ইফতারের পর এ দু‘আ পড়বে-২

ذَهَبَ الظَّمَأُ. وَابْتَلَّتِ الْعُرُوْقُ. وَثَبَتَ الْاَجْرُ اِنْ شَاءَ اللهُ
উচ্চারণঃ জাহাবায যমাাউ ওয়াব তাল্লাতিল ‘উরূক্বু ওয়া সাবাতাল আজরু ইনশাা আল্লাাহ।
অর্থঃ পিপাসা দূরীভূত হয়েছে, ধমনী সমূহ সতেজ হয়েছে এবং ইনশাআল্লাহ (রোযার সওয়াব) নিশ্চিত হয়েছে।
উৎসঃ আবু দাউদ হাদীস নং-২৩৫৭
উপকারিতাঃ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى أَبُو مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْحَسَنِ، أَخْبَرَنِي الْحُسَيْنُ بْنُ وَاقِدٍ، حَدَّثَنَا مَرْوَانُ، يَعْنِي ابْنَ سَالِمٍ الْمُقَفَّعُ قَالَ رَأَيْتُ ابْنَ عُمَرَ يَقْبِضُ عَلَى لِحْيَتِهِ فَيَقْطَعُ مَا زَادَ عَلَى الْكَفِّ وَقَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا أَفْطَرَ قَالَ ذَهَبَ الظَّمَأُ وَابْتَلَّتِ الْعُرُوقُ وَثَبَتَ الأَجْرُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ বলেন। لاَ يَزَالُ النّاسُ بِخَيْرٍ مَا عَجّلُوا الفِطْرَ. মানুষ যায়। لَا يَزَالُ الدِّينُ ظَاهِرًا مَا عَجّلَ النّاسُ الْفِطْرَ، إِنّ الْيَهُودَ وَالنّصَارَى يُؤَخِّرُونَ ততদিন বলেন। إِنّ أَحَبّ عِبَادِي إِلَيّ أَعْجَلُهُمْ فِطْرًا. সময় বললেন। كَذَلِكَ كَانَ يَصْنَعُ رَسُولُ اللهِ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ. রাসূলুল্লাহ বলেন كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ يُفْطِرُ عَلَى رُطَبَاتٍ قَبْلَ أَنْ يُصَلِّيَ، فَإِنْ لَمْ تَكُنْ رُطَبَاتٌ، فَعَلَى تَمَرَاتٍ، فَإِنْ لَمْ تَكُنْ حَسَا حَسَوَاتٍ مِنْ مَاءٍ. রাসূলুল্লাহ বলেন إِذَا أَفْطَرَ أَحَدُكُمْ فَلْيُفْطِرْ عَلَى تَمْرٍ، فَإِنْ لَمْ يَجِدْ فَلْيُفْطِرْ عَلَى مَاءٍ فَإِنّهُ طَهُورٌ. তোমাদের এসেছেঃ اللّهُمّ لَكَ صُمْتُ، وَعَلَى رِزْقِكَ أَفْطَرْتُ. আয় পড়তেন ذَهَبَ الظّمَأُ وَابْتَلّتِ الْعُرُوقُ، وَثَبَتَ الْأَجْرُ إِنْ شَاءَ اللهُ. পিপাসা
. আব্দুল্লাহ্ ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াহ্ইয়া ইবনে সালিম আল্-মুকাফফা (রাহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ইবনে উমর (রাযিঃ)-কে এক মুষ্টির অধিক দাঁড়ি কর্তন করতে দেখেছি। এরপর তিনি বলেন, নবী করীম ইফতারের সময় বলতেন, তৃষ্ণা নিবারিত হয়েছে, শিরা-উপশিরা পরিতৃপ্ত হয়েছে এবং আল্লাহ্ চাহেতু বিনিময় নির্ধারিত হয়েছে। কিতাবুস সুনান ইমাম আবু দাউদ রহঃ (সুনানে আবু দাউদ) হাদিস নং: ২৩৪৯ আন্তর্জাতিক নং: ২৩৫৭ তাহকীকঃ বিশুদ্ধ (পারিভাষিক হাসান) হাদিসের ব্যাখ্যাঃ দ্রুত ইফতার করা ছিল নবীগণের বৈশিষ্ট্য। সাহাবায়ে কেরামও দ্রুত ইফতার করতেন। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন। لاَ الفِطْرَ. মানুষ ততদিন খায়র ও কল্যাণের মাঝে থাকবে যতদিন তারা সময় হওয়ার সাথে সাথে দ্রুত ইফতার করবে। সহীহ বুখারী, হাদীস ১৯৫৭; সহীহ মুসলিম, হাদীস ১০৯৮ অন্য বর্ণনায় পাওয়া যায়। لَا يُؤَخِّرُونَ ততদিন দ্বীন প্রতিষ্ঠিত থাকবে যতদিন মানুষ দ্রুত ইফতার করবে। কেননা ইহুদী-নাসারারা বিলম্ব করে। মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস ৮৯৪৪ হাদীসে কুদসীতে এসেছে, আল্লাহ তাআলা বলেন। إِنّ فِطْرًا. সময় হওয়ার সাথে সাথে দ্রুত ইফতারকারী আমার নিকট সবচেয়ে প্রিয়। জামে তিরমিযী, হাদীস ৭০০; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ৭২৪১, ৮৩৬০ একবার হযরত মাসরূক রাহ. হযরত আয়েশা রা.-কে জিজ্ঞাসা করলেন দুইজন সাহাবী। উভয়েই কল্যাণের কাজে খুব অগ্রসর। একজন ইফতার ও মাগরিব দ্রুত শুরু করেন। আরেকজন কিছুটা বিলম্ব করেন। আম্মাজান জিজ্ঞাসা করলেন, তবে দ্রুত করেন কে? বললেন, আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা.। হযরত আয়েশা রা. বললেন। كَذَلِكَ وَسَلّمَ. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও এমনটিই করতেন। সহীহ মুসলিম, হাদীস ১০৯৯; জামে তিরমিযী, হাদীস ৭০২ তাই সময় হওয়ার সাথে সাথে দ্রুত ইফতার করে নেই। নামাযের আগেই ইফতার করি সূর্য অস্তমিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রোযাদার ইফতার করবে এবং মুয়াজ্জিন আযান দিবে। ইফতারের ওয়াক্ত আযান শুরু হওয়ার পর হয় বিষয়টি এমন নয়। আমাদের দেশে রেওয়াজ আছে যে, লোকেরা ইফতার সামনে নিয়ে অপেক্ষা করতে থাকে এবং আযানের শব্দ শোনার আগ পর্যন্ত ইফতার করে না। এ থেকে কারো কারো মনে এ ধারণা সৃষ্টি হয়েছে যে, ইফতারের ওয়াক্তই শুরু হয় আযানের পর। এই ধারণা ঠিক নয়। সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গেই ইফতারের ওয়াক্ত হয়। আর বিনা কারণে ইফতার বিলম্ব করা খেলাফে সুন্নত। ওয়াক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইফতার করা উচিত। নামাযের পূর্বেই সংক্ষিপ্তভাবে ইফতার সেরে নেওয়া; ইফতারের জন্য বিশাল আয়োজন লাগবে এমনটি নয়। নবীজীর আমলও এমনই ছিল। হযরত আনাস রা. বলেন كَانَ مَاءٍ. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাগরিবের নামায পড়ার পূর্বেই তাজা খেজুর দিয়ে ইফতার করে নিতেন। তাজা খেজুর না থাকলে শুকনো খেজুর দিয়ে। আর তাও না থাকলে কয়েক ঢোক পানি পান করে নিতেন। সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ২৩৫৬; জামে তিরমিযী, হাদীস ৬৯৬; মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস ৯৭৮৯ খেজুর দিয়ে ইফতার করি মাত্রই আমরা দেখে আসলাম, নবীজী খেজুর দিয়ে ইফতার করতেন। তাই খেজুর দিয়ে ইফতার করা মুস্তাহাব। খেজুর না পেলে পানি দিয়ে। নবীজী বলেন إِذَا طَهُورٌ. তোমাদের কেউ ইফতার করলে সে যেন খেজুর দিয়ে ইফতার করে। খেজুর না থাকলে পানি দিয়ে। কেননা তা পবিত্র বস্তু। জামে তিরমিযী, হাদীস ৬৯৫ ইফতারের দুআ পড়ি ইফতারের সময় হাদীস শরীফে এ দুআ পড়ার কথা এসেছেঃ اللّهُمّ أَفْطَرْتُ. আয় আল্লাহ! আপনার সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যেই রোযা রেখেছি এবং আপনার রিযিক দিয়েই ইফতার করেছি। সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ২৩৫৮; মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস ৯৭৪৪; কিতাবুয যুহদ, ইবনুল মুবারক, হাদীস ১৪১০, ১৪১১ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই দুআও পড়তেন ذَهَبَ اللهُ. পিপাসা নিবারিত হল, শিরা-উপশিরা সতেজ হল। আর আল্লাহ চাহে তো সওম-এর সওয়াব প্রাপ্তির খাতায় লিপিবদ্ধ হল। সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ২৩৫৭; সুনানে কুবরা, নাসাঈ, হাদীস ৩৩১৫, ১০০৫৮
দু'আর বিষয়
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে
দু’আর বিষয় লোড হচ্ছে