আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ১১২৩৯. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমি ঢাকা মেডিকেল কলেজে ৪র্থ বর্ষে পড়াশোনা করি।এখানে আমার মৌলিক বিষয়গুলোর বেশিরভাগ শিক্ষক মহিলা। তারা যখন মৌখিক পরীক্ষা নেন তখন তাদের দিকে তাকিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিতে বলেন।বলেন আমরা তো মায়ের মতো আমাদের দিকে তাকিয়ে উত্তর দিলে সমস্যা হবে না।অনেক সময় বাধ্য করে বলেন যে না তাকালে ফেল করে দিব।এখন আমার প্রশ্ন হলো আমি কি তাদের দিকে তাকিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিতে পারব আর তাকালে কি আমার গোনাহ হবে?আর তারা যখন পড়ান তখন তাদের দিকে তাকানো যাবে কিনা।জাযাকাল্লাহ খইর।

১০ ডিসেম্বর, ২০২১
ঢাকা

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم





প্রিয় প্রশ্নকারী! এটা আসলেই আমাদের জন্য অত্যন্ত দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় যে আমারা যারা আল্লাহ তায়ালার দ্বিন মেনে শিক্ষা গ্রহণ করতে চেষ্টা করি আমাদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে সেই ব্যবস্থা রাখা হয়নি। আল্লাহ তায়ালা আমাদের পরিচালকদের সেই সুমতি দান করুন।

প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনি সবখানেই পর্দা রক্ষার চেষ্টা করেবেন। কিন্তু যেখানে না হলেই নয় সেখানে আর কি-ই বা করার আছে! মনে মনে ইস্তেগফার করবেন। কেননা আমাদের জন্য যেমন যোগ্য আলিম দরকার তেমনি দরকার দ্বিনদার ডাক্তারেরও। কাজেই নিজের দ্বিন ও ইমান হেফাজত করে যথা সম্ভব পর্দা রক্ষা করেবেন।

শিক্ষিকাগণ মায়ের মত’ সেটা কেবল সম্মান ও শ্রদ্ধার ক্ষেত্রে। পর্দার ক্ষেত্রে নয়। আপতত আপনি তাদের এই কথার জবাব দিতে যাবেন না। তবে যদি সময় সুযোগ হয় তখন তাদেরকে পর্দার বিষয়টিও বুঝাতে ভুলবেন না। প্রয়োজনে তার আগে কোনো আলেমের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে নিবেন।

والله اعلم بالصواب

মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি বাইতুল কুরআন মাদারাসা , মোহাম্মাদপুর

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

#৯৮৭৪
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামু আলাইকুম,
হুজুর আমি জেনারেল লাইনের শিক্ষার্থী। আল্লাহ চাইলে সামনে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারি। তবে আমার দুঃখ যে আমি মাদ্রাসায় লেখাপড়া করতে পারিনি। এই বিষয়ে অভিযোগ করতে চেয়েও পারনি, কেননা মা-বাবা যদি আমার কথায় কষ্ট পান! কিছুদিন আগে আমি অনলাইনে Islamic Online Madrasah - IOM সম্পর্কে শুনি। সেখানে তিন বছর মেয়াদের আলিম কোর্সসহ আরো সিঙ্গেল কোর্সও করানো হয়। এটা দেখে আমার আবারও মাদ্রাসা পড়ার ইচ্ছেটা জেগে উঠেছে। হুজুর আল্লাহর রহমতে আমি হানাফি মত অনুযায়ী ইসলামি শরীয়ত অনুসরণ করার চেষ্টা করি, অর্থাৎ হানাফি মাজহাব। এখন আমি আপনার কাছে বিনীতভাবে জানতে চাচ্ছি যে-

১) IOM এ আলিম কোর্সে অনেকগুলো বিষয়ের মধ্যে আকিদা এবং ফিকহ বিষয়ও অন্তর্ভুক্ত। যেহেতু আমি হানাফি মাজহাবের সেহেতু এই দুইটা বিষয় কি ঐখান থেকে শেখা উচিত হবে?
২) হুজুর আমি শুনেছি কোনো কাজের আগে পরামর্শ করলে ভালো। যেহেতু আপনারা অনলাইনেও ইসলামের খেদমতে মাশা - আল্লাহ নিয়োজিত আছেন, সেহেতু পরামর্শ করার জন্যে আল্লাহর নাম নিয়ে আপনাদেরকে ভরসা করা যায়। হুজুর তাঁদের ফেসবুক পেজ - Islamic Online Madrasah - IOM. আমার কি IOM এর কোনো কোর্সে ভর্তি হওয়া উচিত হবে? হুজুর আমার উপরের কথাগুলো বিবোচনা করে দয়া করে বলুন।
৩) আর যদি এটা না হয়, তাহলে আমার জন্যে অনলাইনে এমন কোনো কোর্স কি আছে?
[হুজুর আমি আপনার কাছে বিনীতভাবে অনুরোধ করছি, দয়া করে আমাকে বলুন।]
question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মোহাম্মদ আমীর হোসাইন, মুফতি ও মুহাদ্দীস,
৩০ অক্টোবর, ২০২১
Dhaka