নৈশ মাদরাসা: জেনারেল শিক্ষিতদের আলেম হওয়ার এক সুবর্ণ সুযোগ
প্রশ্নঃ ১২২৫৮. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, শায়েখ দয়া করে উত্তরটা দিবেন প্লিজ।আমি বিবাহিত। জেনারেল লাইনে লেখা পড়া করি ২০২১ সালে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়েছি সবাই আমাকে কলেজে ভর্তি হতে বলছে।কিন্তু শায়েখ আমি চাচ্ছি কলেজে ভর্তি হব না।কারণ বর্তমান পেক্ষাপটে জেনারেল লাইনে পড়তে গেলে পর্দার খেলাফ হয় তাছাড়া ম্যাডাম ক্লাস নেই।তাছাড়া আমি যদি সাইন্স নিয়ে লেখাপড়া করে তাহলে অনেকটা সময় আমাকে পড়াশোনার মধ্যে দিতে হবে কিন্তু আমি কোরআন হাদিস নিয়ে বেশি পড়াশোনা করতে পারবোনা।আরো আমি উপলব্ধি করতে পারছি যে জেনারেল লাইনে পড়তে গেলে ইসলাম থেকে দূরে সরিয়ে নেয় তা ছাড়া এখনকার বর্তমান পেক্ষাপটে জেনারেল লাইনে পড়তে গেলে দুষ্টু ছেলে মেয়েদের আমদানি তাই জেনারেল লাইনে পড়তে গেলে তাদের সাথে মিশতে মিশতে হয়তো আমিও ইসলাম থেকে দূরে সরে যেতে পারি।তাই আমি সব মিলে ডিসিশন নিয়েছি যে আমি আর জেনারেল লাইনে পড়বো না। এখন কি কোন ইসলামিক কোন স্কুলে ভর্তি হতে পারবো।শায়েখআমার বাসায় পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলায় এখন কি আপনি বলতে পারবেন আমি কেমন স্কুলে ভর্তি হলে আলেম হয়ে ইসলাম নিয়ে লেখাপড়া করতে পারবো হুজুর এখন এই সময়ে কি করলে আমার জন্য ভালো হবে এবং আমার আখিরাতের জন্য মঙ্গলকর হবে আপনি দয়া করে একটু জানাবেন তাহলে আমি খুব উপর্কিত হব।,
২৯ জানুয়ারী, ২০২৫
দাশুড়িয়া
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
সম্মানিত প্রশ্নকারী! আল্লাহ তায়ালা আপনাকে কবুল করুন। আপনার হিম্মত সাহস বাড়িয়ে দিন। আপনি দ্বিনী ইলম শিখতে চাচ্ছেন এজন্য আপানাকে অসংখ্য মোবারকবাদ। সত্যিকারার্থে একজন মুমিনের জন্য দ্বিনী ইলমের কোনো বিকল্প নাই। আল্লাহ তায়ালা এটাকে ফরজ করে দিয়েছেন। আর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছাড়া কোনো শিক্ষা্ই পূর্ণতা পায় না। দ্বিনী শিক্ষার ক্ষেত্রেও তাই। কাজেই আপনি অবশ্যই মাদরাসায় ভর্তি হয়ে যান।
তবে আপনি যেহেতু জেনারেল শিক্ষার একটা স্তর অতিক্রম করেছেন। ফলাফল বিবেচনায় আপনি নিশ্চয়ই একজন মেধাবী ছাত্র।অন্যদিকে ইতিমধ্যে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়-দাম্পত্যজীবনও শুরু করে দিয়েছেন। কাজেই আপনার পড়াশোনার ধরণটা কিছুটা ভিন্ন হতে হবে। আমাদের বিবেচনায় আপনার জন্য যে পদ্ধতি সবচেয়ে উত্তম হবে আমরা সেটাই আপনাকে সাজেস করছি।
১. বয়স, দাম্পত্যজীবন, সাংসারিক দায়িত্ব ইত্যাদী বিবেচনায় আপনার জন্য সাধারণ ছাত্রদের সাথে গিয়ে দীর্ঘ সময় ব্যয় করে পড়াশোনা করা সম্ভব নাও হতে পারে। প্রাথমিকভাবে হয়তো মনের প্রবল আগ্রহে আপনি যেকোনা মাদরাসায় ভর্তি হয়েও যেতে পারবেন। কিন্তু সেটা খুব বেশীদিন ধরে রাখতে পারবেন বলে হয় না। পরবর্তীতে হয়তো পরিবারের রোশানলের শিকার হয়ে দ্বিন-ধর্মের ব্যাপারে বিরূপ মানসী হয়ে ওঠবেন। ( তবে আমরা দোয়া করবো আল্লাহ তায়ালা আপনাকে তাওফিক দিন)
২. বিষয়টি নিয়ে অবশ্যই আপনি আপনার পরিবারের সাথে বিশেষত আপনার স্ত্রীর সাথে আলোচনা করবেন। কেননা জীবনসঙ্গীনির সহায়তা ছাড়া এজাতীয় সফর খুব সহজ হয় না। বরং অনেক ক্ষেত্রে হিতেবিপরিতও হতে পারে।
৩. আপনার স্বপ্ন পুরণে আপনি কোনো নৈশ মাদরাসায় ভর্তি হোন। পাশাপশি যথাসমম্ভব নিজের দ্বিন-ইমান-আমল এবং চক্ষু হেফাজত করে আপনার পড়াশোনাও চালিয়ে যান। কেননা আদর্শ ও ইসলামী সমাজ বিনির্মাণে যেভাবে আমাদের যোগ্য আলেম দরকার তেমনিভাবে দরকার সৎ, যোগ্য, দ্বিনদার, আল্লাহভীরু সরকারী আমলা, অফিসার, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার। আমরা আশাবাদী জেনারেল শিক্ষার পাশাপাশি অলেম হয়ে আপনি তার একটি শূণ্যতা হলেও পুরণ করবেন। ইতিমধ্যেই আলহামদুলিল্লাহ রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় নৈশ মাদরাসা চালু হয়েছে। আপনি তাদের সাথে যোগাযোগ করুন। (নিচে নৈশ মাদরাসার বিস্তৃতি সম্পর্কে একটি প্রবন্ধ দেয়া আছে আপনি সেটার আলোকেও নিজেকে গড়তে পারেন)।
৪. মাদরাসার পাশাপাশি সকল রুটিন বহাল রেখে বিরতির সময় দাওয়াত-তাবলীগের মেহতনের সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত করার চেষ্ট করুন। ইনশাআল্লাহ এতে নিজের মধ্যে আমলের জজবা পয়দা হবে।
৫. হক্কানী কোনো আল্লাহওয়ালার সোহবত নিজের জন্য আবশ্যক করে নিন। কেননা আল্লাহওয়ালার সোহবত ছাড়া প্রকৃত মুমিন হওয়া অসম্ভব। তবে মনে রাখতে হবে কোনো মানুষই ভুলের উর্ধ্বে নয়। কাজেই কারো ভুল দেখেই তার প্রতি কুধারণা করা ঠিক না।
আশা করছি আপনাকে সহায়তা করতে পেরেছি।
জনপ্রিয় হয়ে উঠছে নৈশ মাদরাসা
# রাগিব রব্বানি
********************
চলতি ও বিগত দশকে বয়স্ক ও কর্মজীবী ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের দীনি শিক্ষা গ্রহণের জন্য রাজধানীসহ দেশের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে নৈশ মাদরাসা নামে বেশ কিছু বিশেষায়িত মাদরাসা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। স্বতন্ত্র সিলেবাসে এ ধরনের মাদরাসায় একজন সাধারণ শিক্ষিত লোক নিজের কর্মব্যস্ততার বাইরে পড়াশোনা করে দাওরায়ে হাদিস পর্যন্ত উত্তীর্ণ হবার সুযোগ রয়েছে।
স্বতন্ত্র সিলেবাসে পরিচালিত এসব নৈশ মাদরাসা নজর কাড়ছে সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত ধর্মপ্রাণ শ্রেণির নাগরিকদের। চাকরি ও পেশাগত দৈনন্দিন কাজ শেষে সন্ধ্যের দিকে দীনি শিক্ষাগ্রহণের এ সুযোগকে কাজে লাগাতে চান তাঁরা।
রাজধানীর মুহাম্মদপুরে বসিলা রোডস্থ একটি নৈশ মাদরাসায় পড়াশোনা করেন সাইদুল আলম। বসিলা রোডে তাঁর টেইলারিংয়ের দোকান রয়েছে। সন্ধ্যার দিকে নৈশ মাদরাসায় তিনি নিয়মিত ক্লাস করেন। একবছরের ফরজে আইন কোর্স সমাপ্ত করে এখন তিনি তরজমায়ে কুরআন কোর্সের ছাত্র। তিনি জানান, ধর্মীয় শিক্ষার প্রতি তাঁর প্রচণ্ড আগ্রহ ছিল। কিন্তু পড়াশোনার বয়স পার হয়ে যাবার কারণে এবং দিনমান দোকান পরিচালনার ব্যস্ততা থাকার কারণে এ বিষয়ে তিনি হতাশ ছিলেন। গত বছর তাঁর এলাকায় নৈশ মাদরাসার কথা প্রথম জানতে পারেন তিনি। তারপরই সিদ্ধান্ত নেন, এ মাদরাসায় ভর্তি হবেন। দিনমান দোকানের ব্যস্ততা গোছিয়ে সন্ধ্যায় প্রতিদিন ক্লাস করতে যান সেখানে।
নিজের অনুভূতির কথা জানাতে গিয়ে সাইদুল আলম বলেন, কুরআন শুদ্ধ করে পড়তে পারতাম না, নামাজ-কালামেও কোনো শুদ্ধাশুদ্ধি ছিল না, একবছর ক্লাস করে এখন আলহামদুলিল্লাহ জীবনযাপনের আবশ্যিক ইলমগুলো অর্জন করতে পেরেছি। কুরআন তেলাওতও সহি হয়েছে। আমার ইচ্ছা, নৈশ মাদরাসায় পড়ে দাওরা পর্যন্ত আমি উত্তীর্ণ হবো।’
নৈশ মাদরাসাগুলোর পড়াশোনার দেখভাল ও সমন্বয়ের জন্য রয়েছে ‘নৈশ মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড’ নামে স্বতন্ত্র একটি শিক্ষাবোর্ড। ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত শিক্ষাবোর্ডটির সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন রাজধানীর মসজিদুল আকবর কমপ্লেক্স মাদরাসার নায়েবে মুহতামিম মাওলানা নাজমুদ্দিন। মহাসচিবের দায়িত্বে আছেন মুফতি জহিরুল ইসলাম সিরাজি।
মাওলানা সিরাজি জানান, রাজধানীসহ চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ, নরসিংদী, গাজীপুর, শেরপুর এবং টঙ্গীতে বোর্ডের অধীনে ২২টির মতো নৈশ মাদরাসা রয়েছে। বোর্ডের নেসাব অনুযায়ী মোট তিনটি মারহালায় এ সমস্ত মাদরাসায় পাঠদান করে ছাত্রদেরকে দাওরায়ে হাদিসে ভর্তি হবার উপযোগী করে গড়ে তোলা হয়।
তিন মারহালার প্রথমটি ফরজে আইন কোর্স। এ মারহালার মেয়াদ একবছর। শিক্ষার্থীরা প্রাথমিকভাবে এই মারহালায় পড়াশোনা করে নামাজ-কালাম তেলাওত বিশুদ্ধকরণসহ দীনের আবশ্যিক জ্ঞান অর্জন করেন।
দ্বিতীয় মারহালা তরজমায়ে কুরআন কোর্স। এ মারহালার মেয়াদ দুই বছর। সরফ-নাহবেমির পর্যায়ের কিতাবের পাশাপাশি এ দুই বছরে তরজমায়ে কুরআন মোটামুটি আয়ত্ব করার ব্যবস্থা রয়েছে এখানে।
তৃতীয় মারহালা আলেম কোর্স। এ মারহালার মেয়াদ তিন বছর। তিন বছরে একজন শিক্ষার্থীকে মেশকাত পর্যন্ত প্রয়োজনীয় কিতাবাদি পড়িয়ে দিয়ে দাওরায়ে হাদিসে ভর্তি হবার উপযুক্ত করে গড়ে তোলা হয়।
মাওলানা সিরাজি জানান, নৈশ মাদরাসা বোর্ডের অধীনে প্রতি বছর এ তিন মারহালার ফাইনাল পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। বোর্ডের অধীন প্রায় সবকয়টি মাদরাসাই এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। তবে ফরজে আইন কোর্সের ছাত্রসংখ্যাই বেশি থাকে অন্যান্য মারহালার তুলনায়।
নৈশ মাদরাসার প্রতি ধর্মপ্রাণ জেনারেল শিক্ষিত ও কর্মজীবী মানুষের তুমুল আগ্রহ রয়েছে বলে জানিয়েছেন নৈশ মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের মহাসচিব মুফতি জহিরুল ইসলাম সিরাজি। একই মন্তব্য ব্যক্ত করেছেন সিলেটের ইসলামিক ফিকহ ইন্সটিটিউটের অধীনে পরিচালিত নৈশ মাদরাসার নির্বাহী পরিচালক মুফতি জিয়াউর রহমানও।
মুফতি জিয়াউর রহমান বলেন, ২০১৭ সালে আমরা যখন নৈশ মাদরাসা চালু করি, তখন থেকে আশাতীত সাড়া পেয়ে আসছি সাধারণ শিক্ষিত ও কর্মজীবী মানুষদের কাছ থেকে।
তিনি বলেন, দীন শেখার ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনার বিকল্প নেই। তাবলিগ বা দাওয়াতি মেহনতের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের আমলের উন্নতি হয় ঠিক, কিন্তু দীনি ইলম অর্জনে সেভাবে কোনো তরক্কি হয় না। তাই সাধারণ শিক্ষিতদের মধ্যে দীনি ইলম চর্চা ব্যাপক করার লক্ষ্যে নৈশ মাদরাসা একটি কার্যকরী পদক্ষেপ। এই চিন্তা থেকেই আমরা সিলেটে নৈশ মাদরাসা চালু করেছি। এ দুই বছরের মেহনতে আমাদের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা এখন তরজমায়ে কুরআন কোর্সে আছেন। তাঁরা, আলহামদুলিল্লাহ, এখন কুরআনের তরজমা বুঝতেও সক্ষম। অথচ দুবছর আগে তাঁদের অনেকের কুরআন তেলাওতও বিশুদ্ধ ছিল না। নিজেদের দৈনন্দিন ব্যস্ততার ফাঁকে ফাঁকে তাঁরা রাত্রিবেলার নিয়মিত ক্লাস করে যাচ্ছেন।
কিন্তু চাহিদার তুলনায় এ ধরনের মাদরাসার সংখ্যা কম থাকায় এবং কর্মস্থল থেকে মাদরাসাগুলোর দূরত্বের কারণে এ সুযোগকে কাজে লাগাতে পারছেন না অনেকেই। এমনটা জানিয়েছেন নৈশ মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের মহাসচিব মুফতি জহিরুল ইসলাম সিরাজি।
মাওলানা সিরাজি বলেন, কর্মজীবী ধর্মপ্রাণ মানুষদের কাছ থেকে নিয়মিত ফোন আসে আমাদের কাছে, যাতে তাদের এলাকায় একটা মাদরাসা চালু করা হয়। কারণ, নিজের আবাস ও কর্মস্থলের কাছাকাছি না হলে নৈশ মাদরাসায় ক্লাস করা তাদের জন্য সম্ভব হয়ে ওঠে না।
তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের এই চাহিদা ও আগ্রহের তুলনায় আমাদের সামর্থ ও উদ্যোগ অনেক কম। যার ফলে তাদের আগ্রহে আমরা সেভাবে কোনো সাড়া দিতে ব্যর্থ হই।
والله اعلم بالصواب
বাইতুল কুরআন মাদারাসা , মোহাম্মাদপুর
মন্তব্য (০)
কোনো মন্তব্য নেই।
এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর
৩৮৪৮৯
মালাকুল মাউত কি একাই জান কবয করেন ?
২০ আগস্ট, ২০২৩
ওয়েস্ট বেঙ্গল ৭৩১২৪৫

উত্তর দিয়েছেনঃ মুসলিম বাংলা ইফতা বিভাগ
১৭৯৬০
২ মে, ২০২২
ঢাকা

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি
২০৭০৪
২৪ জুলাই, ২০২২
নবাবগঞ্জ

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী সিরাজুল ইসলাম
১৮৬০২
সুদের টাকা বিয়েতে দেয়া
২৪ জানুয়ারী, ২০২৫
৪৪ ১৮th St - محيصنة - محيصنة ٢ - دبي - United Arab Emirates (AE)

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি
সাম্প্রতিক প্রশ্নোত্তর
মাসায়েল-এর বিষয়াদি
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে