অনুভব করছেন কাজেই অন্য কোনো অভিজ্ঞ ও হক্কানী আলেম যিনি এসব বিষয় নিয়ে কাজ করেন তাদের স্মরণাপন্নও হতে পারেন। তবে এই পথে অনেকেউ প্রতারণার শিকার হয়।কাজেই সাবধানতা অবলম্বন করাও জরুরী।
আপনি সর্বদা অজু ও নেক আমলের সাথে থাকার চেষ্টা করুন। নিয়মিত তাসবিহাতের এহতেমাম করুন। বিশেষত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পরের তাসবিহ, ফজর মাগরিবের পরের তাসবিহ, সকাল সন্ধার আমলগুলো নিয়মিত করুন। রাতে ঘুমানের আগে অজু করে সুরা ইখলাস, নাস ও ফালাক পড়ে শরীরে ফুঁ দিন, আয়াতুল কুরসি, সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত, সূরা মুলক, সূরা কাফিরূন, ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ, ৩৩ বার আল হামদুলিল্লাহ, ৩৪ বার আল্লাহু আকবার পড়ুন তারপর ঘুমের দুআসমূহ পড়ার পর ঘুমিয়ে পড়ুন।
ইনশাআল্লাহ আশা করি ওই সমস্যাগুলো আর হবে না।
আল্লাহ তায়ালা আমলের তাওফিক দান করুন।
والله اعلم بالصواب
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন