আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
১- ঈমানের অধ্যায়
৩৬১। সাঈদ ইবনে আমর আল আশআসী, ইবনে আবু উমর এবং বিশর ইবনে হাকাম (রাহঃ) ......... মুগীরা ইবনে শু’বা (রাযিঃ) এর সূত্রে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে বর্ণিত আছে যে, একবার মুসা (আলাইহিস সালাম) তাঁর প্রতিপালককে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, জান্নাতে সবচেয়ে নিম্নস্তরের লোকটি কে হবে? আল্লাহ বললেনঃ সে হল এমন এক ব্যক্তি, যে জান্নাতীদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করানোর পর আসবে। তাকে বলা হবে, জান্নাতে প্রবেশ কর। সে বলবে, হে প্রতিপালক! তা কিরূপে হবে? জান্নাতীগণ তো নিজ নিজ আবাসের অধিকারী হয়ে গেছেন। তারা তাদের প্রাপ্য নিয়েছেন। তাকে বলা হবে, পৃথিবীর কোন সম্রাটের সামরাজ্যের সমপরিমাণ সম্পদ নিয়ে কি তুমি সন্তুষ্ট হবে? সে বলবে, হে প্রভু! আমি এতে খুশি।
আল্লাহ বলবেনঃ তোমাকে উক্ত পরিমাণ সস্পদ দেওয়া হলো। সাথে দেওয়া হল আরো সমপরিমাণ, আরো সমপরিমাণ, আরো সমপরিমাণ, আরো সমপরিমাণ, আরো সমপরিমাণ। পঞ্চমবারে সে বলে উঠবে, আমি পরিতৃপ্ত, হে আমার রব! আল্লাহ বলবেন, আরো দশগুণ দেওয়া হল। এ সবই তোমার জন্য। তাছাড়া তোমার জন্য রয়েছে এমন জিনিস, যদ্বারা মন তৃপ্ত হয়, চোখ জুড়ায়। লোকটি বলবে, হে আমার প্রভু! আমি পরিতৃপ্ত। মুসা (আলাইহিস সালাম) বললেনঃ তাদের মধ্যে সর্বোচ্চ কে? আল্লাহ তাআলা বলবেনঃ এরা তারাই যাদের মর্যাদা আমি চূড়ান্তভাবে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছি। এমন জিনিস তাদের জন্য রেখেছি, যা কোন চক্ষু কখনো দেখেনি, কোন কান কখনও শুনেনি, কারো অন্তরে কখনও কল্পনায়ও উদয় হয়নি। বর্ণনাকারী বলেন, কুরআনের এ আয়াতটি এর প্রমাণ বহন করেঃ (অর্থ) “কেউ জানেনা, তাদের জন্য নয়ন প্রীতিকর কি লুকায়িত রাখা হয়েছে, তাদের কৃতকর্মের পূরস্কারস্বরূপ। ” (সূরা সাজদাঃ ১৭)

তাহকীক:
তাহকীক নিষ্প্রয়োজন