আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ১০১৩৫. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামুয়ালাইকুম,একজন আগে থেকে সূরা মূলকের ফজিলত সম্পর্কে জানতো,সে তখন কোনো কারণে সেটা আমল করতোনা। এরপর সে সহিহ ভাবে কুরআন পড়া শিখলো এবং সর্বপ্রথম মূলক সূরা টা পড়া শিখলো সহিহভাবে, যাতে সে আমল করতে পারে। এরপর থেকে সে প্রতি রাতেই সূরাটা আমল করলো। তার আলাদা একটা টান সৃষ্টি হয়ে গেলো সূরা মূলকের উপর। কখনো ক্লান্ত লাগেনা সূরাটা পড়ার সময়। এরকম অবস্থার, মানে মূলক পড়তে শুরু করার ১ মাস বা ১ বছরের মধ্যে যদি সে মারা যায়,তাহলে কি সে সূরা মূলকের ফজিলত পাবে? মূলক কি তাকে আজাব থেকে রক্ষা করবে? সে তো তার জীবনের ১৮/১৯ টা বছর সূরা মূলক পড়েনি। আর মারা যাওয়া বাদেও, সে যদি তার বাকিজীবন মূলক আমল করে তাহলে কি সে পরিপূর্ণ ফজিলত পাবে? নাকি প্রথম ১৮/১৯ বছর আমল না করার কারনে আংশিক ফজিলত পাবে?,

২ নভেম্বর, ২০২১

ঢাকা

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم





আল্লাহ দ্বীন মানাকে বান্দার জন্য সহজ করে দিয়েছেন, কঠিন নয়। আশা করা যায় উনি সূরা মুলকের উক্ত ফযীল্তের ভাগীদার অবশ্যই হবেন।

উক্ত ফযীলত পাওয়ার জন্য সারাজীবন সূরা মুলকের আমল করতে হবে বা আমলের উপর থাকার শর্ত নেই।
আমরা দোয়া করি, আল্লাহ উনাকে প্রাপ্ত ফযীলতের মধ্যে শামিল করে নিন।

হাদীসে এসেছে,

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي الشَّوَارِبِ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَمْرِو بْنِ مَالِكٍ النُّكْرِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي الْجَوْزَاءِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ ضَرَبَ بَعْضُ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم خِبَاءَهُ عَلَى قَبْرٍ وَهُوَ لاَ يَحْسِبُ أَنَّهُ قَبْرٌ فَإِذَا فِيهِ إِنْسَانٌ يَقْرَأُ سُورَةَ تَبَارَكَ الَّذِي بِيَدِهِ الْمُلْكُ حَتَّى خَتَمَهَا فَأَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي ضَرَبْتُ خِبَائِي عَلَى قَبْرٍ وَأَنَا لاَ أَحْسِبُ أَنَّهُ قَبْرٌ فَإِذَا فِيهِ إِنْسَانٌ يَقْرَأُ سُورَةَ تَبَارَكَ الْمُلْكُ حَتَّى خَتَمَهَا . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " هِيَ الْمَانِعَةُ هِيَ الْمُنْجِيَةُ تُنْجِيهِ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ .

ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, একবার এক সাহাবী একটি কবরের উপর তাঁর তাঁবু স্থাপন করেন। তিনি ধারণা করতে পারেন নি যে, এটি একটি কবর। হঠাৎ তিনি অনুভব করেন যে, কবরে একজন লোক সূরা মূলক তিলাওয়াত করছেন। অবশেষে তিনি তা পাঠ করে শেষ করেন। তিনি পরে নবী (ﷺ) এর কাছে এসে বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্, আমি এক স্থানে আমার তাঁবু ফেলি। আমার ধারণা ছিল না যে, এটি একটি কবর। হঠাৎ অনুভব করি একজন লোক সূরা মুলক তিলাওয়াত করে খতম করলেন।

নবী (ﷺ) বললেনঃ এটি হল প্রতিরোধক। এটি হল মুক্তিদায়ক। এ কবরের আযাব থেকে মুক্তি দেয়। এ কবরের আযাব থেকে মুক্তি দেয়।

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ মুসলিম বাংলা ইফতা বিভাগ

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

২৬০২৩

যাদেরকে কবর দেওয়া হয় না, তাদের শাস্তি কিভাবে দেওয়া হবে?


১০ ডিসেম্বর, ২০২২

নবীনগর

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী মুহাম্মাদ রাশেদুল ইসলাম

৩৩০৭৩

স্বজনের কান্নাকাটির কারণে মৃত ব্যক্তির কবরে আজাব হবে?


৫ জানুয়ারী, ২০২৪

Khulna

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি জাওয়াদ তাহের

৩৬৫৬৪

স্বামী মারা যাওয়ার পর স্ত্রী কি স্বামীর মুখ দেখতে পারবে?


২১ জুলাই, ২০২৩

HF৪F+Q৩৩

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী

৪০২০৫

জিনরা কি জান্নাতে যাবে


৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

Bhatiari

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি জাওয়াদ তাহের

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy