আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

দাড়ি গজানোর আমল!!

প্রশ্নঃ ১২৯০২. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমি একজন মুসুল্লি ৫ ওয়াক্ত সালাত আদায় করি,,,আমি নবিজির সুন্নাত দাঁড়ি রাখতে চাই খুব ইচ্ছে কখন দাড়ি কাটব না কিন্তু আমার দাড়ি নাই,,,এটা নিয়ে আমার খুব খারাপ লাগে বন্ধুরাও এইটা নিয়ে মজা করে,,,,দাঁড়ি পাওয়ার জন্য কুরআন বা হাদিসে কোনো আমল আছে কি,,?জাযাকাল্লাহু খাইরান

২২ মে, ২০২৪
ঢাকা ১২১২

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


সম্মানিত প্রশ্নকারী!
ইসলাম এমন একটি স্বভাবজাত, প্রাকৃতিক ধর্ম, যার পরোতে পরোতে রয়েছে শৃঙ্খলা। যা মানুষকে আগামীদিনের পথ চলতে সাহায্য করে। আল্লাহ তায়ালার সৃষ্টিকূলের সেরা সৃষ্টি হলো মানুষ। আল্লাহ তায়ালা মানুষকে সৃষ্টি করেছেন সুন্দর থেকে সুন্দরতম অবয়ব দিয়ে। এক হাদিসে আছে নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা সুন্দর, সৌন্দর্য তিনি পছন্দ করেন। মানুষ হিসেবে আমরাও সৌন্দর্যকে ভালোবাসি। সুন্দর হতে চাই। দাড়ি পুরুষের সৌন্দর্যকে বহুগুণে বাড়িয়ে দেয় এটা সুপ্রমাণিত। কিন্তু এটা আল্লাহ তায়ালা যাকে ইচ্ছা দান করেন। যার দাড়ি সুন্দর এটা তার গৌরব নয় বরং আল্লাহ তায়ালার দান। পক্ষান্তরে যার দাড়ি কম বা অকারে ছোট কিংবা কুদরতী ভাবেই যাদের দাড়ি ওঠে না তারাও তিরস্কৃত নন বরং এটাই আল্লাহ তায়ালার কুদরত। এটা নিয়ে তার মনক্ষুণ্ন হওয়ার কিছু নেই। কোনো মানুষ যদি কাউকে নিছক দাড়িহীন হওয়ার কারণে তিরস্কার করে তাহলে আল্লাহ তায়ালার দরবার সে অপরাধী বলে সাব্যস্ত হবে।

এরচে’ বড় বিষয় হলো- যা সকল আকৃতির মানুষের জন্য মাননির্ণয়ক- আল্লাহ তায়ালার কাছে রূপের সৌন্দর্যই আসল সৌন্দর্য নয় । বরং ইমান এবং আমলে সৌন্দর্যই প্রকৃত সৌন্দর্য। হাদিস শরিফে রাসুলুল্লাহ সা. ইরশাদ করেন

إِنَّ الله لا يَنْظُرُ إِلى أَجْسامِكْم، وَلا إِلى صُوَرِكُمْ، وَلَكِنْ يَنْظُرُ إِلَى قُلُوبِكُمْ " رواه مسلم.
নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা তোমাদের দেহাবয়ব এবং রূপের সৌন্দর্য দেখেন না। তিনি দেখেন তোমাদের হৃদয়ের সৌন্দর্য কাজেই আমাদের উচিত চেহারা ও দেহাবয়বের সৌন্দর্যের প্রতি অধিক মনোনিবেশ না করে অত্মিক সৌন্দর্য হাসিলে ব্রতী হওয়া। আল্লাহ তায়ালা আমাদের তাওফিক দান করুন।
সম্মানিত প্রশ্নকারী!
ইসলাম এমন একটি স্বভাবজাত, প্রাকৃতিক ধর্ম, যার পরোতে পরোতে রয়েছে শৃঙ্খলা। যা মানুষকে আগামীদিনের পথ চলতে সাহায্য করে। আল্লাহ তায়ালার সৃষ্টিকূলের সেরা সৃষ্টি হলো মানুষ। আল্লাহ তায়ালা মানুষকে সৃষ্টি করেছেন সুন্দর থেকে সুন্দরতম অবয়ব দিয়ে। এক হাদিসে আছে নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা সুন্দর, সৌন্দর্য তিনি পছন্দ করেন। মানুষ হিসেবে আমরাও সৌন্দর্যকে ভালোবাসি। সুন্দর হতে চাই। দাড়ি পুরুষের সৌন্দর্যকে বহুগুণে বাড়িয়ে দেয় এটা সুপ্রমাণিত। কিন্তু এটা আল্লাহ তায়ালা যাকে ইচ্ছা দান করেন। যার দাড়ি সুন্দর এটা তার গৌরব নয় বরং আল্লাহ তায়ালার দান। পক্ষান্তরে যার দাড়ি কম বা অকারে ছোট কিংবা কুদরতী ভাবেই যাদের দাড়ি ওঠে না তারাও তিরস্কৃত নন বরং এটাই আল্লাহ তায়ালার কুদরত। এটা নিয়ে তার মনক্ষুণ্ন হওয়ার কিছু নেই। কোনো মানুষ যদি কাউকে নিছক দাড়িহীন হওয়ার কারণে তিরস্কার করে তাহলে আল্লাহ তায়ালার দরবার সে অপরাধী বলে সাব্যস্ত হবে।

এরচে’ বড় বিষয় হলো- যা সকল আকৃতির মানুষের জন্য মাননির্ণয়ক- আল্লাহ তায়ালার কাছে রূপের সৌন্দর্যই আসল সৌন্দর্য নয় । বরং ইমান এবং আমলে সৌন্দর্যই প্রকৃত সৌন্দর্য। হাদিস শরিফে রাসুলুল্লাহ সা. ইরশাদ করেন

إِنَّ الله لا يَنْظُرُ إِلى أَجْسامِكْم، وَلا إِلى صُوَرِكُمْ، وَلَكِنْ يَنْظُرُ إِلَى قُلُوبِكُمْ " رواه مسلم.
নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা তোমাদের দেহাবয়ব এবং রূপের সৌন্দর্য দেখেন না। তিনি দেখেন তোমাদের হৃদয়ের সৌন্দর্য কাজেই আমাদের উচিত চেহারা ও দেহাবয়বের সৌন্দর্যের প্রতি অধিক মনোনিবেশ না করে অত্মিক সৌন্দর্য হাসিলে ব্রতী হওয়া। আল্লাহ তায়ালা আমাদের তাওফিক দান করুন।

এতদসত্ত্বেও কিছু ‍কিছুআমল আছে যেগুলো করলে অত্মিক সৌন্দর্যের সাথে সাথে দৈহিক এবং চেহারার সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পায়। সেগুলো হলো

১. আমরা যখন নিজের চেহারা আয়না দেখি, তখন আল্লাহর শুকরিয়া স্বরূপ নিন্মোক্ত দোয়াটি পাঠ করতে পারি-

اللهم أَحسَنْتَ خَلْقي فأَحْسِنْ خُلُقي

দোয়াটি: উচ্চারণ- আল্লাহুম্মা আহসান্তা খালক্বি, ফাআহসিন খুলুক্বি।
অর্থ- হে আল্লাহ! আপনি আমাকে সুন্দর করে সৃষ্টি করেছেন। আপনি আমার চরিত্রকে সুন্দর করে দেন।
২. ইসলামী শরিয়তের এহতেমাম করা।
৩. হালাল হারাম বিচার করে চলা।
৪. নিয়মিত পাঁচওয়াক্ত নামাজ পুরুষ হলে জামাতে নারী হলে ঘরে আদায় করা।
৫. সদা পর্দাপুশিদার সাথে চলা।
৬.নিয়মিত জিকির করা।
৭. মেসওয়াক করা।
৮. সর্বদা সুন্নতী জিন্দেগীর প্রতি যত্নশীল হওয়া।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের তাওফিক দান করুন। আমিন।

والله اعلم بالصواب

মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি বাইতুল কুরআন মাদারাসা , মোহাম্মাদপুর
প্রসঙ্গসমূহ:

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন