আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ১০৬২৮. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামুয়ালাইকুম,খালি গলায় গান গাওয়া যাবে?

২০ নভেম্বর, ২০২১
ঢাকা ১২১১

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم





আধুনিক, ফোক, রক, মেটাল, পপ, জ্যাজ, শ্যামা, নবী তত্ত্ব, মুর্শীদি, জারী, কাওয়ালী, পল্লীগীতি, ভাটিয়ালী, মাইজভান্ডারী ইত্যাদি গান সাধারণত ফাসিক কিংবা অমুসলিমদের বানানো বিধায় এজাতীয় গান গাওয়া জায়েয নয়। এমনকি এজাতীয় গানের সুরে গজল ও ইসলামিক কবিতা আবৃত্তি করা যা দ্বারা মানুষের ধ্যান-ধারণা এজাতীয় গানের দিকে চলে যায় তাও শরীয়তের দৃষ্টিতে নাজায়েয। কেননা, আল্লাহ তাআলা বলেন,

وَلاَ تَتَّبِعُواْ أَهْوَاء قَوْمٍ قَدْ ضَلُّواْ مِن قَبْلُ وَأَضَلُّواْ كَثِيراً وَضَلُّواْ عَن سَوَاء السَّبِيلِ

আর ঐ সম্প্রদায়ের প্রবৃত্তির অনুসরণ করো না, যারা পূর্বে পথভ্রষ্ট হয়েছে এবং অনেককে পথভ্রষ্ট করেছে। তারা সরল পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়েছে। (সুরা মায়েদা ৭৭)

আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ রাযি. বলেন,
الْغِنَاءُ يُنْبِتُ النِّفَاقَ فِى الْقَلْبِ كَمَا يُنْبِتُ الْمَاءُ الزَّرْعَ

পানি যেমন (ভূমিতে) তৃণলতা উৎপন্ন করে তেমনি গান মানুষের অন্তরে নিফাক সৃষ্টি করে। (বাইহাকী ২১৫৩৬ তাফসীরে কুরতুবী ১৪/৫২)

আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাযি. বলেন, যে সকল বস্তু পাপাচারের দিকে আহ্বান করে তাই ইবলিসের আওয়াজ। (ইগাছাতুল লাহফান ১/১৯৯)
তবে বাজনা বা বাদ্য-যন্ত্র ব্যতীত গানের কথা ভাল হলে; অশ্লীল, কামোদ্দীপক, মিথ্যা ও ইসলামী আক্বীদা-পরিপন্থী না হলে কোনো সমস্যা নেই। যেমন, আল্লাহ তাআলার গুনাবলী বিষয়ে হামদ, না’ত, কাসীদা, গজল ইত্যাদি গাওয়া ও শোনা জায়েয রয়েছে।

ইতিমধ্যে এ বিষয়ে উত্তর দেয়া হয়েছে. যে বিষয়ে প্রশ্ন করতে চাচ্ছেন সেটা আগে সার্চ অপশনে খুঁজে দেখুন। উত্তরটি নিচে সংযুক্ত করা হল।

والله اعلم بالصواب

মুসলিম বাংলা ফাতওয়া বিভাগ

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন