আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৫৩- বিবাহ-শাদী সম্পর্কিত অধ্যায়
৪৭২১। আবুল ইয়ামান (রাহঃ) ......... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবু হুযায়ফা (রাযিঃ) ইবনে উতবা ইবনে রাবিয়া ইবনে আব্দ শামস, যিনি বদরের যুদ্ধে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাথে উপস্থিত ছিলেন, তিনি সালিমকে পালক-পুত্র হিসাবে গ্রহণ করেন এবং তার সাথে তিনি তাঁর ভাতিজী, ওয়ালীদ ইবনে উতবা ইবনে রাবিয়া‘র কন্যা হিন্দাকে শাদী দেন। সে ছিল জনৈকা আনসারী মহিলার আযাদকৃত দাস। যেমন যায়দকে মহানবী (ﷺ) পালক-পুত্র হিসাবে গ্রহণ করেছিলেন। জাহিলী যুগের রীতি ছিল যে, কেউ যদি অন্য কোন ব্যক্তিকে পালক-পুত্র হিসাবে গ্রহণ করত, তবে লোকেরা তাকে ঐ ব্যক্তির পুত্র হিসাবে ডাকত এবং মৃত্যুর পর ঐ ব্যক্তির উত্তরাধিকারী হত।
যতক্ষণ না পর্যন্ত আল্লাহ তা‘আলা এই আয়াত অবতীর্ণ করলেনঃ “তাদেরকে (পালক পুত্রদেরকে) তাদের জন্মদাতা পিতার নামে ডাক...... তারা তোমাদের মুক্ত করা গোলাম।” এরপর থেকে তাদেরকে পিতার নামেই শুধু ডাকা হত। যদি তাদের পিতা সম্পর্কে জানা না যেত, তাহলে তাকে মাওলা বা দ্বীনী ভাই হিসাবে ডাকা হত। তারপর [আবু হুযায়ফা ইবনে উতবা (রাযিঃ)-এর স্ত্রী] সাহলা বিনতে সুহাইল ইবনে আমর আল কুরাইশী আল আমিরী নবী (ﷺ)-এর কাছে এসে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা সালিমকে আমাদের পুত্র হিসাবে মনে করতাম’ অথচ এখন আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তা তো আপনিই ভাল জানেন। এরপর তিনি পুরো হাদীস বর্ণনা করলেন।

তাহকীক:
তাহকীক নিষ্প্রয়োজন