দু'আ

সূরা আল-ফালাক

সকল দু'আ একত্রে দেখুন

সূরা আল-ফালাক

share dua

قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ مِن شَرِّ مَا خَلَقَ وَمِن شَرِّ غَاسِقٍ إِذَا وَقَبَ وَمِن شَرِّ النَّفَّاثَاتِ فِي الْعُقَدِ وَمِن شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ

উচ্চারণঃ কুল আ‘ঊযুবিরাব্বিল ফালাক মিন শাররি মা-খালাক। ওয়া মিন শাররি গা-ছিকিন ইযা-ওয়াকাব। ওয়া মিন শাররিন নাফফা-ছা-তি ফিল ‘উকাদ। ওয়া মিন শাররি হা-ছিদিন ইযা-হাছাদ।

অর্থঃ বলুন, আমি আশ্রয় গ্রহণ করছি প্রভাতের পালনকর্তার, তিনি যা সৃষ্টি করেছেন, তার অনিষ্ট থেকে, অন্ধকার রাত্রির অনিষ্ট থেকে, যখন তা সমাগত হয়, গ্রন্থিতে ফুঁৎকার দিয়ে জাদুকারিনীদের অনিষ্ট থেকে এবং হিংসুকের অনিষ্ট থেকে যখন সে হিংসা করে।

উৎসঃ আল-কুরআন, সূরা-১১৩

উপকারিতাঃ

قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ ওقل أعُوذُ بِرَبِّ النّاسِ দেখুনঃفلق قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ-এর فَالِقُ الإِصْبَاحِ

হযরত ওকবা ইবনে আমের (রাযিঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বলিলেন, হে ওকবা ইবনে আমের, তুমি আল্লাহ্‌ তায়ালার নিকট অপেক্ষা অধিক প্রিয় এবং অধিক দ্রুত কবুল হওয়ার মত আর কোন সূরা পড়িতে পার না। অতএব তুমি নামাজে এই সূরা পড়িতে ছাড়িও না। (ইবনে হিব্বান) সূরা ফালাক সূরা নাস এর ফজিলত: প্রত্যেক মু’মিনের বিশ্বাস এই যে, ইহকাল পরকালের সমস্ত লাভ-লোকসান আল্লাহ্ তা’আলার করায়ত্ত। তাঁর ইচ্ছা ব্যতিরেকে কেউ কারও অণু পরিমাণ লাভ অথবা লোকসান করতে পারে না। অতএব, ইহকাল পরকালের সমস্ত বিপদাপদ থেকে নিরাপদ থাকার একমাত্র উপায় হচ্ছে নিজেকে আল্লাহর আশ্রয়ে দিয়ে দেওয়া এবং কাজেকর্মে নিজেকে তাঁর আশ্রয়ে যাওয়ার যোগ্য করতে সচেষ্ট হওয়া। সূরা ফালাকে ইহলৌকিক বিপদাপদ থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়ার শিক্ষা আছে এবং সূরা নাসে পারলৌকিক বিপদাপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করা হয়েছে। নির্ভরযোগ্য হাদীসসমূহে উভয় সূরার অনেক ফযীলত বরকত বর্ণিত আছে। সহীহ মুসলিমে ওকবা ইবনে আমের (রা)-এর বর্ণিত হাদীসে রসূলূল্লাহ (সা) বলেনঃ তোমরা লক্ষ্য করেছ কি. অদ্য রাত্রিতে আল্লাহ্ তা’আলা আমার প্রতি এমন আয়াত নাযিল করেছেন, যার সমতুল্য আয়াত দেখা যায় না অর্থাৎ ওقل আয়াতসমূহ। অন্য এক রেওয়ায়েতে আছে তওরাত, ইঞ্জীল, যবুর এবং কোরআনেও অনুরূপ কোন সূরা নেই। এক সফরে রসূলুল্ল (সা) ওকবা ইবনে আমের (রা)-কে সূরা ফালাক সূরা নাস পাঠ করালেন, অতঃপর মাগরিবের নামাযে সূরাদ্বয়ই তিলাওয়াত করে বললেনঃ এই সূরাদ্বয় নিদ্রা যাওয়ার সময় এবং নিদ্রা থেকে গাত্রোত্থানের সময়ও পাঠ কর। অন্য হাদীসে তিনি প্রত্যেক নামাযের পর সূরাদ্বয় পাঠ করার আদেশ করেছেন।-(আবূ দাউদ, নাসায়ী) হযরত আয়েশা (রা) বলেন: রসূলুল্লাহ্ (সা) কোন রোগে আক্রান্ত হলে এই সূরাদ্বয় পাঠ করে হাতে ফুঁ দিয়ে সর্বাঙ্গে বুলিয়ে দিতেন। ইন্তেকালের পূর্বে যখন তাঁর রোগযন্ত্রণা বৃদ্ধি পায়, তখন আমি এই সূরাদ্বয় পাঠ করে তাঁর হাতে ফুক দিতাম। অতঃপর তিনি নিজে তা সর্বাঙ্গে বুলিয়ে নিতেন। আমার হাত তাঁর পবিত্র হাতের বিকল্প হতে পারত না। তাই আমি এরূপ করতাম।—(ইবনে কাসীর) হযরত আবদুল্লাহ ইবনে হাবীব (রা) বর্ণনা করেন, এক রাত্রিতে বৃষ্টি ভীষণ অন্ধকার ছিল। আমরা রাসূলুল্লাহ (সা)-কে খুঁজতে বের হলাম। যখন তাঁকে পেলাম, তখন প্রথমেই তিনি বললেন বল। আমি আরয করলাম, কি বলব? তিনি বললেনঃ সূরা ইখলাছ কুল আউস্ সূরাদ্বয়। সকাল-সন্ধ্যায় এগুলো তিনবার পাঠ করলে তুমি প্রত্যেক কষ্ট থেকে নিরাপদ থাকবে।—(মাযহারী) সারকথা এই যে, যাবতীয় বিপদাপদ থেকে নিরাপদ থাকার জন্য রসূলুল্লাহ্ (সা) সাহাবায়ে কিরাম এই সূরাদ্বয়ের আমল করতেন। অতঃপর তায়াতসমূহের তফসীর দেখুনঃفلق الْفَلَقِ-এর শাব্দিক অর্থ বিদীর্ণ হওয়া। এখানে উদ্দেশ্য নিশি শেষে ভোর হওয়া। অন্য এক আয়াতে আল্লাহর গুণ বর্ননা করা হয়েছে। এখানে আল্লাহর সমস্ত গুণের মধ্য থেকে একে অবলম্বন করার রহস্য এই হতে পারে যে, রাত্রির অন্ধকার প্রায়ই অনিষ্ট বিপদাপদের কারণ হয়ে থাকে এবং ভোরের আলো সেই বিপদাপদের আশংকা দূর করে দেয়। এতে ইঙ্গিত রয়েছে যে, যে তাঁর কাছে আশ্রয় চাইবে, তিনি তার সকল মুসীবত দূর করে দেবেন।-(মাযহারী) তাফসীরে মারেফুল কুরআন।


এ সম্পর্কিত আরও দু’আ...

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy