আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

তাগুতী আইনে বিচারক হওয়ার বিধান

প্রশ্নঃ ১২২৩৫. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমি আইন বিষয়ের একজন ছাত্র। ওকালতি সম্পর্কিত মাসায়ালাটি আমি দেখেছি। কিন্তু সেখানে বিচারক/জাজ সম্পর্কে বলা হয়নি। একজন ওয়াকিলের যেমন মামলা বাছাই করার সুযোগ থাকে, একজন বিচারকের তেমন থাকেনা। তাকে তাগুতি আইন মেনেই বিচার করতে হয়।এখন আমার প্রশ্ন হল এই পরিস্থিতিতে কি বিচারক হওয়ার চেষ্টা করা উচিত হবে? যাঝাকাল্লাহ...,

২২ জানুয়ারী, ২০২৫

রাজাপুর

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


কুরআন-সুন্নাহ সম্ভলিত যেসকল বিধি-বিধান রয়েছে, সেগুলোর মাধ্যমে বিচার করা জায়েয বরং আবশ্যক। আর যেসকল আইন কুরআন সুন্নাহ সমর্থিত নয় সেগুলোর মাধ্যমে বিচার করা নাজায়েয ও হারাম।

আর যে সকল বিষয়ে কুরআন-সুন্নাহ থেকে কিছুই বর্ণিত হয়নি, সে সমস্ত বিষয়ের বিচার কিভাবে করা হবে? এসম্পর্কে উলামায়ে কেরাম থেকে বর্ণিত হয়েছে,
পাকিস্তান সরকারের গ্রান্ড মুফতী-
মুফতী শফী রহ সুরা নিসার ৫৯ নং আয়াতের তাফসীর করতে গিয়ে বলেনঃঐ সমস্ত হুকুম যা কোরআন-সুন্নাহে বর্ণিত নেই তাতে দু-রকম বিধি-বিধান রয়েছে(এক)যার সম্পর্ক দ্বীন-ইসলামের সাথে তথা শরয়ী হুকুম-আহকামের সাথে।(দুই)যার সম্পর্ক সামাজিক নিয়ম শৃংখলার সাথে।
যেই সমস্ত বিধি-বিধানের সম্পর্ক সামাজিক নিয়ম-শৃংখলার সাথে তা বাস্তবায়ন করতে কোরআন-সুন্নাহর আলোকে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই বরং যার যেটা ভালো লাগবে সে সে অনুযায়ী আমল করতে পারবে বা ফায়সালা করতে পারবে।সুতরাং এক্ষেত্রে আইনপ্রনেতা ও বিচারকগণ সম্পূর্ণ স্বাধীন। স্থানকাল বিবেচনা করে তারা যেকোনো ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবেন।(তাফসীরে মা'রিফুল কোরআন (উর্দু ভার্সন)-২/৪৫১)

সম্মানিত পাঠক/প্রশ্নকারী!
বাংলাদেশে মুসলমানরা আজ কেমন আছে? সেটা ব্যখ্যা করে বলার কোনো প্রয়োজন নাই। বিদেশীদের চাপ এবং দেশীয় পরদেশীদের কুটচক্রে ইসলাম ও মুসলমানদের অবস্থায় আজ সুচনীয়। এখন মুসলমানরা যদি সরকারী সকল সেক্টরে বিশেষত বিচার ব্যবস্থা থেকে নিজেদের গুটিয়ে নেয়, তাহলে ভবিষ্যতে এই সঙ্কট আরও বেগতিক হবে। তাই ইসলাম ও মুসলমানদের স্বার্থ রক্ষার্থে বাধ্য হয়ে আমাদের বলতেই হচ্ছে, “প্রচলিত বিচার ব্যবস্থায়ও মুসলমানদের এগিয়ে যাওয়া উচিৎ। যেন তাদের মাধ্যমে অদূর ভবিষ্যতে কুরআনি আইন দেশে প্রতিস্থাপন করা যায়।
সেই হিসেবে আমরা বলব, প্রচলিত বিচার ব্যবস্থায় মুসলমান বিশেষ করে দ্বীনদার শ্রেণীর লোকজনকে এগিয়ে আসা সময়ের বিশেষ দায়িত্ব ও কর্তব্য। এবং যথাসম্ভব কুরআন হাদীস বিরোধী আইন বাস্তবায়ন করা থেকে নিজেকে সম্পূর্ণ দূরে রাখার চেষ্টা করতে হবে। পাশাপাশি কুরআন সুন্নাহ ভিত্তিক আইন বাস্তবায়নের সর্বাত্মক চেষ্টা করতে হবে।আর এই চেষ্টা শুধুমাত্র একা বিচারক বা উকিলের দায়িত্ব নয় বরং সমস্ত মুসলমানের। মুসলমানের উপর এমন আন্দেলন ফরযে কেফায়ার অন্তর্ভুক্ত।
(আল্লাহই ভালো জানেন)
-মুফতী ইমদাদুল হক

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি
বাইতুল কুরআন মাদারাসা , মোহাম্মাদপুর

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

৬৩৮১৭

জুলুমের শিকার হওয়া থেকে বাঁচার দোয়া


৯ জুন, ২০২৪

ঢাকা ১১০০

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

৩৪০৫৪

ব্যাংকে পিয়ন পদে চাকরি করা কি হারাম?


২২ জুন, ২০২৩

ঢাকা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী

২৬৮০৮

পেশা হিসেবে খেলাকে গ্রহণ করা জায়েয হবে কি?


২২ ডিসেম্বর, ২০২২

বসুরহাট ৩৮৫০

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী

২৫৩১২

সরকারি চাকরি কি জায়েয?


১৬ নভেম্বর, ২০২২

ঢাকা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy