و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

হযরত ইবনে উমর রাযি থেকে বর্ণিত-তিনি বলেন,
عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقْرَأُ عَلَيْنَا الْقُرْآنَ، فَإِذَا مَرَّ بِالسَّجْدَةِ كَبَّرَ، وَسَجَدَ وَسَجَدْنَا مَعَهُ»،
রাসূলুল্লাহ সাঃ নামাযে কুরআন তেলাওয়াত করতেন।যখনই কোনো সেজদার আয়াতে পৌছতেন,তখন তাকবীর বলে সোজা সেজদায় চলে যেতেন।এবং আমরাও উনার সাথে সেজদায় চলে যেতাম। (সুনানু আবি-দাউদ-১৪১৩)

নামাযে হোক বা নামাযের বাহিরে হোক, সর্বমোট ১৪ টি আয়াতে তেলাওয়াত করার পর সেজদা করা ওয়াজিব হয়। এ ওয়াজিব তরক করলে বান্দা অবশ্যই গোনাহগার হবে।

পুরো কোরআন শরিফের তেলাওয়াত শেষ করে একবারে বা এক বৈঠকে-১৪টি সিজদা আদায় করাও জায়েজ হবে। তবে তেলাওয়াতের সাথে সাথে আদায় করাটাই উত্তম।

আপনি যদি নামাযের বাহিরে তেলাওয়াত করে থাকেন তবে হিসাব করে যতটি তেলাওয়াতে সেজদা চলে গেছে ততটি তেলাওয়াতে সেজদা আদায় করে নিবেন।

আর যদি নামাযের ভিতরে তেলাওয়াত করে থাকেন এবং তেলাওয়াতে সেজদা পড়ার পর তিন আয়াতকে অতিক্রম না করে বরং এর ভিতরেই নামাযের রুকু করে সেজদায় চলে যান তাহলে বিনা নিয়তে নামাযের সেজদার সাথে আপনার উপর ওয়াজিব হয়ে যাওয়া তেলাওয়াতে সেজদা আদায় হয়ে গেছে। যেমন ফাতাওয়ায়ে শামীতে রয়েছে-
(وَ) تُؤَدَّى (بِسُجُودِهَا كَذَلِكَ) أَيْ عَلَى الْفَوْرِ (وَإِنْ لَمْ يَنْوِ) بِالْإِجْمَاعِ،
নামাযে আয়াতে সেজদা তেলাওয়াত করার পর সাথে সাথে নামাযের রুকু করে সেজদায় চলে গেলে বিনা নিয়তে নামাযের সেজদার সাথে তেলাওয়াতে সেজদা আদায় হয়ে যাবে। (ফাতাওয়ায়ে শামী-২/১১২)

আর যদি তেলাওয়াতের সিজদার পর তিনটির বেশি আয়াত তেলাওয়াত করা হয়, তাহলে যতক্ষণ না নামাযে আছেন ততক্ষণ তেলাওয়াতে সিজদা করা আবশ্যক। এক্ষেত্রে দেরি করার কারণে সাহু সিজদা করাও আবশ্যক।

যদি কেউ সালাম ফিরিয়ে ফেলে কিন্তু নামাজের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ কোন কাজ না করে থাকে, তবুও মনে পড়ার সাথে সাথেই সেজদায়ে তেলাওয়াত করা উচিত। তবে যদি কেউ নামায শেষ হওয়ার পর এমন কোন কাজ করে ফেলে যা নামাযের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় (যেমন, কথা বলা, কিবলা থেকে বুক ঘুরিয়ে ফেলা ইত্যাদি), তাহলে আর সেজদা করা যাবে না। নামাজের বাহিরেও ওই সেজদা কাজা করার সুযোগ নেই।

অতএব ইচ্ছাকৃতভাবে তেলাওয়াতের সিজদা বাদ দেওয়া অথবা ভুলে যাওয়ার পর মনে পড়ার পরও তেলাওয়াতের সিজদা না করা একটি গোনাহের কাজ। এর জন্য অনুতপ্ত হওয়া উচিত এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত।

তিলাওয়াতের সিজদার সময় দাঁড়ানো থেকে সিজদায় যাওয়া এবং সিজদা করে আবার দাঁড়িয়ে যাওয়া উভয়টিই মুস্তাহাব। তাই একাধিক তিলাওয়াতের সিজদা আদায় করতে চাইলেও এভাবেই করা উচিত। তবে বসে বসে সিজদা করলেও সিজদা আদায় হয়ে যাবে। আর তিলাওয়াতের সিজদার জন্য তাকবীর অর্থাৎ আল্লাহু আকবার বলে সিজদায় যাওয়া সুন্নত।

-মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবা ৩/৩৮৩ হা: ৪২০৮; আলবাহরুর রায়েক ২/১২৬; হাশিয়াতুত্তাহতাবী আলালমারারকী ২৬০; আদ্দুররুল মুখতার ২/১০৭

الدر المختار مع رد المحتار'' میں ہے:

"و يأثم بتأخيرها، و يقضيها مادام في حرمة الصلاة، ولو بعد السلام".

و في الرد: "(ويأثم بتأخيرها ...الخ)؛ لأنها وجبت بما هو من أفعال الصلاة، وهو القراءة و صارت من أجزائها، فوجب أدائها مضيقاً". (شامي، كتاب الصلاة، باب سجود التلاوة،٢/١١٠، ط:سعيد)

فتوی نمبر : 144008200551
دارالافتاء : جامعہ علوم اسلامیہ علامہ محمد یوسف بنوری ٹاؤن

والله اعلم بالصواب