আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

সায়ীর ওয়াজিব, সুন্নত, এবং মুস্তাহাব সমূহ

প্রশ্নঃ ১০১৩৬১. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, সায়ীর ওয়াজিব, সুন্নত, এবং মুস্তাহাব গুলো কি কি?,

৩০ এপ্রিল, ২০২৫

ঢাকা ১২০৭

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


সায়ী অবস্থায় যেকাজগুলো ওয়াজিব
১. সায়ী এমন তাওয়াফের পর করতে হবে, যা জানাবত (গোসল ফরয হওয়ার অবস্থা) এবং হায়েয (মাসিক) থেকে পবিত্র অবস্থায় করা হয়েছে।
২. সায়ী সাফা থেকে শুরু করতে হবে এবং মারওয়াতে গিয়ে শেষ করতে হবে।
৩. শারীরিক অসুবিধা না থাকলে পায়ে হেঁটে সায়ী করতে হবে। অসুবিধা ছাড়া সায়ী করতে যানবাহন ব্যবহার করলে তার জন্য দম (একটি পশু কুরবানি) ওয়াজিব হবে।
৪. সাত চক্কর পূর্ণ করা। এর মধ্যে চার চক্কর ফরয এবং বাকি তিনটি চক্কর ওয়াজিব। যদি কেউ তিন চক্কর বাদ দিয়ে দেয়, তবে সায়ী বৈধ হবে, কিন্তু প্রতি চক্করের জন্য অর্ধ সা’ গম বা এর সমপরিমাণ মূল্য (ফিতরার মতো) সদকা দেওয়া ওয়াজিব হবে।
৫. উমরাহর সায়ী করার সময় উমরাহর ইহরাম শেষ সায়ী পর্যন্ত অবশিষ্ট রাখা।
৬. সাফা এবং মারওয়ার মধ্যে পুরো দূরত্ব অতিক্রম করা। অর্থাৎ সাফার একেবারে শেষ প্রান্ত থেকে শুরু করা এবং মারওয়ার একেবারে শেষ প্রান্ত পর্যন্ত যাওয়া। বর্তমানে সাফা ও মারওয়ার কিছু অংশ রাস্তার নিচে চলে গেছে। তবে উদ্দেশ্য হলো যথাসম্ভব সাফা ও মারওয়ার নির্ধারিত অংশ থেকে সায়ী করা এবং মারওয়ার উপরের অংশে পৌঁছে পায়ের আঙুলগুলো মিলিয়ে দেওয়া বা উপরে উঠে যাওয়া।

সায়ী অবস্থায় যেকাজগুলো সুন্নত
১. সায়ী শুরু করার আগে হাজরে আসওয়াদ স্পর্শ (ইস্তিলাম) করে মাতাফ থেকে বের হওয়া।
২. তাওয়াফ শেষ করার পরপরই সায়ী করা।
৩. সাফা এবং মারওয়ার ওপরে উঠা।
৪. সাফা এবং মারওয়ার ওপরে উঠে কিবলার দিকে মুখ করা।
৫. সায়ী করার সময় ধারাবাহিকভাবে একের পর এক চক্কর সম্পন্ন করা।
৬. জানাবত (গোসল ফরয হওয়া) এবং হায়েয (মাসিক) থেকে পবিত্র থাকা।
৭. সায়ী এমন একটি পূর্ণাঙ্গ তাওয়াফের পর করা, যা পবিত্র অবস্থায় সম্পন্ন হয়েছে। এই তাওয়াফের সময় শরীর, কাপড়, এবং তাওয়াফের জায়গা সবকিছুই অপবিত্রতা থেকে মুক্ত থাকতে হবে এবং ওজু অবস্থায় তাওয়াফ করতে হবে।
৮. সবুজ বাতির এলাকায় দ্রুতগতিতে দৌড়ে চলা।
৯. স্ত্রীর সতর (শরীরের গোপন অংশ) ঢেকে রাখা। যদিও প্রতিটি ক্ষেত্রে সতর ঢাকতে হবে, তবে এখানে আরও বেশি সতর্কতার প্রয়োজন।

সায়ী অবস্থায় যেকাজগুলো মুস্তাহাব
১. সায়ী শুরুর পূর্বে নিয়ত করা।
২. সাফা ও মারওয়ার ওপর কিবলামুখি হয়ে কিছুক্ষণ অবস্থান করা।
৩. সায়ী করার সময় বিনয় ও একাগ্রতার সঙ্গে জিকির ও দু‘আ করা।
৪. সায়ী করার সময় কোনো চক্করে যদি অযথা বেশি সময় বিরতি হয় বা বেশি দূরত্ব তৈরি হয়, তবে সায়ী পুনরায় শুরু করা মুস্তাহাব। তবে এটা তখনই প্রযোজ্য যখন বেশিরভাগ চক্কর সম্পন্ন হয়নি।
৫. সায়ী শেষ করার পর মসজিদে ফিরে গিয়ে দুই রাকাত নফল নামায আদায় করা। (নবী ﷺ ও সাহাবী থেকে নফল নামায পড়া প্রমাণিত নয়)

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ ইসহাক মাহমুদ
মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া
খতীব, নবোদয় সি ব্লক জামে মসজিদ, মোহাম্মদপুর
ইমাম, বায়তুল ওয়াহহাব জামে মসজিদ, মোহাম্মদপুর

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

৩৫৮০১

ইহরাম অবস্থায় অনিচ্ছাকৃতভাবে চুল বা পশম ওঠে গেলে করণীয়


২৭ জুন, ২০২৩

রংপুর

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী

২৫১৯৯

ঋণ করে হজ্জ করা যায়?


১৩ নভেম্বর, ২০২২

ঢাকা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী

২৬৬৬৩

জীবিত বা মৃত ব্যক্তির জন্য সওয়াব পাঠানোর বিধান


১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

Dubai, United Arab Emirates

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী সিরাজুল ইসলাম

৩১৯৯৯

সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও বদলি হজ্ব করানো


৫ এপ্রিল, ২০২৩

Abdullapur Banati

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy