আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
১- ঈমানের অধ্যায়
৩৬৫। উবাইদুল্লাহ ইবনে সাঈদ ও ইসহাক ইবনে মানসুর (রাহঃ) ......... আবু যুবাইর (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) কে الْوُرُودِ অর্থাৎ “অতিক্রম করতে হবে” সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি উত্তরে বলেছিলেন, কিয়ামতের দিন সকল মানুষ একত্রিত হবে। আমি মানুষের উপর থেকে তা দেখব। (এ উম্মতকে একত্র করা হবে একটি টিলায়) এরপর একে একে প্রতিটি জাতিকে তাদের নিজ নিজ দেব-দেবী ও উপাস্যের নামসহ ডাকা হবে। তারপর আল্লাহ আমাদের (মুমিনদের) কাছে এসে জিজ্ঞাসা করবেন, তোমরা কার অপেক্ষায় রয়েছ? মুমিনগণ বলবে, আমাদের প্রতিপালকের অপেক্ষায় আছি। তিনি বলবেন, আমিই তো তোমাদের প্রতিপালক। তারা বলবে, যতক্ষণ পর্যন্ত আপনাকে না দেখব (আমরা তা মানছি না)। এরপর আল্লাহ তখন সহাস্যে স্বীয় তাজাল্লীতে উদ্ভাসিত হবেন। অনন্তর তিনি তাদের নিয়ে চলবেন এবং মুমিনগণ তাঁর অনুসরণ করবে। মুনাফিক কি মুমিন, প্রতিটি মানুষ কেই নূর প্রদান করা হবে। তারপর তারা এর অনুসরণ করবে। জাহান্নামের পূলের উপর থাকবে কাটাযুক্ত লৌহ শলাকা। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা করেন তাকে সেগুলো পাকড়াও করবে।
মুনাফিকদের নূর নিভে যাবে। আর মুমিনগণ নাজাত পাবেন। প্রথম দল হবে সত্তর হাজার লোকের, তাদের কোন হিসাবই নেয়া হবে না। তাঁদের চেহারা হবে পূর্ণিমা রাতের চাঁদের মত উজ্জ্বল। তারপর আরেক দল আসবে, তাদের মুখমণ্ডল হবে আকাশের উজ্জ্বল নক্ষত্রের মত দীপ্ত। এভাবে পর্বায়ক্রমে সকলে পার হয়ে যাবে। তারপর শাফাআতের অনুমতি প্রদান করা হবে। ফলে সকলেই শাফাআত লাভ করবে। এমন কি যে ব্যক্তি লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ স্বীকার করেছে, এবং যার অন্তরে সামান্য যব পরিমাণ ঈমান অবশিষ্ট আছে তাকেও জাহান্নাম থেকে বের করে আনা হবে। পরে এদেরকে জান্নাতের আঙ্গিনায় জমায়েত করা হবে, আর জান্নাতিগণ তাদের গায়ে পানি সিঞ্চন করবেন, ফলে তারা এমন সতেজ হয়ে উঠবেন, যেমন কোন উদ্ভিদ স্রোতবাহিত পানিতে সতেজ হয়ে ওঠে। আগুনে পোড়া দাগসমূহ মুছে যাবে। এরপর তারা আল্লাহ তাআলার কাছে প্রার্থনা জানাবে। আল্লাহ তাদের প্রার্থনা কবুল করবেন। তাদের প্রত্যেককে পৃথিবীর মত এবং তৎসহ আরো পৃথিবীর দশগুণ প্রতিদান দেওয়া হবে।

তাহকীক:
তাহকীক নিষ্প্রয়োজন