মুসলিম বিবাহ

মুফতি তারেকুজ্জামান

মুফতি তারেকুজ্জামান

class="p1" style="margin-right: 0px; margin-bottom: 8px; margin-left: 0px; background-color: rgb(247, 241, 216); font-family: Kalpurush; font-size: 11px; line-height: normal; width: 799px; text-align: justify; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-alternates: normal; font-size-adjust: none; font-kerning: auto; font-optical-sizing: auto; font-feature-settings: normal; font-variation-settings: normal; font-variant-position: normal; font-stretch: normal; color: rgb(0, 0, 0); background-image: initial !important; background-position: initial !important; background-size: initial !important; background-repeat: initial !important; background-attachment: initial !important; background-origin: initial !important; background-clip: initial !important; overflow-wrap: break-word !important;">মুফতি তারেকুজ্জামানের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি :

class="p1" style="margin-right: 0px; margin-bottom: 8px; margin-left: 0px; background-color: rgb(247, 241, 216); font-family: Kalpurush; font-size: 11px; line-height: normal; width: 799px; text-align: justify; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-alternates: normal; font-size-adjust: none; font-kerning: auto; font-optical-sizing: auto; font-feature-settings: normal; font-variation-settings: normal; font-variant-position: normal; font-stretch: normal; color: rgb(0, 0, 0); background-image: initial !important; background-position: initial !important; background-size: initial !important; background-repeat: initial !important; background-attachment: initial !important; background-origin: initial !important; background-clip: initial !important; overflow-wrap: break-word !important;">তিনি ১৯৮৯ খ্রিষ্টাব্দে পাবনা জেলার সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ক্ষুরধার মেধা, বুদ্ধিদীপ্ত কথাবার্তা ও পাণ্ডিত্যপূর্ণ কর্মচাঞ্চল্যের মাধ্যমে শৈশবেই নিজের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জানান দেন। মাত্র চার বছর বয়সেই ‍বিচক্ষণ পিতার তত্ত্বাবধানে বিদূষী মায়ের কাছে লেখাপড়া শুরু করে নয় বছর বয়সেই ক্লাস ফাইভ শেষ করেন। স্কুল লাইফের প্রায় সকল পরীক্ষায়ই প্রথম স্থান অর্জন করে নিজের অসামান্য মেধার পরিচয় দেন। অতঃপর দশ বছর বয়সে ক্লাস সিক্সে ওঠার কিছুদিন পরেই স্কুলের স্যার ও আত্মীয়দের শত বাধা-অনুরোধ উপেক্ষা করে দ্বীনি ইলম শিক্ষার উদ্দেশ্যে মাদরাসায় গমন করেন এবং তৎকালীন পাবনার অন্যতম সেরা প্রতিষ্ঠান কাশিনাথপুর নয়াবাড়ী মাদরাসায় মকতব বিভাগে ভর্তি হন। প্রথম বছরেই বিখ্যাত তানযীম বোর্ডের কেন্দ্রীয় পরিক্ষায় মেধা তালিকায় ২য় স্থান অর্জন কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখেন। অতঃপর মাদরাসার প্রাথমিক শিক্ষা পাবনাতেই সম্পন্ন করে পাড়ি জমান সুদূর যশোরে। সেখানে পেয়ে যান ছাত্র গড়ার নীরব কারিগর, অসাধারণ প্রতিভাধর আলিমে দ্বীন মুফতি আব্দুর রাযযাক সাহেবের সংস্পর্শ। মহান আত্মত্যাগী এ উসতাযের সান্নিধ্যে নিরবচ্ছিন্নভাবে চার বছর অবস্থান করেন এবং তাঁর বিশেষ তত্ত্বাবধানে ফারসি ও আরবি ভাষা শেখার পাশাপাশি সরফ, নাহু ও মানতিক—এ তিনটি শাস্ত্রের ওপর অসামান্য বুৎপত্তি অর্জন করেন। বিশেষত নাহু-সরফের ওপর তার অসামান্য দখল ও বিশেষ পাণ্ডিত্য ছিল পরিচিত মহলে সুবিদিত।

class="p1" style="margin-right: 0px; margin-bottom: 8px; margin-left: 0px; background-color: rgb(247, 241, 216); font-family: Kalpurush; font-size: 11px; line-height: normal; width: 799px; text-align: justify; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-alternates: normal; font-size-adjust: none; font-kerning: auto; font-optical-sizing: auto; font-feature-settings: normal; font-variation-settings: normal; font-variant-position: normal; font-stretch: normal; color: rgb(0, 0, 0); background-image: initial !important; background-position: initial !important; background-size: initial !important; background-repeat: initial !important; background-attachment: initial !important; background-origin: initial !important; background-clip: initial !important; overflow-wrap: break-word !important;">অতঃপর তিনি উচ্চশিক্ষা অর্জনের লক্ষ্যে চলে যান চট্টগ্রাম। ভর্তি হন বাংলাদেশের প্রসিদ্ধ প্রতিষ্ঠান মেখল মাদরাসায়। সেখানের পাঠ শেষ করে চলে আসেন বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ প্রতিষ্ঠান হাটহাজারি মাদরাসায়। অতঃপর হাটহাজারির পাঠ শেষ করে ঢাকায় এসে ভর্তি হন বসুন্ধরা মাদরাসায় এবং অত্যন্ত কৃতিত্ব ও সুনামের সাথে ২০১১ সালে দাওরায়ে হাদিস সম্পন্ন করেন। বসুন্ধরা মাদরাসার তত্ত্বাবধানে পরিচালিত বোর্ড পরীক্ষায় মিশকাত ও দাওরায় ১ম স্থান অর্জনসহ অত্যন্ত ভালো ফলাফলের সুবাদে তাখাসসুস পরবর্তী সেখানেই শিক্ষকতার প্রস্তাব পান। কিন্তু তিনি সে প্রস্তাব গ্রহণ না করে ফিকহ-হাদিসে বুৎপত্তি অর্জন করার উদ্দেশ্যে তাখাসসুসের জন্য বাংলাদেশের প্রসিদ্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মারকাযুশ শাইখ যাকারিয়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারে চলে আসেন। এখানে তিনি অত্যন্ত কৃতিত্ব ও সুনামের সাথে তিন বছর ইফতা পড়ার পাশাপাশি উলুমুল হাদিসও সম্পন্ন করেন। স্কুল লাইফের মতো মাদরাসা জীবনেরও প্রায় প্রতিটি ক্লাসেই তিনি সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে ১ম স্থান অধিকার করতেন। এমন নিরবচ্ছিন্ন ভালো ফলাফলের কারণে উসতাযবৃন্দ ও ছাত্রদের কাছে তাঁর ছিল বিশেষ কদর ও অনন্য সম্মান। পড়াশোনা শেষ করে ২০১৫ সালে তিনি মারকাযুশ শাইখ যাকারিয়াতেই উসতায হিসেবে যোগদান করেন। সেখানে তিনি মিশকাত ও দাওরাসহ ইফতা, উলুমুল হাদিস, তাফসির ও আরবি আদব বিভাগে অত্যন্ত সুনাম ও দায়িত্বশীলতার সহিত শিক্ষাদানের দায়িত্ব পালন করেন।

class="p1" style="margin-right: 0px; margin-bottom: 8px; margin-left: 0px; background-color: rgb(247, 241, 216); font-family: Kalpurush; font-size: 11px; line-height: normal; width: 799px; text-align: justify; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-alternates: normal; font-size-adjust: none; font-kerning: auto; font-optical-sizing: auto; font-feature-settings: normal; font-variation-settings: normal; font-variant-position: normal; font-stretch: normal; color: rgb(0, 0, 0); background-image: initial !important; background-position: initial !important; background-size: initial !important; background-repeat: initial !important; background-attachment: initial !important; background-origin: initial !important; background-clip: initial !important; overflow-wrap: break-word !important;">কর্মতৎপর ও প্রতিভাবান এ তরুণ আলিম পড়াশোনা ও শিক্ষাদানের পাশাপাশি লেখালিখিতেও সমান পারদর্শী ছিলেন। দাওরায়ে হাদিস শেষ করার পূর্বেই তিনি সংকলন করেছেন ‘বাহরে শির শারহে নাহবেমির’ নামক পাঁচ শতাধিক পৃষ্ঠার বিশাল কলেবরের ব্যাখ্যাগ্রন্থ। ইফতায় তাখাসসুস করার সময় তিনি সংকলন করেছেন ‘ইসলামি বিবাহের স্বরূপ’, ‘একসাথে তিন তালাক ও তার বিধান’ ও ‘শারয়ি মানদণ্ডে ছবি-ভিডিওর বিধান’ নামক তিনটি গবেষণামূলক গ্রন্থ। এ ছাড়াও বৃহৎ কলেবরের আটটি প্রবন্ধ তৈরি করেছেন, যার মধ্য হতে চারটি প্রবন্ধ মারকাযুশ শাইখ যাকারিয়ার তাসনিফ বিভাগ থেকে প্রকশিত দুটি গ্রন্থে সন্নিবেশিত হয়েছে। আর উলুমুল হাদিসের বর্ষে তিনি গবেষণামূলক দুটি গ্রন্থ রচনা করেছেন। একটি ছিল ‘হাদিস ও আসারের আলোকে কালিমায়ে তাইয়িবার প্রামাণ্যতা’। কিন্তু দুঃখজনকভাবে এ গ্রন্থটির মূল পাণ্ডুলিপিটি এক প্রকাশকের হাত থেকে এবং ফটোকপিটি একজন উসতাযের হাত থেকে হারিয়ে যায়, যার খোঁজ আজও মেলেনি। আরেকটি গ্রন্থ ছিল প্রায় পাঁচশ পৃষ্ঠা কলেবরের ‘সহিহ হাদিসের আলোকে হানাফিদের নামায’ নামক বিশাল গ্রন্থ, যা পরবর্তী সময়ে দারুল কুরআন প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়েছে। পড়াশোনা শেষ করে তিনি শিক্ষকতার পেশায় যোগদান করলেও লেখালিখির প্রতি তীব্র আগ্রহের কারণে তিন বছর পর তিনি ফুলটাইম শিক্ষকতার পেশা থেকে অব্যাহতি গ্রহণ করেন এবং একনিষ্ঠভাবে লেখালিখিতে আত্মনিয়োগ করেন।

class="p1" style="margin-right: 0px; margin-bottom: 8px; margin-left: 0px; background-color: rgb(247, 241, 216); font-family: Kalpurush; font-size: 11px; line-height: normal; width: 799px; text-align: justify; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-alternates: normal; font-size-adjust: none; font-kerning: auto; font-optical-sizing: auto; font-feature-settings: normal; font-variation-settings: normal; font-variant-position: normal; font-stretch: normal; color: rgb(0, 0, 0); background-image: initial !important; background-position: initial !important; background-size: initial !important; background-repeat: initial !important; background-attachment: initial !important; background-origin: initial !important; background-clip: initial !important; overflow-wrap: break-word !important;">২০১৮ সাল থেকে তিনি পুরোদমে লেখালিখির কাজ শুরু করেন। ছাত্রদের হাদিস, উসুল ও উলুমুল হাদিসের কিছু কিতাব পড়ানোর জন্য বরাদ্দ নির্দিষ্ট সময় বাদে বাকি পুরোটা সময় তিনি অনুবাদ, মৌলিক রচনা ও সম্পাদনার পিছনে ব্যয় করেন। গত ছয় বছরের দীর্ঘ সময়ে তিনি অনেক গ্রন্থের অনুবাদ ও সম্পাদনা করেছেন, পাশাপাশি বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ও অতিপ্রয়োজনীয় মৌলিক গ্রন্থও রচনা করেছেন। তাঁর অনূদিত গ্রন্থগুলোর মাঝে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো, ‘রিয়াযুস সালিহিন’, ‘আদর্শ মুসলিম’, ‘অশ্রুসাগর’, ‘জীবনের ওপারে’, ‘জিন, জাদু ও বদনজরের চিকিৎসা’ ও ‘গুনাহময় জীবনে তাওবার পরশ’। তাঁর মৌলিক গ্রন্থগুলোর মাঝে অন্যতম হলো, ‘উসওয়াতুন হাসানাহ (সিরাত)’, ‘ইসলামি জীবনব্যবস্থা’, ‘তাকফিরের মূলনীতি’ ও ‘সহিহ হাদিসের আলোকে হানাফিদের নামায’। তাঁর সম্পাদিত গ্রন্থের সংখ্যা পঞ্চাশেরও অধিক। এগুলোর মাঝে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো, ‘যেমন ছিলেন তিনি’, ‘সবর ও শোকর’, ‘অন্তরের রোগ’, ‘অন্তরের আমল’, ‘তাওহিদের কালিমা’, ‘ধেয়ে আসছে ফিতনা’, ‘আল্লাহর সুন্দর নামসমূহ’, ‘ইসলামি ইতিহাস (সংক্ষিপ্ত বিশ্বকোষ)’, ‘চল্লিশ হাদিসের ব্যাখ্যা’, ‘অবাধ্যতার ইতিহাস’, ‘জান্নাতিদের আমল’ ও ‘আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের আমল’। এ ছাড়াও তাঁর ফেসবুক পেইজ ও ওয়েবসাইটে প্রকাশিত উপদেশমূলক লেখা এবং গবেষণামূলক আর্টিকেল ও প্রবন্ধের সংখ্যাও প্রচুর, যেগুলো সংকলন করলে বৃহৎ কলেবরের একটি গ্রন্থ হয়ে যাবে।

class="p1" style="margin-right: 0px; margin-bottom: 8px; margin-left: 0px; background-color: rgb(247, 241, 216); font-family: Kalpurush; font-size: 11px; line-height: normal; width: 799px; text-align: justify; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-alternates: normal; font-size-adjust: none; font-kerning: auto; font-optical-sizing: auto; font-feature-settings: normal; font-variation-settings: normal; font-variant-position: normal; font-stretch: normal; color: rgb(0, 0, 0); background-image: initial !important; background-position: initial !important; background-size: initial !important; background-repeat: initial !important; background-attachment: initial !important; background-origin: initial !important; background-clip: initial !important; overflow-wrap: break-word !important;">তাঁর উল্লেখযোগ্য আরেকটি মহান কর্ম হলো, ‘আল-মাকতাবাতুল কামিলা’ নামে অফলাইনভিত্তিক গ্রন্থাগার প্রণয়ন। এতে তিনি প্রায় দশ কোটি টাকা সমমূল্যের আরবি, উর্দু ও বাংলা কিতাবের পিডিএফ ফাইল সুবিন্যস্তাকারে সন্নিবেশিত করেছেন। এতে তাখাসসুসের ছাত্রদের জন্য প্রয়োজনীয় কিতাবাদির পাশাপাশি অনেক দুর্লভ কিতাবেরও সমাহার রয়েছে। মাকতাবাতুল আযহারের মধ্যস্থতায় তা এখন অসংখ্য আলিম ও তালিবুল ইলমের কিতাবের চাহিদা পূরণ করছে। গত অর্ধ যুগ ধরে তিনি অধিকাংশ সময় লেখালিখির পেছনে ব্যয় করলেও বর্তমানে তিনি এটার পাশাপাশি তালিমের জন্যও সময় দিচ্ছেন। উচ্চতর গবেষণা ও বিশুদ্ধ ইলমে নববির শিক্ষাদানের উদ্দেশ্যে ঢাকায় তিনি ‘মারকাযুল মাআরিফ আল-ইসলামিয়া’ নামে একটি মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেছেন। তাঁর ইচ্ছা, এখান থেকে এমন আলিম, লেখক ও দাঈ বের হবে, যারা আল্লাহর জমিনে তাঁর দ্বীনের প্রতিষ্ঠা ও উম্মাহর জন্য কাজ করবে। জাগ্রত চিন্তা ও উন্নত চেতনার অধিকারী তরুণ এ আলিমের ভাবনা সুদূরপ্রসারী। মুসলিম জাতির দুরবস্থা এবং এ থেকে পরিত্রাণ ও কার্যকর কর্মপন্থা নির্ণয়ে উম্মাহর প্রতি তিনি প্রচণ্ড দরদ অনুভব করেন। যেকোনো মূল্যে তিনি তাদের জাগিয়ে তুলতে বদ্ধপরিকর। নববি মানহাজ অনুসরণের মাধ্যমে ঘুমন্ত জাতিকে জাগিয়ে তোলার যে অদম্য আগ্রহ তাঁর, তা এককথায় প্রশংসনীয়। আমরা তাঁর মহৎ লক্ষ্য পূরণের জন্য আল্লাহর কাছে দুআ করি এবং তাঁর সার্বিক সাফল্য কামনা করি।

মুফতি তারেকুজ্জামান -এর প্রবন্ধসমূহ

মুফতি তারেকুজ্জামান -এর কিতাবসমূহ