আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৫৩- বিবাহ-শাদী সম্পর্কিত অধ্যায়
৪৭৩৪। হাকাম ইবনে নাফি ......... উম্মে হাবীবা বিনতে আবু সুফিয়ান (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -কে বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনি আমার বোন আবু সুফিয়ানের কন্যাকে শাদী করুন। নবী (ﷺ) বললেন, তুমি কি এটা পছন্দ কর? তিনি উত্তর করলেন, হ্যাঁ। এখন তো আমি আপনার একা স্ত্রী নই এবং আমি চাই যে, আমার বোনও আমার সাথে উত্তম কাজে অংশীদার হোক। তখন মহানবী (ﷺ) উত্তর দিলেন, এটা আমার জন্য হালাল নয়। আমি বললাম, আমরা শুনতে পেলাম, আপনি নাকি আবু সালামার মেয়েকে শাদী করতে চান। তিনি বললেন, তুমি বলতে চাচ্ছ যে, আমি উম্মে সালামার মেয়েকে শাদী করতে চাই। আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেন, যদি সে আমার প্রতিপালিতা কন্যা না হত, তাহলেও তাকে শাদী করা হলাল হত না। কেননা, সে দুধ সম্পর্কের দিক দিয়ে আমার ভাতিজী। কেননা, আমাকে এবং আবু সালামাকে সুওয়াইবা দুধ পান করিয়েছেন। সুতরাং, তোমরা তোমাদের কন্যা ও ভগিনীদেরকে
আমার সাথে শাদীর জন্য পেশ করো না।
উরওয়া (রাযিঃ) বর্ণনা করেন, সুওয়াইবা ছিল আবু লাহাবের দাসী এবং সে তাকে আযাদ করে দিয়েছিল। এরপর সে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -কে দুধ পান করায়। আবু লাহাব যখন মারা গেল, তার একজন আত্মীয় তাকে স্বপ্নে দেখল যে, সে ভীষণ কষ্টের মধ্যে নিপতিত আছে। তাকে জিজ্ঞাসা করল, তোমার সাথে কিরূপ ব্যবহার করা হয়েছে। আবু লাহাব বলল, যখন তোমাদের থেকে দূরে রয়েছি, তখন থেকেই ভীষণ কষ্টে আছি। কিন্তু সুওয়াইবাকে আযাদ করার কারণে কিছু পানি পান করতে পারছি।

তাহকীক:
তাহকীক নিষ্প্রয়োজন