দু‘আ-১৯৪

share dua

اَللّٰهُمَّ إِنِّيْۤ أَسْأَلُكَ إِِيْمَانًا دَآئِمًا، وَأَسْأَلُكَ قَلْبًا خَاشِعًا، وأَسْأَلُكَ عِلْمًا نَّافِعًا، وَأَسْأَلُكَ يَقِيْنًا صَادِقًا، وَأَسْأَلُكَ دِيْنًا قَيِّمًا، وَأَسْأَلُكَ الْعَافِيَةَ مِنْ كُلِّ بَلِيَّةٍ، وَأَسْأَلُكَ تَمَامَ الْعَافِيَةِ، وَأَسْأَلُكَ دَوَامَ الْعَافِيَةِ، وَأَسْأَلُكَ الشُّكْرَ عَلَى الْعَافِيَةِ، وَأَسْأَلُكَ الْغِنٰى عَنِ النَّاسِ. اَللّٰهُمَّ إِنِّيْۤ أَسْتَغْفِرُكَ لِمَا تُبْتُ إِلَيْكَ مِنْهُ ثُمَّ عُدْتُّ فِيْهِ، وَأَسْتَغْفِرُكَ لِمَاۤ أَعْطَيْتُكَ مِنْ نَّفْسِيْ ثُمَّ لَمْ أُوْفِ لَكَ بِه، وَأَسْتَغْفِرُكَ لِلنِّعَمِ الَّتِيْ تَقَوَّيْتُ بِهَا عَلٰى مَعَاصِيْكَ، وَأَسْتَغْفِرُكَ لِكُلِّ خَيْرٍ أَرَدْتُّ بِه وَجْهَكَ فَخَالَطَنِيْ فِيْهِ مَا لَيْسَ لَكَ. اَللّٰهُمَّ لَا تُخْزِنِيْ فَإِنَّكَ بِيْ عَالِمٌ، وَلَا تُعَذِّبْنِيْ فَاِنَّكَ عَلَيَّ قَادِرٌ.

উচ্চারণঃ null

অর্থঃ ইয়া আল্লাহ! আমি আপনার কাছে চাই স্থায়ী ঈমান ও বিনয়ী হৃদয়। আপনার কাছে চাই উপকারী ইলম, আর আপনার কাছে প্রার্থনা করছি, সত্য ইয়াকীন (বিশ্বাস)। প্রার্থনা করছি সঠিক দ্বীনদারী। প্রার্থনা করছি সকল বিপদ থেকে মুক্তি। আপনার কাছে চাই সর্বদা সুস্থতা ও নিরাপত্তা। আপনার কাছে চাই সুস্থতা ও নিরাপত্তার উপর শোকরগোজারীর তাওফীক। আর আপনার কাছে চাই মাখলুক থেকে অমুখাপেক্ষিতা।২২০ ইয়া আল্লাহ! আমি আপনার কাছে ঐ গুনাহ থেকে ক্ষমা চাই, যা থেকে তাওবা করে পুনরায় তাতে লিপ্ত হয়েছি। ক্ষমা চাই ঐ অঙ্গীকার সম্পর্কে, যা আপনার সাথে করার পর ভঙ্গ করেছি।২২১ ক্ষমা চাই আপনার ঐ সকল নেয়ামতের, যা দ্বারা শক্তি অর্জন করে আপনার নাফরমানীতে লিপ্ত হয়েছি। আর আপনার কাছে ক্ষমা চাই ঐ সকল নেক কাজের বিষয়ে, যা শুধু আপনারই জন্য করতে চাওয়ার পর তাতে অন্যকিছু (যেমন, খ্যাতি ও মর্যাদার লোভ, লৌকিকতা ইত্যাদি।) মিশ্রিত করেছি।২২২ ইয়া আল্লাহ! আমাকে অপদস্থ কোরেন না, নিশ্চয়ই আপনি আমার সম্পর্কে অবগত। আমাকে আঘাত দিয়েন না, নিশ্চয়ই আপনি আমার উপর সর্বদিক থেকে ক্ষমতাবান।২২৩

উৎসঃ -কানযুল উম্মাল

উপকারিতাঃ

করে। الشُّكْرَ عَلَى الْعَافِيَةِ

২২০. আপনার কাছে এই তাওফীকও চাই যে, শুধু আপনারই কাছে প্রার্থনা করব, মাখলুকের কাছে নয়। দু‘আর অংশটুকু তাকভীনী তাশরীয়ী (ধর্মীয় জাগতিক) উভয় প্রকারের কাম্য প্রার্থিত বিষয় শামিল করে। الشُّكْرَ অতি প্রয়োজনীয় দু‘আ। নতুবা সাধারণত এমনই হয় যে, সুস্থতা নিরাপত্তা লাভের পর মন কঠিন উদাসীন হয়ে যায় এবং খালিক মাখলুকের হক আদায়ের ক্ষেত্রে বেপরোয়া হয়ে যায়। ২২১. কী সত্য মানব-স্বভাবের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ দু‘আ- মানুষ কতবার তাওবা করে, এরপর সাময়িক দুর্বলতার শিকার হয়ে আবার তাতে লিপ্ত হয়ে পড়ে। কতবার অঙ্গীকার করে, এরপর সাথে সাথেই তা ভঙ্গ করে। ২২২. মানবমনের কী সূক্ষ্ম সঠিক বিবরণ- আল্লাহ তা‘আলার নিয়ামতসমূহ ভোগ করে যে দৈহিক মানসিক শক্তি অর্জিত হল মানুষ তা পুরাপুরি আল্লাহর আনুগত্যে ব্যয় করার পরিবর্তে তার নাফরমানী অবাধ্যতায় ব্যয় করতে থাকে। এরপর বোধোদয় হলে আফসোস করে অনুতপ্ত হয় এবং নিজেকে ধিক্কার দিতে থাকে। তেমনি জীবনে কতবার এমন হয়েছে যে, শুরুতে পুরা ইখলাসের সাথে আল্লাহর রেযামন্দীর জন্যই কোনো কাজে হাত দেয়া হল; কিন্তু এরপরই কাজের খ্যাতি পেয়ে বা তাতে নফসানী আনন্দ পেয়ে কিংবা তার বিরোধিতা দেখে মনোযোগ সৃষ্টির দিকে ধাবিত হল এবং ইখলাসের সাথে যথেষ্ট পরিমাণে খ্যাতি মর্যাদার লোভ, প্রবৃত্তিপরায়ণতা বা জেদাজেদির মিশ্রণ ঘটে গেল। তো প্রাত্যহিক অভিজ্ঞতা। সুতরাং কীভাবে সম্ভব যে, অন্তরের এসব লুকায়িত ব্যাধি আল্লাহর রাসূলের সূক্ষ্ম দৃষ্টির বাইরে থাকে? ২২৩. আমার কোন দোষটা আপনার সর্বব্যাপী দৃষ্টির বাইরে! এরপরও যে তা গোপন রেখেছেন তো মাবুদ আপনারই দয়া। আপনি যেকোনো প্রকারের আযাব দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন। এরপরও যে ছেড়ে রেখেছেন সে তো আপনারই করুণা।


এ সম্পর্কিত আরও দু’আ...

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy