আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

মহর বাকি থাকলে কুরবানী দেয়া যাবে?

প্রশ্নঃ ১০৫৩৬১. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, ২ বছর আগে আমি বিয়ে করি, কিন্তু কাবিনের টাকা আমার সাধ্যের বাইরে হাওয়ায় এখনও সম্পূর্ণ আদায় করতে পারিনি। প্রতিমাসে বেতনের টাকা থেকে কিছু দিয়ে পরিশোধ করার চেষ্টা করছি, কিন্তু তারপরও আমার এখনো ২ লাখ ১৮ হাজার টাকা বাকি। কুরবানি দিতে চাইলে স্ত্রী এর বিরোধিতা করছে, এ অবস্থায় আমি কুরবানি দিতে পারবো কি?,

২৯ মে, ২০২৫

গাজীপুর জেলা, Dhaka, Bangladesh

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই!
মহর স্ত্রীর হক। কুরবানী আল্লাহর হক। মহর অনাদায় থাকলে কুরবানী করার বিষয়ে ফিকহের কিতাবে এভাবে সমাধান এসেছে যে, যতদিন না স্বামী মহর (মোহরানা) পরিশোধ করে, ততদিন তা স্ত্রীর পাওনা হিসেবে স্বামীর ওপর ঋণ হিসেবে গণ্য হয়। এবং এ ঋণ “ঋণের ধরনসমূহের” মধ্যে একটি দুর্বল ঋণ (দাইনে যঈফ) বলে বিবেচিত হয়। দুর্বল ঋণ হল এমন ঋণ, যা কোনো ধন সম্পদের বিনিময়ে না হয় (অর্থাৎ কোনো লেনদেন বা ব্যবসায়িক চুক্তির বদলে নয়)।

এই ধরনের ঋণ থাকলেও, যেহেতু তা আদায়যোগ্য কোনো সম্পদের উপর নির্ভরশীল নয়, তাই ঋণগ্রহীতা তখন পর্যন্ত ধনী বা সম্পদশালী গণ্য হয় না যতক্ষণ না সে সেই ঋণ পরিশোধ করে বা আদায় করে।

সুতরাং প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে, যেহেতু আপনার স্ত্রীর মহর মুয়াজ্জাল (পরবর্তীতে দেওয়ার শর্তে নির্ধারিত) আপনার ওপর একটি দুর্বল ঋণ (দাইনুয-যঈফ), সেহেতু যদি এই ঋণ ছাড়া আপনার কাছে নিসাব পরিমাণ সম্পদ না থাকে, তবে আপনার ওপর কুরবানি ওয়াজিব হবে না।

শরঈ দলীল:
وأما الدين الضعيف فهو الذي وجب له بدلا عن شيء سواء وجب له بغير صنعه كالميراث،أو بصنعه كالوصية، أووجب بدلاعما ليس بمال كالمهر...ولا زكاة فيه ما لم يقبض كله ويحول عليه الحول بعد القبض.(بدائع الصنائع،كتاب الزكاة،فصل في الشرائط التي ترجع الى المال،ج2:ص392:،دارالكتب العلمية)

والمرأة موسرة بالمعجل لو الزوج مليا وبالمؤجل لا.(ردالمحتارعلى الدرالمختار،كتاب الأضحية،ج:9،ص:453،دارالكتب العلمية)

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ শাহাদাত হুসাইন ফরায়েজী
মুফতী, ফাতাওয়া বিভাগ, মুসলিম বাংলা
লেখক ও গবেষক, হাদীস বিভাগ, মুসলিম বাংলা
খতীব, রৌশন আলী মুন্সীবাড়ী জামে মসজিদ, ফেনী

প্রসঙ্গসমূহ: