আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ১০৬২৪. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, কুরআনের প্রতি মহাব্বত, তার স্বাদ নেওয়ার কি কোনো দোয়া আছে জানালে কৃতজ্ঞ থাকব।,

২০ নভেম্বর, ২০২১

রূপগঞ্জ

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم





কুরআনের প্রতি ভালোবাসা
.
মানুষের একটি স্বাভাবিক প্রবণতা হলো, যার সাথে তার বেশি সময় কাটে, তার প্রতি ভালোবাসা জন্ম হয়ে যায়। অন্তত এক আকর্ষণের বন্ধনে বাঁধা পড়ে যেতে হয় উভয়কে। কুরআন নিয়ে ভাবনাতে যখন কারও সময় ব্যয় হয়, তখন কুরআনের সাথেও তার একটি অন্তরঙ্গ সম্পর্ক তৈরি হয়। পারস্পরিক ভালোবাসা বৃদ্ধি পায়। কুরআনের প্রতি জন্ম-নেওয়া ভালোবাসার মিষ্টতা তো ব্যক্তি নিজেই দুনিয়ার বুকে অন্তরে অনুভব করে, বাকি তার প্রতিও যে কুরআনের হৃদয়ে ভালোবাসার চারা অঙ্কুরিত হয়েছে, তা বোঝা যাবে কবরঘরে প্রবেশ করার পরে।
.
মানুষের ভালোবাসার সমাপ্তি ঘটবে যেখানে, কুরআনের ভালোবাসার প্রকাশ সেখান থেকে ঘটা শুরু হবে। দুনিয়াতে মানুষ একে অপরকে যতই ভালবাসুক না কেন, কিয়ামাতের মাঠ উপস্থিত হবার পর সবকিছু ভুলে যাবে। সবার মুখে থাকবে কেবল—ইয়া নাফসী! ইয়া নাফসী! সেই একাকী আর অসহায়ত্বের মুহূর্তে কুরআন এসে তার ভালোবাসার প্রমাণ দেবে।
.
হাদিসে এসেছে, কিয়ামাতের ময়দানে কুরআন পর্যুদস্ত লোকের আকৃতিতে সামনে এসে জিজ্ঞেস করবে, 'আমাকে চিনতে পারছ?' সেই ব্যক্তি বলবে, 'না তো! কে তুমি?' তখন কুরআন উত্তর দেবে, 'আমি তোমার সঙ্গী কুরআন। যে তোমাকে দিনে পিপাসার্ত আর রাতে নিদ্রাহীন করে রাখত।' [১]
.
কুরআনের পর্যুদস্ত চেহারা নিয়ে হাজির হবার রহস্য উদঘাটন করতে গিয়ে মুহাদ্দিসগণ বলেন, মূলত ওই ব্যক্তি দিনরাত কুরআন নিয়ে পড়ে থাকার কারণে যেমন মলিন চেহারার ও পর্যুদস্ত হয়েছিল, কুরআনও আজ তার দুর্দিনে তার মুক্তির জন্য প্রাণান্তকর চেষ্টা চালিয়ে পর্যুদস্ত হচ্ছে—এমনটি বোঝানো হলো উদ্দেশ্য।
ভালোবাসার এই লেনাদেনা কত যে গুরুত্বপূর্ণ ও দরকারি, কাল হাশরের ময়দানে তা আমরা হাড়ে হাড়ে টের পাব।

.(((তাই বলি, যে কোরআনের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশের মাধ্যম কোরআন নিজেই ,সুতরাং যখন পারেন যতটুকু পারেন কোরআন পড়ুন -কোরআনের সাথে সময় ব্যয় করুণ,)))

লক্ষণীয় বিষয়,
১) নাস্তিকদের অপপ্রচার থেকে দূরে থাকতে হবে।
২) আরবিতে কুরআন মুখস্ত করার চেষ্টা করতে হবে। এতে ভক্তি আসবে। কোন তাফসির কিংবা বঙ্গানুবাদ পড়া উচিত নয়। কারন এগুলার মারপ্যাচেই (বিশুদ্ধ জ্ঞান বিহীন গবেষণার কারনে) বহু আলেম নাস্তিক হয়ে গেছে।

কুরআনের প্রতি অতিভক্তি হতে গিয়েই তাদের জীবনে ঘটেছে উল্টোটি। তাই অতিরিক্ত কিছু ভালো না। কুরআন অতিরিক্ত রিসার্চ করতে যাবেন না। লেবু কচলালে তিতা হয়। বেশি খেলে ভালো জিনিসও খারাপ হয়ে যায়।

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ মুসলিম বাংলা ফাতওয়া বিভাগ

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

৬৬৬৩৬

ইমাম সাহেব একাকী নামাজ শুরু করার পর, কেউ শরিক হলে কেরাত কিভাবে পড়বে?


৬ জুলাই, ২০২৪

West Bengal ৭১২৭০৬

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি জাওয়াদ তাহের

৫০৩০৫

শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে বাঁচার উপায়


৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩

চাঁদপুর

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি জাওয়াদ তাহের

৬৮৭০৭

মানসুখ আয়াত অস্বীকার করলে কাফের হয়ে যাবে?


২৪ নভেম্বর, ২০২৪

Keraniganj

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী শাহাদাত হুসাইন ফরায়েজী

৫২৪২৬

দুই বোন একই বিছানায় ঘুমানোর বিধান


১৯ জানুয়ারী, ২০২৪

ওয়েস্ট বেঙ্গল ৭৪২১২২

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী মুহাম্মাদ রাশেদুল ইসলাম

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy