হাকীমুল উম্মত হযরত আশরাফ আলী থানভী (রহ)
হাকীমুল উম্মত হযরত আশরাফ আলী থানভী (রহ)
style="margin-right: 0px; margin-bottom: 10px; margin-left: 0px;"> style="font-weight: bolder;">জন্ম ও শৈশব
style="margin-right: 0px; margin-bottom: 10px; margin-left: 0px;"> style="text-align: justify;">মাওলানা আশরাফ আলী থানভী রহ. ১৯ আগস্ট, ১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দে / রবিউস সানী ৫, ১২৮০ হিজরীতে ভারতের উত্তর প্রদেশের থানা ভবনে জন্মগ্রহণ করেন। বুজুর্গ হাফেজ গোলাম মুর্তজা পানিপথীর নির্দেশক্রমে নবজাতকের নাম রাখা হয় “আশরাফ আলী”। তাঁর বাবার নাম ছিল আবদুল হক। তিনি উমর রা. এর বংশের লোক ছিলেন আর তাঁর মাতা ছিলেন ছিলেন আলী রা. বংশের। আল্লামা থানভী রহ. ভাই-বোনদের মাঝে সকলের বড় ছিলেন। শৈশবে মাত্র পাঁচ বছর বয়সে তিনি মাকে হারান।
style="margin-right: 0px; margin-bottom: 10px; margin-left: 0px;"> style="font-weight: bolder;">শিক্ষাজীবন
style="text-align: justify;">শৈশবেই তিনি হাফেয হোসাইন আলী রহ.-এর কাছে সম্পূর্ণ কুরআন মুখস্থ করেন। ফার্সি ও আরবী ভাষার প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করেন নিজ গ্রামেই হযরত মাওলানা ফতেহ মুহাম্মদ থানভী রাহ.-এর কাছে। ১২৯৫ হিজরীতে হাকীমুল উম্মত রহ. ইসলামি জ্ঞান-বিজ্ঞানে উচ্চশিক্ষা অর্জনের জন্য দারুল উলুম দেওবন্দে ভর্তি হন। পাঁচ বছর পর ১৯ বছর বয়সে তিনি দেওবন্দের শিক্ষা সমাপ্ত করেন। দারুল উলুম দেওবন্দে তিনি হাদীস, তাফসীর, আরবী সাহিত্য, ইসলামী দর্শন, যুক্তিবিজ্ঞান, ইসলামি আইন এবং ইতিহাস অধ্যয়ন করেন। দারুল উলুম দেওবন্দের প্রথম যুগের শিক্ষা সমাপনকারী ছাত্রদের মাঝে তিনি অন্যতম। এরপর তিনি কেরাত (কুরআন পাঠ সম্পর্কিত একটি বিদ্যা) ও তাজবীদের (কুরআনের শব্দসমূহ সঠিকভাবে উচ্চারণ করার বিদ্যা) শিখেন মক্কা মুকাররমায় মুহাম্মাদ আবদুল্লাহ্ মুহাজিরে মক্কীর কাছে।
style="margin-right: 0px; margin-bottom: 10px; margin-left: 0px;"> style="font-weight: bolder;">কর্মজীবন
style="text-align: justify;">১৩০০ হিজরীতে হাকীমুল উম্মত রহ. কানপুরের ফয়যে আম মাদ্রাসায় মাসিক ২৫ টাকা বেতনে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। তাঁর জ্ঞানের কারণে তাঁর উপাধি দেয়া হয় বাহরুল উলুম (জ্ঞানের সাগর)। পরবর্তীতে তিনি কানপুরের টপকাপুরে জামিউল উলূম মাদ্রাসার প্রধান পরিচালকের আসন অলংকৃত করেন। সেখানে তিনি ১৪ বছর শিক্ষকতা করেন। পরবর্তীতে ১৩১৫ হিজরীতে হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কীর রহ. পরামর্শে তিনি থানা ভবনের খানকাহে ইমদাদিয়ায় অবস্থান গ্রহণ করেন এবং জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করেই ইসলাম প্রচার, আত্মশুদ্ধি, তাসাউফ ও রচনার কাজ করে যান।
style="margin-right: 0px; margin-bottom: 10px; margin-left: 0px;"> style="font-weight: bolder;">মৃত্যু
style="text-align: justify;">১৬ রজব, ১৩৬২ হিজরী/ জুলাই ১৯, ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দে আল্লামা থানভী রহ. থানা ভবনে মৃত্যুবরণ করেন। সেদিন সোমবার ছিল। তাঁর জানাযার নামাজে ইমামতি করেন মাওলানা যাফর আহমেদ উসমানী রহ. । থানাভবনেই ইশকে বাযান নামক কবরস্থানে মুজাহিদ হাফেয জামেন শহীদ রহ.-এর মাযারের পাশে তাঁকে দাফন করা হয়।
style="margin-right: 0px; margin-bottom: 10px; margin-left: 0px;"> style="font-weight: bolder;">রচনাবলী
style="text-align: justify;">তিনি সারা জীবনে ছোট-বড় প্রায় সাড়ে বারো হাজারের উপরে গ্রন্থ রচনা করেছেন। তাঁর প্রসিদ্ধ গ্রন্থগুলোর মাঝে অন্যতম হলো ফিকাহ বিষয়ক গ্রন্থ বেহেশতী জেওর । যা ভারত উপমহাদেশের সাধারণ মুসলমানদের মাঝে বহুল পঠিত। এছাড়া তাঁর রচিত কুরআন শরীফের উর্দূ তরজমার গ্রন্থ বয়ানুল কুরআন (কুরআনের ব্যাখ্যা) সুপরিচিত। তিনি জাতির কল্যাণের জন্য তাঁর সকল গ্রন্থের স্বত্ব উন্মুক্ত রেখেছেন।
style="margin-right: 0px; margin-bottom: 10px; margin-left: 0px;"> style="text-align: justify;"> style="font-weight: bolder;">তাঁর রচিত কিছু গ্রন্থের তালিকা:
style="margin-right: 0px; margin-bottom: 10px; margin-left: 0px;">
- বেহেশতী