আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

বাইতুল্লার তাওয়াফে গাফলতি

প্রশ্নঃ ১০১২৯২. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, তাওয়াফের সময় এক চক্কর শেষ করে পরবর্তী চক্করের শুরুতে হাজরে আসওয়াদ ইস্তিলাম করতে ভুলে যাই। সবুজ বাতি থেকে ১৫/২০ কদম পার হওয়ার পর স্মরণ আসলে ঐ জায়গা থেকেই ইস্তিলাম করে নতুন চক্কর শুরু করি (অর্থাৎ ব্যাক করে আর সবুজ বাতির কাছে আসা সম্ভব হয় নি)। আমার চক্কর আদায় হয়েছে কি? বা এই ক্ষেত্রে করণীয় কি?,

২৯ এপ্রিল, ২০২৫

ঢাকা ১২০৭

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

তাওয়াফ আল্লাহর ঘরের চতুর্পাশে করা হয়। আল্লাহর ঘরের ইজ্জতের প্রতি পূর্ণ খেয়াল রেখে অত্যন্ত মনযোগের সাথে, আল্লাহ তা‘আলা মুহাব্বতে, তাঁর রহমতের আশায়, তাঁর আজাবের ভয়ে এবং তাঁর ভালোবাসায় করা উচিত। তাওয়াফের সময় এমন কোন কথা বা কাজে লিপ্ত হওয়া উচিত নয়, যার কারণে তাওয়াফের গুরুত্ব কমে যায়। মনোযোগ নষ্ট হয়ে যায়। বরং নামাযের প্রতি যেমন মনযোগ থাকে তাওয়াফের প্রতিও তেমনই মনোযোগ থাকা উচিত।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত, নবী ﷺ ইরশাদ করেন,
الطَّوَافُ حَوْلَ الْبَيْتِ مِثْلُ الصَّلاَةِ إِلاَّ أَنَّكُمْ تَتَكَلَّمُونَ فِيهِ فَمَنْ تَكَلَّمَ فِيهِ فَلاَ يَتَكَلَّمَنَّ إِلاَّ بِخَيْرٍ
অর্থ: বাইতুল্লাহর চারদিকে তাওয়াফ করা নামায আদায় করার মতই। তবে নামাযে তোমরা কথা বলতে পার না কিন্তু এতে কথা বলতে পার। সুতরাং এ সময় ভাল কথা ছাড়া কিছুই বলবে না।
প্রতি চক্করে হাজরে আসওয়াদ ইস্তিলাম করার মতো গুরুত্বপূর্ণ আমল ছুটে যাওয়া উদাসীনতার পরিচায়ক। এহেন কাজ থেকে সতর্ক থাকা আবশ্যক। ভুলের প্রায়শ্চিত্ত হিসেবে সম্পূর্ণ সুন্নত তরিকায় তাওয়াফ করুন। আল্লাহর কাছে অনুতপ্ত হয়ে ইস্তিগফার করুন। মাসায়েলের বিচারে যদিও তাওয়াফ হয়ে যাবে। কিন্তু সংশোধন না হলে পৃথিবীতে আল্লাহ তা‘আলার সবচেয়ে নিকটতম স্থানে গিয়েও তাঁর রহমত থেকে মাহরূম হওয়া ছাড়া কিছুই পাওয়া যাবে না। সুনানে তিরমীযী হাদীস নং ৯৬০

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ ইসহাক মাহমুদ
মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া
খতীব, নবোদয় সি ব্লক জামে মসজিদ, মোহাম্মদপুর
ইমাম, বায়তুল ওয়াহহাব জামে মসজিদ, মোহাম্মদপুর

প্রসঙ্গসমূহ: