আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

হায়েজ অবস্থায় সহবাস

প্রশ্নঃ ১২৫৩৫. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, স্ত্রীর মাসিক চলাকালীন সময়ে অসতর্কতায় স্বামী স্ত্রীর মধ্যে সহবাস হয়ে গেলে শরিয়ত মোতাবেক কি করতে হবে? হযরত মুফতী সাহেবানদের কাছে জানতে চাই দয়া করে জানাবেন প্লিজ।,

৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

ঢাকা

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


হায়েজ অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করার সবচেয়ে বড় ক্ষতি হলো কবিরা গুনাহ করা এবং আল্লাহ ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিধানকে লঙ্ঘণ করা হারামে লিপ্ত হওয়া। এরচেয়ে বড় ক্ষতি আর কিছুই হতে পারে না! যে কর্মের মাধ্যমে মহান রাব্বুল আলামীন অসন্তুষ্ট হোন, তার বিধান লঙ্ঘিত হয় এর চেয়ে বড় এবং মারাত্মক ক্ষতি আর কি-ই হতে পারে?

আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে এবং রাসূলুল্লাহ সা. হাদিস শরিফে এ সময়ে সহবাস করতে নিষেধ করেছেন।
ইরশাদ হচ্ছে,
وَيَسْأَلُونَكَ عَنِ الْمَحِيضِ ۖ قُلْ هُوَ أَذًى فَاعْتَزِلُوا النِّسَاءَ فِي الْمَحِيضِ ۖ وَلَا تَقْرَبُوهُنَّ حَتَّىٰ يَطْهُرْنَ ۖ فَإِذَا تَطَهَّرْنَ فَأْتُوهُنَّ مِنْ حَيْثُ أَمَرَكُمُ اللَّهُ ۚ إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ التَّوَّابِينَ وَيُحِبُّ الْمُتَطَهِّرِينَ [٢:٢٢٢]

আর লোকেরা তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে হায়েয (ঋতুস্রাব) সম্পর্কে। বলে দাও, এটা অশুচি। কাজেই তোমরা হায়েয অবস্থায় স্ত্রীগমন থেকে বিরত থাক। তখন পর্যন্ত তাদের নিকটবর্তী হবে না, যতক্ষণ না তারা পবিত্র হয়ে যায়। যখন উত্তম রূপে পরিশুদ্ধ হয়ে যাবে,তখন গমন কর তাদের কাছে, যেভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে হুকুম দিয়েছেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ তওবাকারী এবং অপবিত্রতা থেকে যারা বেঁচে থাকে তাদেরকে পছন্দ করেন। [সূরা বাকারা-২২২]

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: مَنْ أَتَى حَائِضًا، أَوِ امْرَأَةً فِي دُبُرِهَا، أَوْ كَاهِنًا، فَقَدْ كَفَرَ بِمَا أُنْزِلَ عَلَى مُحَمَّدٍ.
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোন ঋতুবতীর সাথে মিলিত হয় কিংবা কোন মহিলার পশ্চাৎদ্বারে সঙ্গম করে অথবা কোন গণকের নিকটে যায়, নিশ্চয়ই সে মুহাম্মাদের উপর যা অবতীর্ণ হয়েছে তা অস্বীকার করে’। [তিরমিযী, হাদীস নং-১৩৫, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৬৩৯, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৯২৯০]

এছাড়া ডাক্তারদের মতেও এ সময় স্ত্রী সহবাস করা অনুচিত। কারণ এ সময় নারীরা অসুস্থ্য বোধ করে। স্রাবের রক্তের সাথে বিভিন্ন রোগের জীবানো বের হয়ে থাকে। যা সহবাসের মাধ্যমে পরস্পরের মাঝে ছড়িয়ে পড়ার সমূহ সম্ভাবনা দেখা দেয়। তাই শরীয়তের বিধানের পাশাপাশি ডাক্তারী মতেও এ সময় সহবাস করা থেকে বিরত থাকাই কর্তব্য।
আল্লাহ না করুন, যদি কারও দ্বারা এজাতীয় গর্হিত কাজ হয়েই যায় তাহলে তার জন্য আবশ্যক হলো খাঁটি দিলে, কায়মনো বাক্যে, আল্লাহ তায়ার কাছে এই পাপ কাজের জন্য ক্ষমা চাওয়া এবং ভবিষ্যতে যেন এজাতীয় অন্যায় না হয় সেব্যাপারে দৃঢ়সঙ্কল্পবদ্ধ হওয়া।তবে এর জন্য কোনো কাফফারা আদায় করতে হবে না।

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি
বাইতুল কুরআন মাদারাসা , মোহাম্মাদপুর

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

১৯০৮৫

আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, ইসলামী ব্যাংক থেকে লোন নেয়া হালাল না হারাম?

৮ জুন, ২০২২

ফেনী

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

১৫৮৯০

শিক্ষককে দাঁড়িয়ে সালাম করা


১২ মে, ২০২৪

ঢাকা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ ইসহাক মাহমুদ

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy