দু‘আ-৪

share dua

رَبَّنَا لَا تُزِغْ قُلُوْبَنَا بَعْدَ اِذْ هَدَیْتَنَا وَ هَبْ لَنَا مِنْ لَّدُنْكَ رَحْمَةً ۚ اِنَّكَ اَنْتَ الْوَهَّابُ۝۸

উচ্চারণঃ রাব্বানা-লা-তুঝিগ কুলূবানা-বা‘দা ইয হাদাইতানা -ওয়াহাবলানা-মিল্লা দুনকা রাহমাতান ইন্নাকা আনতাল ওয়াহহা-ব।

অর্থঃ হে আমাদের রব! আপনি যে আমাদের (সত্যপথের) দিশা দিয়েছেন, এরপর আমাদের অন্তরে বক্রতা সৃষ্টি কোরেন না। আর আমাদের দান করুন আপনার তরফ থেকে (বিশেষ) রহমত। নিশ্চয়ই আপনি মহাদাতা। (যে রহমত আপনি দান করবেন, তা আপনার শান মোতাবেকই হবে)।৬

উৎসঃ -সূরা আলে ইমরান : ৮

উপকারিতাঃ

رَحْمَةً (نكره হয়। لَا تُزِغْ قُلُوْبَنَا بَعْدَ اِذْ هَدَیْتَنَا বিপদ। وَ هَبْ لَنَا مِنْ لَّدُنْكَ رَحْمَةً ۚ করুন। مِنْ لَّدُنْكَ رَحْمَةً

৬. উপরের দু‘আয় শব্দটি নাকিরা রূপে এসেছে। এটি ইঙ্গিত করে যে, ‘বড় কোনো রহমত’ বা ‘বিশেষ কোনো রহমত’ প্রার্থনা করা হয়েছে। উদ্দেশ্যেও আরবী ভাষায় কোনো শব্দকে নাকিরারূপে ব্যবহার করা হয়। لَا (আপনি যে আমাদের সত্যপথের দিশা দিয়েছেন এরপর আমাদের অন্তরে বক্রতা সৃষ্টি কোরেন না) প্রার্থনা ঠিক এরকম যেমন কেউ সুস্থ অবস্থায় অসুস্থতা থেকে পানাহ চেয়ে বলল, পরওয়ারদেগার! আপনি যে আমাদের সুস্থতা দান করেছেন, এরপর আমাদের রোগ-ব্যাধিতে আক্রান্ত কোরেন না। আল্লাহই ‘মুসাব্বিবুল আসবাব’। অর্থাৎ সকল উপায় কারণের স্রষ্টা। রোগ-ব্যাধি এবং ভ্রষ্টতা গোমরাহীর কারণগুলো তাঁরই আদেশে পয়দা হয়। সুপথ লাভের পর তা হাতছাড়া হওয়া এবং পুনরায় পথভ্রষ্ট হওয়া এক মারাত্মক বিপদ। وَ (আর আমাদের দান করুন আপনার তরফ থেকে খাস রহমত)। প্রথম আবেদনটি ছিল মুক্তির। অর্থাৎ আমাদেরকে হৃদয় আত্মার ব্যাধিসমূহ থেকে রক্ষা করুন। এবারের আবেদনটি প্রাপ্তির। অর্থাৎ আমাদের আত্মা হৃদয়ে পূর্ণ শক্তি সুস্থতা দান করুন। مِنْ (আপনার তরফ থেকে খাস রহমত)। অর্থাৎ আমাদের কর্ম যোগ্যতার দাবি নয়, আমরা আপনার করুণা ভিক্ষা করছি। নিজ দয়ায় আমাদের নেয়ামত দান করুন। কী যবরদস্ত দু‘আ! কী করুণা সঞ্চরক প্রার্থনা!


এ সম্পর্কিত আরও দু’আ...

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy