প্রশ্নঃ ১১৯৮৮. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমার ইস্ত্রিকে বারবার নামাজ এর জন্য বলি কিন্তু সে আমার কথা শোনে না ঠিক মত। একদিন বললে ২-১ দিন নামাজ পড়ে কোনোরকম, পড়ে আবার নামাজ একদম ই পড়ে না। নামাজ এর জন্য ফজরের সময় ডাক দিলে সে আমার সাথে জিদ দেখায়। এছাড়া সে প্রতিনিয়তই আমার সাথে জিদ দেখায়, তার ভুল থাকা সত্ত্বেও সে উল্টো আমার উপর জিদ করে থাকে। সে ভুল করে কিন্তু দেখা যায় আমার ই তাকে ঠিক করতে হয়। আমি শুধুমাত্র আল্লাহর জন্যই এমনটা সহ্য করে যাচ্ছি।প্রশ্নঃ এমতাবস্থায় আমার করনিয় কি? তার নামাজের জন্য কি আল্লাহর কাছে আমার জবাবদিহি করতে হবে? এই সমস্যার সমাধান কি?
২৯ ডিসেম্বর, ২০২১
কেরানীগঞ্জ
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
প্রিয় প্রশ্নকারী!
প্রথমত আপনি যদি নিজে নামাজের প্রতি সম্পূর্ণ যত্নশীল হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে শত মোবারকবাদ! কিন্তু যদি এব্যাপারে আপানার মাঝেও কিছুটা দুর্বলতা থেকে থাকে তাহলে দ্রুত সেটা সংশোধন করে নিন। ইবাদত কবুল হওয়ার জন্য যেমনি হালাল খাবার শর্ত তেমনি ইবাদতে আগ্রহ সৃষ্টি হওয়া এবং তাতে স্বাদ অনুভূত হওয়ার জন্যও উপার্জন হালাল হওয়া অবশ্যক। আমরা আশা করছি এব্যাপারেও আপনি সতর্ক আছেন।
দ্বিতীয়ত: আপনি স্ত্রীকে ভালো করে বোঝানোর চেষ্টা করেন, কারণ সালাতের গুরুত্ব হয়তো তিনি বোঝেন না। ইসলামে সালাতের যে বিধান এবং গুরুত্ব রয়েছে, সেগুলো যদি জানা না থাকে, তাহলে সালাতের প্রতি তাঁর মনোযোগ বা আকর্ষণ তৈরি হবে না। তাই আপনি বোঝানোর চেষ্টা করুন। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের সাথে সাথে তাকে দ্বিনি বইপুস্তকও সরবরাহ করে দিন। হক্কানী ওলামায়ে কেরামে বয়ান শোনান।
আদর-সোহাগ, প্রেম,মুহাব্বত-ভালোবাসার সাথে বোঝানোর পাশাপাশি তাঁকে সতর্কও করুন। কিছুটা মান-অভিমান করতে পারেন। এতেও কাজ না হলে আপনাদের দাম্পত্য সম্পর্কের ব্যাপারে তাকে সতর্ক করুন। আপনি তাঁকে এভাবে সতর্ক করবেন যে, “নিয়মিত নামাজ আদায় না করলে, আল্লাহ তায়ালার বিধান মতো জীবন যাপনা না করলে, হয়তো আমাদের এই সম্পর্ক আর বেশি দিন টিকবে না। নামাজ না পড়া তো কুফরি কাজ। সুতরাং যে নামাজ পড়ে না, এমন কুফুরীতে লিপ্ত নারীর সাথে সংসার করে আমি আমার দুনিয়া আখেরাত বরবাদ করতে চাই না।” এ বিষয়টি আপনি পরিষ্কার করে দিন। এরপরও যদি সালাত আদায়ের ব্যাপারে তিনি সম্পূর্ণ অনীহা, অনিচ্ছা প্রকাশ করতে থাকেন, তাহলে ইসলামের বিধান হচ্ছে, তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক না রাখাই উত্তম।উভয় পরিবারের মান্যবর ব্যক্তিদের ডেকে একটি সুষ্ঠসমাধান বের করুন।
আল্লাহ তায়ালা তার বান্দিকে দ্বিন বোঝার এবং মানার তাওফিক দান করুন।
والله اعلم بالصواب
মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি
বাইতুল কুরআন মাদারাসা , মোহাম্মাদপুর
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন
এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর
মাসায়েল-এর বিষয়াদি
আল কুরআনুল কারীম
৪
হাদীস ও সুন্নাহ
৬
তাসাউফ-আত্মশুদ্ধি । ইসলাহী পরামর্শ
৩
শরীআত সম্পর্কিত
১৪
ফিতনাসমুহ; বিবরণ - করণীয়
২
আখিরাত - মৃত্যুর পরে
৩
ঈমান বিধ্বংসী কথা ও কাজ
৬
ফিরাকে বাতিলা - ভ্রান্ত দল ও মত
২
পবিত্রতা অর্জন
৮
নামাযের অধ্যায়
১৯
যাকাত - সদাকাহ
৫
রোযার অধ্যায়
৬
হজ্ব - ওমরাহ
২
কাফন দাফন - জানাযা
৫
কসম - মান্নত
১
কুরবানী - যবেহ - আকীকা
৪
বিবাহ শাদী
৮
মীরাছ-উত্তরাধিকার
২
লেনদেন - ব্যবসা - চাকুরী
৯
আধুনিক মাসায়েল
৬
দন্ড বিধি
২
দাওয়াত ও জিহাদ
৩
ইতিহাস ও ঐতিহ্য
৬
সীরাতুন নবী সাঃ । নবীজীর জীবনচরিত
৩
সাহাবা ও তাবেঈন
৩
ফাযায়েল ও মানাকেব
৩
কিতাব - পত্রিকা ও লেখক
৩
পরিবার - সামাজিকতা
৭
মহিলা অঙ্গন
২
আখলাক-চরিত্র
২
আদব- শিষ্টাচার
১২
রোগ-ব্যধি। চিকিৎসা
২
দোয়া - জিকির
২
নাম। শব্দ জ্ঞান
৩
নির্বাচিত
২
সাম্প্রতিক
১
বিবিধ মাসআলা
১