আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ১২৫৮৩. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকতুহ, ১) ইদের দিনে বড়দের পা ছুয়ে সালাম করা কি হারাম কাজ?

১০ জানুয়ারী, ২০২২
ঢাকা ১২১৫

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم




আমাদের সমাজে অনেকেই মুখে সালাম দেওয়ার চেয়ে কদমবুসীকে বেশি গুরুত্ব প্রদান করেন। অনেকে আবার কদমবুসীকে সালাম করা বলি। অনেকে মুখে সালাম করি-না শুধু কদম বুসী করি। অথচ একজন মুসলমানের সাথে অন্যের দেখা হলে মুখে সালাম দেওয়া ও উত্তর প্রদান করা ইসলামী সুন্নাত। রসূলুল্লাহ (সা.) -এর দরবারে তাঁর ২৩ বৎসরের নবুয়াতী জীবনে তাঁর লক্ষাধিক সাহাবীর কেউ কেউ দুই একবার এসেছেন। কেউ কেউ সহস্রাধিকবার এসেছেন। এ সকল ক্ষেত্রে তাঁদের সুন্নাত ছিল সালাম প্রদান। কখনো কখনো দেখা হলে তাঁরা সালামের পরে হাত মিলিয়েছেন বা মুসাফাহা করেছেন। দু' একটি ক্ষেত্রে তাঁরা একজন আরেকজনের হাতে বা কপালে চুমু খেয়েছেন বা কোলাকুলি করেছেন। আবু বাকার, উমার, উসমান, আলী, ফাতিমা, বিলাল (রা.) ও তাঁদের মত অগণিত প্রথম কাতারের শত শত সাহাবী প্রত্যেকে ২৩ বছরে কমপক্ষে ১০ হাজার বার রসূলুল্লাহ (সা.)-এর দরাবারে প্রবেশ করেছেন। কিন্তু কেউ কখনো একবারও রসূলুল্লাহ (সা.) কদম মুবারক চুমু খাননি বা সেখানে হাত রেখে সেই হাতে চুমু খাননি। পা ছুয়ে সালাম করা অমুসলিমদের কাজ। আর তা সালাম নয়, তা আসলে প্রনাম। সুতরাং তা মুসলিমদের জন্য বৈধ নয়। আল্লাহ ছাড়া কারও জন্য মাথা নত করা বৈধ নয়। সালাম ও মুসাফাহাহ করার সময় মাথা নত করা বৈধ নয়। সালামের পর বিশেষ শ্রদ্ধাভাজনের দুই চোখের মাঝে কপালে চুম্বন করা বৈধ। জাফর (রাঃ) হাবশা থেকে ফিরে এলে রাসুল (সাঃ) তার সাথে মুআনাকা করে তার দুই চোখের মাঝে কপালে চুম্বন দিয়েছিলেন। [ইবনে উসাইমিন; সিলসিলাহ সহিহাহঃ ৬/১/৩৩৮।] পা ধরে সালাম বা কদমবুসি করা শরী‘আত সম্মত নয়। আনাস (রাঃ) বলেন, জনৈক ব্যক্তি এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের মধ্যে কোন ব্যক্তি যখন তার কোন ভাই বা বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাত করবে, তখন সে কি মাথা ঝুঁকাবে বা তাকে জড়িয়ে ধরবে বা চুমু খাবে? তিনি বললেন, না। লোকটি বলল, তাহ’লে কি কেবল হাত ধরবে ও মুছাফাহা করবে? রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, হ্যাঁ’। [তিরমিযী, মিশকাত হা/৪৬৮০ ‘শিষ্টাচার’ অধ্যায়, মুছাফাহা ও মু‘আনাক্বা অনুচ্ছেদ-৩।]

والله اعلم بالصواب

মোহাম্মদ আমীর হোসাইন, মুফতি ও মুহাদ্দীস, শাইখ আবু সাঈদ ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, মোহাম্মাদপুর।
প্রসঙ্গসমূহ:

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন