দু'আ

সূরা আল-ইখলাস

সকল দু'আ একত্রে দেখুন

সূরা আল-ইখলাস

share dua

قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ اللَّهُ الصَّمَدُ لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ وَلَمْ يَكُن لَّهُ كُفُوًا أَحَدٌ

উচ্চারণঃ কুল হুওয়াল্লা-হু আহাদ। আল্লা-হুসসামাদ। লাম ইয়ালিদ ওয়ালাম ইঊলাদ। ওয়া লাম ইয়াকুল্লাহূকুফুওয়ান আহাদ।

অর্থঃ বলুন, তিনি আল্লাহ, এক, আল্লাহ অমুখাপেক্ষী, তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কেউ তাকে জন্ম দেয়নি এবং তার সমতুল্য কেউ নেই।

উৎসঃ আল-কুরআন, সূরা-১১২

উপকারিতাঃ

قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ الله احد صمد لَمْ يَلِدْ কুরআন। عن رسول الله صلى الله عليه وسلم: أنه سمع رجلاً يقرأ: قل هو الله أحد فقال: «وجبت». قيل: يا رسول الله وما وجبت؟ قال: «وجبت له الجنة». تفسير الكشاف أخرج ابن الضريس وأبو الشيخ في العظمة وابن جرير عن كعب قال: إن الله تعالى ذكره أسس السموات السبع والأرضين السبع على هذه السورة {قل هو الله أحد الله الصمد لم يلد ولم يولد ولم يكن له كفواً أحد} وإن الله لم يكافئه أحد من خلقه. الدر المنثور للسيوطي

হযরত আবু দারদা (রাযিঃ) হইতে বর্নিত আছে যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, তোমাদের কেহ কি এই বিষয়ে অক্ষম যে, এক রাত্রে কুরআনের এক তৃতীয়াংশ পড়িয়া লইবে? সাহাবা (রাযিঃ) আরজ করিলেন, কেহ এক রাত্রে কুরআনের এক তৃতীয়াংশ কি করিয়া পড়িতে পারে? নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করিলেন, কুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমান। (মুসলিম) হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত আছে, জনৈক ব্যক্তি রসূলুল্লাহ্ (সা)-র কাছে এসে আরয করলঃ আমি এই সূরাটি খুব ভালবাসি। তিনি বললেনঃ এর ভালবাসা তোমাকে জান্নাতে দাখিল করবে। -(ইবনে কাসীর) হযরত আবূ হুরায়রা (রা) বর্ণনা করেন, একবার রসূলুল্লাহ্ (সা) বললেন তোমরা সবাই একত্রিত হয়ে যাও। আমি তোমাদেরকে কোরআনের এক-তৃতীয়াংশ শুনাব। অতঃপর যাদের পক্ষে সম্ভব ছিল, তারা একত্রিত হয়ে গেলে তিনি আগমন করলেন এবং সূরা ইখলাস পাঠ করে শুনালেন। তিনি আরও বললেনঃ এই সূরাটি কোরআনের এক-তৃতীয়াংশের সমান।-(মুসলিম, তিরমিযী) আবূ দাউদ, তিরমিযী নাসায়ীর এক দীর্ঘ রেওয়ায়েতে রসূলুল্লাহ্ (সা) বলেনঃ যে ব্যক্তি সকাল-বিকাল সূরা ইখলাস, ফালাক নাস পাঠ করে তা তাকে বালা-মুসীবত থেকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য যথেষ্ট হয়। (ইবনে কাসীর) ওকবা ইবনে আমের (রা)-এর রেওয়ায়েতে রসূলুল্লাহ্ (সা) বলেনঃ আমি তোমাদেরকে এমন তিনটি সুরা বলছি, যা তওরাত, ইঞ্জীল, যবুর, কোরআন সব কিতাবেই নাযিল হয়েছে। রাত্রিতে তোমরা ততক্ষণ নিদ্রা যেয়ো না, যতক্ষণ সূরা ইখলাস, ফালাক নাস না পাঠ কর। ওকবা (রা) বলেনঃ সেদিন থেকে আমি কখনও এই আমর ছাড়িনি।—(ইবনে কাসীর) সূরা ইখলাসে তওহীদ শিরকের পূর্ণ বিরোধিতা আছেঃ দুনিয়াতে তওহীদ অস্বীকারকারী মুশরিকদের বিভিন্ন প্রকার বিদ্যমান আছে। সূরা ইখলাস সর্বপ্রকার মুশরিক সুলভ ধারণা খণ্ডন করে পূর্ণ তওহীদের সবক দিয়েছে। তওহীদ বিরোধীদের এক স্বয়ং আল্লাহর অস্তিত্বই স্বীকার করে না, কেউ অস্তিত্ব স্বীকার করে, কিন্তু তাকে চিরন্তন মানে না এবং কেউ উভয় বিষয় মানে, কিন্তু গুণাবলীর পূর্ণতা অস্বীকার করে। কেউ কেউ সবই মানে, কিন্তু ইবাদতে অন্যকে শরীক করে। বাক্যে সব ভ্রান্ত ধারণার খণ্ডন হয়ে গেছে। কতক লোক ইবাদতেও শরীক করে না, কিন্তু অন্যকে অভাব পূরণকারী কার্যনির্বাহী মনে করে। শব্দে এই ধারণা বাতিল করা হয়েছে। যারা আল্লাহর সন্তান আছে বলে বিশ্বাস করে, তাদেরকে বলে জওয়াব দেওয়া হয়েছে। তাফসীরে মারেফুল কুরআন। عن


এ সম্পর্কিত আরও দু’আ...

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy