শাঈখুল ইসলাম হযরত আব্দুল মালেক
শাঈখুল ইসলাম হযরত আব্দুল মালেক
মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুল মালেক (জন্মঃ ১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দ, ১৩৮৯ হিজরী) বাংলাদেশের একজন ইসলামী ব্যক্তিত্ব। তিনি ঢাকার ইসলামী গবেষণামূলক উচ্চতর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মারকাযুদ্ দাওয়াহ আল ইসলামিয়ার উলূমুল হাদীস অনুষদ এবং রচনা ও গবেষণা বিভাগের প্রধান এবং href="https://www.alkawsar.com/" target="_blank">মাসিক আল কাউসারের তত্ত্বাবধায়ক। এছাড়াও তিনি ২০১২ সালে সরকারের গঠিত বাংলাদেশ কওমী মাদ্রাসা শিক্ষা কমিশনের সদস্য এবং হাদীসশাস্ত্রের বিশেষজ্ঞ গবেষক ও পণ্ডিৎ ব্যক্তিত্ব।
আলইসলামিয়া যোগদান করেন। বর্তমানে তিনি এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাসচিব এবং উলুমুল হাদীস অনুষদের প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন। ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দ থেকে মারকাযুদ্ দাওয়াহ আলইসলামিয়ার মুখপত্র ইসলামী ম্যাগাজিন মাসিক আলকাউসারের প্রকাশনা শুরু হয়। তখন থেকেই তিনি এই ম্যাগাজিনের তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।তিনি ঢাকার শান্তিনগরের আজরুন কারীম জামে মসজিদে জুমার নামাজের পরিচালনা করেন এবং জামিয়াতুল উলুম আলইসলামিয়া কওমি মাদরাসা য় হাদীসশাস্ত্রে অধ্যাপনা করেন। এছাড়া তিনি ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে সরকার গঠিত বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা কমিশনের একজন সদস্য।
style="color: rgb(255, 255, 255);"> size="4"> style="font-weight: bolder;">শিক্ষাজীবন
তাঁর শিক্ষাজীবন শুরু হয় চাঁদপুর শাহরাস্তির খেড়িহর কওমি মাদ্রাসায় ভর্তি হওয়ার মাধ্যমে। সেখানে তিনি মিশকাত (ফযীলত) জামাত পর্যন্ত অধ্যয়ন করেন। এরপর তিনি পাকিস্তানের করাচিতে বানুরী টাউন জামিয়াতুল উলুম আলইসলামিয়া য় ভর্তি হন।১৯৮৮ খ্রিষ্টাব্দেতিনি সেখানে তাকমীল ( ইসলামিক স্টাডিজ-এ মাস্টার্স সমমানের ডিগ্রি) সমাপন করেন। এরপর তিনি ঐ জামিয়াতেই মাওলানা আব্দুর রশীদ নোমানীর তত্ত্বাবধানে তিন বছর হাদীসশাস্ত্রে উচ্চতর শিক্ষা (তাখাসসুস ফিল হাদীস) গ্রহণ করেন এবং ১৯৯১ খ্রিষ্টাব্দে তাখাসসুস ফিল হাদীস সমাপন করেন। এরপর তিনি দুই বছর করাচির দারুল উলুম মাদ্রাসায় মুফতি তাকী উসমানীর তত্ত্বাবধানে ফিকহ এবং ফতোয়া বিষয়ে উচ্চতর শিক্ষা ( তাখাসসুস ফিল ইফতা ) গ্রহণ করেন এবং ১৯৯৩ খ্রিষ্টাব্দে তাখাসসুস ফিল ফিকহ ওয়া আল-ইফতা সমাপন করেন। পরবর্তীতে তিনি সৌদি আরবের রিয়াদে আল্লামা আব্দুল ফাত্তাহ আবু গুদ্দাহ -এর তত্ত্বাবধানে ১৯৯৫ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত প্রায় আড়াই বছর হাদীসশাস্ত্রসহ বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণার কাজ করেন।style="color: rgb(255, 255, 255);"> style="text-align: var(--bs-body-text-align);"> size="4"> style="font-weight: bolder;">কর্মজীবন
১৯৯৬
খ্রিষ্টাব্দে তিনি ঢাকায় উচ্চতর ইসলামি শিক্ষা ও দাওয়াহ প্রতিষ্ঠান মারকাযুদ্ দাওয়াহআলইসলামিয়া যোগদান করেন। বর্তমানে তিনি এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাসচিব এবং উলুমুল হাদীস অনুষদের প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন। ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দ থেকে মারকাযুদ্ দাওয়াহ আলইসলামিয়ার মুখপত্র ইসলামী ম্যাগাজিন মাসিক আলকাউসারের প্রকাশনা শুরু হয়। তখন থেকেই তিনি এই ম্যাগাজিনের তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।তিনি ঢাকার শান্তিনগরের আজরুন কারীম জামে মসজিদে জুমার নামাজের পরিচালনা করেন এবং জামিয়াতুল উলুম আলইসলামিয়া কওমি মাদরাসা য় হাদীসশাস্ত্রে অধ্যাপনা করেন। এছাড়া তিনি ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে সরকার গঠিত বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা কমিশনের একজন সদস্য।
style="color: rgb(255, 255, 255);"> style="text-align: var(--bs-body-text-align);"> size="4"> style="font-weight: bolder;">রচনাবলী
মাসিক
আলকাউসারসহ বিভিন্ন ম্যাগাজিন ও পত্রিকায় তিনি হাদীসশাস্ত্র, হাদীস সম্পর্কিত বিভ্রান্তিসহ বিভিন্ন বিষয়ে বহু প্রবন্ধ রচনা করেছেন। যেগুলোর মাঝে কিছু পরবর্তীতে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও তিনি বাংলা এবং আরবি ভাষায় বেশকিছু মৌলিক ও গবেষণাধর্মী বই রচনা করেছেন।নিচে
সেগুলোর সংক্ষিপ্ত তালিকা দেয়া হলোঃ১.
নবীজীর নামাজ (ভূমিকা)২.
তালিবুল ইলমের পথ ও পাথেয়: মাসিক আলকাউসারের শিক্ষাপরামর্শ বিভাগে শিক্ষক-এবং শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরসমূহের একটি সংকলন।৩.
উম্মাহর ঐক্য : পথ ও পন্থা: মার্চ ১৭ ২০১২ খ্রীষ্টাব্দে মারকাযুদ্ দাওয়াহ আলইসলামিয়া র উদ্যোগে আয়োজিত "ওয়াহদাতুল উম্মাহ ওয়া ইত্তিবাউস সুন্নাহ" (মুসলিম উম্মাহর সংহতি এবং সুন্নাহের অনুসরণ) শীর্ষক সেমিনারের মূল প্রবন্ধ। যা পরবর্তীতে মাসিক আলকাউসারে ধারবাহিকভাবে ছাপানো হয় এবং বই আকারে প্রকাশিত হয়।style="text-align: var(--bs-body-text-align);">৪. তারাবীর রাকাআত সংখ্যা ও ঈদের নামায
৫.
হাদীস ও সুন্নাহয় নামাযের পদ্ধতি৬.
প্রচলিত ভুল: মাসিক আলকাউসারে "প্রচলিত ভুল" বিভাগে প্রকাশিত প্রবন্ধসমূহের সংকলন।৭.
কাবলাল জুমা: কিছু নিবেদন৮.
হাদীস ও সুন্নাহ্য় কাবলাল জুমা৯.
ঈমান সবার আগে১০.
আল মাদখাল ইলা উলুমিল হাদীসিস শারীফ: (আরবীতেঃ ﺍﻟﻤﺪﺧﻞ ﺇﻟﻰ ﻋﻠﻮﻡ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ ﺍﻟﺸﺮﻳﻒ )- হাদিসের রেফারেন্স বের করা, সনদ বা সূত্রে উল্লেখিত বর্ণনাকারীদের পরিচয় উদঘাটন করা এবং হাদিস ও হাদিস বর্ণনাকারীর মান নির্ণয়ের নিয়মাবলী সংশ্লিষ্ট বই।